1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
প্যানোরামাযুক্তরাজ্য

লন্ডনে বাসার পরিবর্তে ময়লার কনটেইনারে বাস

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

লন্ডনে বাসা ভাড়া অনেক বেশি৷ ইউরোপের যে-কোনো শহরের চেয়ে বেশি৷ তাই বেতনের একটি বড় অংশ ভাড়ার পেছনে চলে যায়৷

ময়লার কন্টেইনারে বসবাস করছেন এক ব্যক্তি
উচ্চ ভাড়ার সংকট এড়াতে ময়লার কন্টেইনারকে বাসা বানিয়ে নিয়েছেন মার্শালছবি: DW

কিন্তু হ্যারিসন মার্শাল নামের এক ব্যক্তি এত টাকা ভাড়া হিসেবে দিতে রাজি ছিলেন না৷ তাই এখন ময়লার কনটেইনারে থাকছেন তিনি৷ মানে, কনটেইনারকে থাকার উপযোগী করে সেখানে থাকছেন৷

কিন্তু ময়লার কনটেইনারে কি বাস করা আসলেই সম্ভব? আড়াই বর্গমিটারের এই ঘরে বাথরুম ও টয়লেট নেই৷ আপনি সেখানে থাকতে পারবেন? মনে হচ্ছে হ্যারিসন পারেন৷ কিন্তু এটি তিনি কেন চান?

পেশায় স্থপতি ও ডিজাইনার হ্যারিসন বলেন, ‘‘কয়েকবছর আগে কয়েকমাস বিদেশে থাকার পর যখন লন্ডনে ফিরে আসি তখন এই পরিকল্পনা মাথায় এসেছিল৷ কারণ, থাকার জন্য আমার একটা জায়গা দরকার ছিল৷ কিন্তু অন্য অনেকের মতোই আমার কাছে ভাড়া অনেক বেশি মনে হয়েছিল৷''

সে কারণে ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় লন্ডনে ময়লা ফেলার এক কনটেইনারে থাকার সিদ্ধান্ত নেন হ্যারিসন৷

আর্ট অ্যান্ড আর্কিটেকচার ফাউন্ডেশন তাকে একটি স্থান দিয়েছিল৷ অবশ্যই অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল৷ যেমন গোসল করতে তাকে স্থানীয় জিমে যেতে হয়৷

হ্যারিসন জানান, ‘‘পানি আসে আমার পরম দয়ালু প্রতিবেশীর কাছ থেকে, যিনি দেওয়ালের ওপাশে থাকেন৷ ওপাশ থেকে একটি পাইপ এখানে এনে তার সঙ্গে ট্যাপ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ পানির কনটেইনারটা ছোট৷ দিনে সম্ভবত একবার ভর্তি করলেই হয়৷''

ময়লার কনটেইনারের উপরের অংশটি কাঠ দিয়ে তৈরি৷ সেখানে হ্যারিসনের বিছানার জন্য জায়গা করা হয়েছে৷ প্লাইউড দিয়ে তৈরি প্যানেলগুলোর কারণে থাকার জায়গাটি আরামদায়ক করা সম্ভব হয়েছে৷

হ্যারিসন বলেন, ‘‘এখানে ঘুমাতে আমার খুব আরাম লাগে৷ ছাদটা বাঁকানো হওয়ায় বিষয়টা খুব বেশি কফিনের মতো মনে হয় না৷ জায়গাটা ছোট হলেও বাক্সর মধ্যে থাকার মতো অনুভূতি হয় না৷ আমার মনে হয়, আকারটা এমন হওয়ার কারণে আমি কখনও মাথায় বাড়ি খাই না৷''

টয়লেটে যাওয়ার সময় হ্যারিসনের একটু কষ্ট হয়৷ কারণ সেটি বাহিরে৷

তবে কনটেইনারে থাকার সুবিধা হচ্ছে হ্যারিসন লন্ডনের কেন্দ্রে ভাড়া ছাড়াই থাকতে পারছেন৷ তিনি শুধু পানি ও বিদ্যুতের বিল দেন৷

এক হাজার ইউরো দিয়ে ময়লার কনটেইনারটি কিনেছেন হ্যারিসন৷ এরপর একে থাকার উপযোগী করতে আরও পাঁচ হাজার ইউরো বিনিয়োগ করেছেন৷ শুরুতে এখানে এক বছরের বেশি সময় থাকার পরিকল্পনা ছিল না৷ এরপর সেটি দুই বছর হয়ে এখন অনির্দিষ্টকাল হয়েছে৷ হ্যারিসন বলেন, ‘‘আমি স্থাপত্য, ডিজাইন ও নির্মাণ নিয়ে কাজ করি৷ তাই আমার মনে হয়েছিল এমন কিছু করা যেতে পারে যেটা দিয়ে আমি আরামে থাকার মতো কিছু বানাতে পারি৷ এবং এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমি এমন ইস্যু নিয়ে কথা বলতে পারি, যা লাখ লাখ মানুষকে প্রভাবিত করছে৷''

খুব ছোট জায়গায় থাকলেও অন্য কাউকে নিয়ে ডিনার করার মতো জায়গা আছে হ্যারিসনের৷

সীমিত জায়গায় বসবাসের মানে কি সীমিত জীবনযাপন করা? হ্যারিসন বলেন, ‘‘একদিক দিয়ে এটা কম সীমিত, কারণ আমাকে প্রতিমাসে ভাড়া হিসেবে অনেক অর্থ গুনতে হচ্ছে না৷ আমি যে বেতন পাই, সেটি অনেক না হলেও, সেই অর্থ দিয়ে আমি অনেক কিছু করতে পারি, যেমন ঘুরতে যেতে পারি, বন্ধুদের সঙ্গে বেশি বেশি আড্ডা দিতে পারি৷ কিন্তু আমাকে যদি বেতনের ৬০ ভাগ ভাড়ায় দিয়ে দিতে হত তাহলে সেগুলো করা সম্ভব হত না৷''

আপনি কি এভাবে থাকতে পারতেন?

বা ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন উচ্চ ভাড়ার শহরে বাস করার মতো এমন কোনো বিকল্প পরিকল্পনা কি আপনার কাছে আছে?

ইয়েন্স ফন লার্শার/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ