লকডাউন চলছে, প্রতিটি রাজ্যে বেশ কয়েকটি এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যেই এ বার জরুরি ক্ষেত্রে উৎপাদন চালুর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার। তবে যাবতীয় সতর্কতা বজায় রেখে কারখানা চালু করা হবে।
বিজ্ঞাপন
লকডাউন ঘোষণার পর থেকে এতদিন মন্ত্রী, সচিব, যুগ্ম সচিব সহ অফিসাররা বাড়িতে বসেই কাজ করছিলেন। সোমবার থেকে তাঁদের অফিসে যাওয়া শুরু হল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও তাঁদের অফিসে যেতে শুরু করলেন। যুগ্মসচিব ও তাঁর ওপরের পদমর্যাদার অফিসাররা অফিসে যাচ্ছেন। বাকি কর্মীদের সময় ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। অর্ধেক কর্মী একদিন আসবেন, অর্ধেক পরের দিন। তবে হট স্পটে যাঁরা থাকেন, তাঁরা আসবেন না। দূরে যাঁরা থাকেন, তাঁদেরও আসতে হবে না। যাঁরা গাড়ি পান, তাঁরা কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে আসবেন। বাকিদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে শুধু মন্ত্রী, আমলা বা সরকারি বাবুদের অফিসে যাওয়া চালু হচ্ছে তাই নয়, ধীরে ধীরে বেশ কিছু ক্ষেত্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ বানিজ্য ও শিল্প প্রমোশন সচিব গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে, লকডাউন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কী কী ক্ষেত্র খুলতে পারে এবং সেখানে কী ভাবে কাজ হবে। কোন কারখানা খুলবে, কোনটা নয়, তা ঠিক করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। এ ক্ষেত্রে জেলা কর্তৃপক্ষ নীতিনির্দেশিকা মেনে ব্যবস্থা নেবেন। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, বড় কারখানা, যেখানে জীবাণুশূন্য করার ব্যবস্থা আছে, তারা সামাজিক দূরত্বের নীতি মেনে ২৫ শতাংশ কর্মী দিয়ে শিফট চালু করতে পারবেন। মাঝারি ও ছোট শিল্প, যাদের রপ্তানির দায়বদ্ধতা আছে, সেখানে কাজ শুরু করা যেতে পারে।
অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলাতে কোন দেশ কী করছে
করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে৷ প্রতিষ্ঠানগুলো দেউলিয়া হওয়াসহ আছে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান হারানোর শঙ্কা৷ তবে উন্নত দেশগুলো এই পরিস্থিতি সামলাতে বিভিন্ন আর্থিক ব্যবস্থাও নিচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Jordan
জার্মানি
সব ধরনের কোম্পানি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ১১০ কোটি ডলারের ঋণ দিচ্ছে জার্মান সরকার৷ দুর্যোগকালীন এই পরিস্থিতি সামাল দিতে মোট ৮০ হাজার কোটি ডলারের তহবিল রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷ কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্বচ্ছলতা বজায় রাখতে দেয়া হচ্ছে কর-ছাড়৷ দেরিতে ঋণ পরিশোধে গুণতে হবে না জরিমানা৷ প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে দেয়া হবে সাড়ে ১৪ কোটি ইউরো৷
অর্থনৈতিক ধাক্কা সামাল দিতে ২১ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের তহবিল ঘোষণা করেছে স্পেন৷ ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানি, কর্মী আর আর্থিক অস্বচ্ছলদের সুরক্ষায় এই অর্থ ব্যয় করা হবে৷ এর মধ্যে শুধু সামাজিক নিরাপত্তায় খরচ করা হবে প্রায় ৬৪ কোটি ডলার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AAB. Akbulut
পর্তুগাল
১৮ মার্চ থেকে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে পর্তুগাল৷ এখন পর্যন্ত এক হাজার কোটি ডলারের প্রণোদনা ‘প্যাকেজ’ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার৷ এরমধ্যে ৩২২ কোটি ডলার পর্যটন, বস্ত্র, কাঠসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ঋণ সহায়তা হিসেবে দেয়া হবে৷ ৫৩৬ কোটি ডলার আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে কর সুবিধা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে৷
ছবি: Reuters/M. F. Lopes
ফ্রান্স
প্রায় পাঁচ হাজার কোটি ডলার সহায়তা তহবিলের প্রকল্প হাতে নিয়েছে ফ্রান্স সরকার৷ এর বড় একটি অংশ দেয়া হবে ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে৷ রেস্টুরেন্ট, দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং কোয়ারান্টিনের কারণে যেসব কর্মী কাজে যোগ দিতে পারছেন না, তাদের জন্য কয়কশ’ কোটি ডলার ব্যয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Marin
যুক্তরাজ্য
করোনা ভাইরাসের কারণে ১৪৫০ কোটি ডলারের জরুরি আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য৷ জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা এবং সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকসান মেটাতে এই টাকা দেয়া হবে৷ পাশাপাশি খুচরা ব্যবসা এবং পর্যটন শিল্পের জন্য ৪০ হাজার কোটি ডলারের ঋণ তহবিলও রাখা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/empics/PA Video
যুক্তরাষ্ট্র
সম্প্রতি ১০ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের একটি সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে সেনেট৷ স্বাস্থ্য বিমা ছাড়াই করোনার পরীক্ষা করানো, স্কুলগামী শিশুদের জন্য খাবার সরবরাহ, কর্মীদের ১০ দিনের অসুস্থতাজনিত এবং কিছু ক্ষেত্রে ১২ সপ্তাহের বেতনসহ ছুটির পেছনে এই টাকা ব্যয় হবে৷ পাশাপাশি এক ট্রিলিয়ন ডলারের আরেকটি প্রণোদনা প্যকেজের জন্য আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন৷
ছবি: Reuters/L. Millis
ক্যানাডা
ক্যানাডার জন্য পাঁচ হাজার ৬৪০ কোটি ডলারের সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো৷ এই অর্থ দেশটির জিডিপির তিন শতাংশ ৷ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর-ছাড়, কর্মীদের বেতন, সমাজে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ব্যয় হবে এই অর্থ৷
ছবি: picture-alliance/empics/M. Sudoma
অস্ট্রেলিয়া
১১০০ কোটি ডলারের আর্থিক প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার৷ ৬৫ লাখ নিম্ন আয়ের মানুষকে এককালীন ৪৫১ ডলার করে দেয়া হবে এই তহবিল থেকে৷ পাশাপাশি এক লাখ ২০ হাজার শিক্ষানবিশ চাকুরিজীবী এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকিয়ে রাখতেও খরচ করা হবে এখান থেকে৷ অন্যদিকে অর্থনীতিকে সচল রাখতে ঋণের সুদহার কমিয়ে দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Carrett
তুরস্ক
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ১৫৪০ কোটি ডলারের ব্যয় পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে তুরস্ক৷ ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা’ শিরোনামের এই প্যাকেজটির আওতায় মোট ২১ টি খাতে খরচ করা হবে৷ এর মধ্যে অবসরকালীন ভাতা বৃদ্ধি, ব্যবসা সহযোগিতা, মূল্য সংযোজন কর হ্রাসসহ খুচরা, ইস্পাত, গাড়ি ও পর্যটন শিল্পে আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Ozbilici
9 ছবি1 | 9
কোন কোন ক্ষেত্র অগ্রাধিকার পাবে, তার একটা তালিকাও তৈরি করে দিয়েছেন ওই সচিব। তার মধ্যে আছে, রঙ. সব ধরনের খাদ্য ও পানীয়, প্লাস্টিক তৈরির কারখানা, অলংকার, বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকায় থাকা সব কারখানা, ওষুধ, রবার বুট, অ্যানেস্থেশিয়া ব্যাগ, ভেন্টিলেটার, রবার ভালভ সহ চিকিৎসার কাজে লাগে এমন সব সামগ্রী। কাঠ, প্লাই ভিত্তিক শিল্প, কাচ সহ যে সব জায়গায় খুব কম লোক দিয়ে কাজ করানো যেতে পারে সে জায়গাগুলিও খোলার পরিকল্পনা চলছে। সেই সঙ্গে নির্দেশিকায় বলে দেওয়া হয়েছে, যে সব কারখানায় শ্রমিকদের ঠিকমতো থাকার ব্যবস্থা আছে, তারা অগ্রাধিকার পাবে। আর সামাজিক দূরত্ব ও কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতেই হবে। জেলা প্রশাসন নজরদারি করবে।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গডকারি জানিয়েছেন, তিনি জাতীয় সড়ক তৈরি ও সারাইয়ের কাজ শুরু করে দিচ্ছেন। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে তাঁর কথা চলছে। মন্ত্রক সূত্রের খবর, চার-পাঁচটি রাজ্যে কাজও শুরু হয়েছে। এ ভাবেই ধীরে ধীরে বিভিন্ন ক্ষেত্রকে সচল করতে চাইছে কেন্দ্র। দেশভর জেলাগুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছে কেন্দ্র। যে সব জেলায় করোনা আক্রান্তের খবর নেই, সেগুলি হলো সবুজ জেলা, যেখানে করোনার আক্রমণ বেশি হয়েছে সেটা হলো লাল জেলা। সবুজ জেলাতেই শিল্প খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। হলুদ জেলা একেবারে নিরাপদ কি না দেখে তারপর অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
বাজারেও করোনার আঘাত
করোনা ভাইরাসের প্রভাব স্বাস্থ্য থেকে এসে পড়েছে বাজারেও৷ কীভাবে সামলাচ্ছে তারা করোনার দাপট, জানুন ছবিঘরে...
ছবি: VLADIMIR MARKOV via REUTERS
বাড়ছে প্রতিরোধক বিক্রি
করোনা ভাইরাস ছড়ানোর মতোই দ্রুতগতিতে বাড়ছে জীবাণুর ভয়৷ সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানা ধরনের জীবাণু-প্রতিরোধকের চাহিদা৷ কেমিক্যাল সংস্থাগুলির বিভিন্ন পণ্যের বিক্রিও বাড়ছে৷ কিন্তু পণ্যবাহী জাহাজ চীনের সীমান্তে আটকা থাকার ফলে নতুন মাল পৌঁছতে পারছে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
রেস্টুরেন্টে ভাঁটা
কেএফসি, পিৎজা হাট বা ম্যাকডোনাল্ডসের মতো ফাস্ট ফুড চেনগুলির রমরমা করোনা ভাইরাসের কারণে আগের মতো নেই৷ বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে এই সব দোকান৷ অনলাইনে বিক্রিও বন্ধ৷ অন্যান্য অনলাইন খাবার অর্ডার করার অ্যাপও এখন আর চীনে খাবার সরবরাহ করছে না৷
ছবি: picture-alliancedpa/imaginechina/Y. Xuan
খেলার সামগ্রীতেও করোনার প্রভাব
বিশ্বখ্যাত খেলার সামগ্রীর ব্র্যান্ড অ্যাডিডাস ও নাইকি সাময়িকভাবে চীনে তাদের বেশির ভাগ দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে দিয়েছে৷ শুধু তাই নয়, যেসব দোকানে নাইকি বা অ্যাডিডাসের পণ্য বিক্রি হয়, সেখানেও চলছে কড়া নজরদারি, যাতে করে বিক্রি না হওয়া পণ্যের মাধ্যমে জীবাণু আরো না ছড়ায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Stringer/Imaginechina
বিপদের ঝুঁকিতে গাড়িপ্রস্তুতকারীরা
জার্মান গাড়ি শিল্পের উপর এই ভাইরাসের ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রভাব থাকতে পারে, মনে করছেন গাড়ি শিল্প বিশেষজ্ঞ ফার্ডিনান্ড ডুটেনহ্যোফার৷ বিখ্যাত গাড়িপ্রস্তুতকারী সংস্থা ফক্সভাগেনের মোট ৩৩টি কারখ্না রয়েছে চীনে, যার মধ্যে বেশ কটি আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে৷ গাড়ি প্রস্তুতের কাজে বাধা আসলেও ডেলিভারির কাজ ঠিকই চলছে এখনও৷
ছবি: Imago Images/Xinhua
সাবধানী হন্ডা
করোনা ভাইরাসের প্রাণকেন্দ্র উহান অঞ্চলে জাপানি গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা হন্ডার তিনটি কারখানা আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে৷ এখনও যদিও স্পষ্ট নয় যে কবে থেকে কাজ আবার শুরু হবে, কিন্তু তবুও সাবধানে ফাঁকি রাখতে চান না হন্ডা কর্মকর্তারা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চাহিদামত পণ্য নেই বাজারে
বর্তমান বিশ্বে এক দেশের বাজারের সাথে আরেক দেশের শিল্প খুব গভীরভাবে সংশ্লিষ্ট থাকায় হ্যুনডাই বা হন্ডার মতো সংস্থার প্রস্তুত বন্ধ থাকার প্রভাব পড়ছে বিশ্বের বাজারেও৷ দক্ষিণ কোরিয়ায় এই সপ্তাহেও বন্ধ থাকবে হ্যুনডাই গাড়ির প্রস্তুতের কাজ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই ধারা অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রেও দেখা যাবে৷
ছবি: Reuters/Aly Song
ফ্রাংকফুর্টেও করোনার প্রভাব
চীনের সাথে একাধিক দেশ ইতিমধ্যে বন্ধ করেছে বিমান পরিষেবা৷ এই বন্ধের ফলে বহু ব্যবসায়ী প্রাংকফুর্টের বিখ্যাত ‘আম্বিয়েন্টে’ শিল্পমেলায় তাদের পসরা নিয়ে আসতে পরেননি৷ যদিও জার্মানির সাথে উহানের কোনো সরাসরি বিমান ব্যবস্থা নেই, তবুও সাবধান থাকতে এয়ারপোর্টে বিশেষ আইসোলেশন ইউনিট (চীনফেরত যাত্রীদের জন্য বিচ্ছিন্ন বলয়) রাখা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Schreiber
7 ছবি1 | 7
কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''এই সিদ্ধান্তের পিছনে দুইটি কারণ আছে। প্রথমত, এখনই কাজ শুরু না করলে দিন পনেরো-কুড়ি পর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে টান পড়তে পারে। তাই উৎপাদন এ বার শুরু করতেই হবে। দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রীয় সরকার গরিবদের অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছে। রাজ্য সরকারও দিয়েছে। তারা পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করছে। দুই সরকারের ভাড়ারে টান পড়েছে। তাই এ বার শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে উৎপাদন শুরু করা হচ্ছে। কৃষিক্ষেত্রেও ফসল তোলার কাজ শুরু হয়েছে।''
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজের প্রাক্তন প্রধান সুমিত দত্ত মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''সরকার একেবারে ঠিক পথে এগোচ্ছে। এ বার যাবতীয় সতর্কতা বজায় রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও জরুরি ক্ষেত্রের উৎপাদন শুরু করতে হবে। না হলে তো এমন সময় আসবে, লোকে আর খাবার পাবেন না, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পাবেন না। আর আজ বললেই তো কাল উৎপাদন শুরু হবে না, পরশু জিনিস বাজারে আসবে না। তার জন্য অন্তত দিন সাতেক সময় লাগে। আর একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, এভাবে সতর্কতা মেনে উৎপাদন করতে গেলে খরচ বাড়বে। সেক্ষেত্রে জিনিসের দামও বাড়তে পারে।''