1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিনিয়োগ ফোরামের বৈঠক

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৭ জুন ২০১৩

ভারতীয় শিল্প মহাসংঘ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ পর্ষদ এবং ভারত-বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সংঘ দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ ও যৌথ উদ্যোগ নিয়ে দু’দিনের শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হচ্ছে ২৭ শে জুন৷

Containerterminal im Hamburger Hafen bei Sonnenuntergang © Thorsten Schier #18784375
ছবি: Fotolia

বর্তমানে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের যে বিপুল সম্ভাবনা ও সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ভারতের শিল্প ও বণিক মহলে তা তুলে ধরতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পর্ষদের নির্বাহী চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রের সরকারি সংস্থা ছাড়াও ২৫টি নামি-দামি বেসরকারি কোম্পানির কর্তাব্যক্তিরা মুম্বই-এ দু'দিনের এক শীর্ষ আলোচনাচক্রে মিলিত হচ্ছেন৷

বেসরকারি কোম্পানিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হলো, বাংলাদেশের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার ব্যাংক, ঢাকা কটন কোম্পানি, ইউনিভার্সাল হেলথ সার্ভিসেস অ্যান্ড রিসার্চ, রিলায়েন্স ট্যাভেল, নিতল নিলয় গ্রুপ, আমরা টেক, আয়েষা মেমোরিয়াল হাসপাতাল ইত্যাদি৷ বাংলাদেশের যে ১৩টি ক্ষেত্র ভারতীয় বিনিয়োগের অনুকুল বলে মনে করা হচ্ছে, তার মধ্যে আছে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, অটোমোবাইলস, টেক্সটাইল, কেমিক্যালস, প্লাস্টিক, হাল্কা ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মাসিউটিক্যালস, হাসপাতাল ও মেডিকেল উপকরণ, পর্যটন এবং জেমস ও জুয়েলারি৷

ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কী কী সুবিধা দেবে? প্রথম ধাপে দেবে জমি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস কানেকশন, ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল, কারখানা শেড, ভিসাসহ দ্রুত নথিপত্র অনুমোদন৷ দ্বিতীয় ধাপে আছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নির্দিষ্ট যৌথ উদ্যোগ স্থাপন৷ যৌথ উদ্যোগে আছে ২৩টি প্রকল্প যার নিট মূল্য সাড়ে ১৮ কোটি মার্কিন ডলার৷ যার মধ্যে মোটর সাইকেল ও টায়ার উৎপাদনে তিন কোটি ডলার, খেলনা তৈরিতে দেড় কোটি ডলার, কৃষি-ভিত্তিক শিল্পে এক কোটি ৬০ লক্ষ ডলার এবং স্বাস্থ্য পরিষেবায় এক কোটি ডলার৷

নির্দিষ্ট কারখানাগুলির মধ্যে আছে, বোন চায়নার বাসনপত্র তৈরি হবে সিলেটে৷ উল্লেখ্য, বোন চায়নার বাসনপত্রের আন্তর্জাতিক বাজার ২০০ কোটি ডলারের৷ ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে যৌথ প্রকল্পে ডেটা সেন্টার বসবে ঢাকায়৷ এছাড়া, ঢাকার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সম্প্রসারণ এবং মেডিক্য়াল, ডেন্টাল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউট স্থাপন৷ আছে ঢাকার অভিজাত এলাকায় বিশ্বমানের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ৷ এজন্য প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত বিনিময়ের দ্বারা নির্দিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দু'পক্ষের সংশ্লিষ্ট শীর্ষ ব্যক্তিরা আলাদা আলাদা বৈঠক করবেন৷

ভারতের কাছে বিনিয়োগের সব থেকে আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল এখন বাংলাদেশ৷ প্রথমত, ভৌগলিক নৈকট্য ছাড়াও বাংলাদেশ প্রতিবেশি বন্ধুদেশ৷ দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ যেসব সুবিধা দিচ্ছে বিদেশি লগ্নিকারীদের তা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য কোনো দেশে নেই৷ যেমন ১০০ শতাঁশ ইকুইটি, উৎপাদনী ব্যয় তুলনামূলকভাবে অনেক কম, শুল্কমুক্ত কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানি, সব বিদেশি লগ্নি ফরেন প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট আইনে সুরক্ষিত, লগ্নিকারীরা তাদের লভ্যাংশ নিজ দেশে পাঠাতে পারবে৷ দরকার হলে যে কোনো সময়ে তাদের ব্যাবসাপাতি গুটিয়ে মূলধন স্বদেশে ফেরত নিয়ে যেতে পারবে৷ সর্বোপরি বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ ২৫ বছরের নীচে, অর্থাৎ প্রাণশক্তিতে ভরপূর শ্রমশক্তির এক বিশাল ভাণ্ডার মজুত৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ