1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লন্ডনের স্টক এক্সচেঞ্জে কোকো

১২ আগস্ট ২০১০

শুধু সোনা আর তেল নয় ইদানিং লন্ডনের স্টকচেঞ্জে কোকো শোভা পাচ্ছে৷ লন্ডনের একটি কোম্পানি কোকো আমদানি করে এরকম বেশ কিছু মার্কেট কিনে ফেলে এবং সেই কোকোর দাম বাড়িয়ে তুলে দেয়া হয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জে৷

কোকো বাগানে এক কৃষকছবি: AP

গত ৩০ বছরে কোকোর দাম বাড়েনি৷ এই প্রথম৷ পশ্চিম আফ্রিকার আইভরি কোস্টে কোকোর উৎপাদন সবচেয়ে বেশি৷ অন্য কোনো দেশে এত কোকো উৎপাদিত হয় না৷ কোকোর দাম বেড়েছে সেই আনন্দেই কোকো চাষীরা মাতোয়ারা৷

এদি এনবুরু সারাজীবন শুধু কোকো চাষ করে এসেছেন৷ কোকোই তাঁর জীবন৷ শুধু কোকো ক্ষেতেই তিনি কাজ করেছেন, অন্য কোথাও নয়৷ এদির বয়স এখন ৫০ -এর কাছাকাছি৷ ১০ সন্তানের জনক তিনি৷ নিজের কয়েক হেক্টর জমির ওপর কোকো চাষ করেন এদি৷ এখন ফসল তোলার সময়৷ ধারালো একটি ছুরি এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে তিনি ফসল তোলায় ব্যস্ত৷ কোকো ফলটি দেখতে অ্যামেরিকান ফুটবল খেলায় যে ধরণের বল ব্যবহার করা হয় – অনেকটা সেরকম৷ গাছের বোঁটায় ঝুলে থাকে কোকো৷ এদি ম্বুরু বলল, ‘‘আমরা শুধু পাকা কোকোগুলোই তুলি৷ এক সপ্তাহ পর অন্যগুলো৷ সেই সময়ের মধ্যে বাকিগুলো পেকে যায়৷ যেগুলো তারপরও কাঁচা থাকে সেগুলো দিয়ে তিতকুটে চকলেট তৈরি করা হয়৷''

কোকোর দাম আগের চেয়ে বেড়েছেছবি: Ritter Sport

জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে কিন্তু কিছুই করার নেই

কোকোর দাম আগের চেয়ে বেড়েছে অনেক বেশি৷ এক টন কোকোর দাম তিন হাজার ইউরো৷ আগে এর অর্ধেকও ছিল না৷ একথাগুলো এদি শুনেছে৷ সত্যি কিনা জানে না৷ যখন দাম কম ছিল, তখন এদিকে অনেক বেশি করে কোকো উৎপাদন করতে হত শুধু পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য৷ কোনো বিরতি পায়নি জমি৷ বছরের পর বছর ধরে একই জমিতে একই ফসল ফলানো হচ্ছে৷ জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে, কিন্তু সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই৷ এর ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে৷ ফসলের মান ভাল না৷ পর পর চার বছর একই ঘটনা ঘটলো৷ এদি একা নয়, অন্য কোকো চাষীদের বেলায়ও একই অবস্থা৷ এর সঙ্গে রয়েছে ছত্রাকের সমস্যা৷

এদি বললেন, ‘‘আমার খুব বেশি টাকা নেই৷ যদি টাকা থাকতো, তাহলে আমি আরো ভালভাবে জমিতে চাষ করতে পারতাম, গাছগুলোর যত্ন নিতে পারতাম৷ আমরা দিন আনি দিন খাই৷ এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা৷''

কোকো উৎপাদনে আইভোরি কোস্ট শীর্ষে

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যেমন তেলসমৃদ্ধ, আইভরি কোস্ট হল তেমনি কোকো সমৃদ্ধ৷ পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এত কোকো উৎপাদিত হয় না, যতটা হয় আইভরি কোস্টে৷ সারা বিশ্বে যত কোকো প্রয়োজন, তার প্রায় অর্ধেকেই আসে এই দেশটি থেকে৷

লঁসিন বাকায়োকো সবচেয়ে বড় শহর আবিদজানে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছেন৷ তিনি সরকারের সমালোচনা করে বললেন, ‘‘প্রায় ৬ হাজার কোকো চাষী রয়েছে৷ তারা সবাই নিজেদের জমিতেই চাষ করে৷ একটি জমিও সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই, সরকারের হাত নেই, নেই কোনো সাহায্য৷''

কথা সত্যি৷ আইভরি কোস্টের কোকো চাষ পুরোটাই ব্যক্তিমালিকানাধীন৷ কোকোর দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু চাষীরা সেই লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷ অনেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্য কিছু চাষ করার৷ হারিয়ে যাচ্ছে কোকো, লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে উঠে আসার পরেও৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: মনিরুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ