1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লবণের খনির মধ্যে গির্জা, হোটেল

শ্লিকার/গ্রাসেনাপ/এসবি২২ জুলাই ২০১৬

ছিল মাটির নীচে লবণের খনি৷ আজ সেখানে শুধু দর্শকদের সমাগম৷ ভ্রমণের রোমাঞ্চ থেকে শুরু করে বিয়ের অনুষ্ঠান, চিকিৎসা এবং রাতে থাকার ব্যবস্থাও সেখানে রয়েছে৷ বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে পোল্যান্ডের এই খনি৷

Euromaxx Salzmine Salzbergwerk Wieliczka
ছবি: DW

মাটির নীচে অনেক গভীরে এক অভিনব জগত৷ তাতে রয়েছে এক চ্যাপেল, স্পা এবং পর্যটকদের জন্য খনি সংক্রান্ত ওয়ার্কশপ৷ ভিয়েলিচকায় বাতিল লবণ খনির মধ্যে এ সব দেখতে পাওয়া যায়৷ প্রায় ৭০০ বছর ধরে এই খনি সক্রিয় ছিল৷ এখন শ্রমিকদের বদলে পর্যটকদের ভিড়৷ বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ঘুরে দেখতে বছরে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ আসেন৷ এই পাতাল জগত ঘুরে দেখার দু'টি উপায় রয়েছে৷ পায়ে হেঁটে নীচে নামা যায়৷ অথবা আরও দ্রুত গতিতে লিফটে করে পৌঁছানো যায়৷

খনির মধ্যে ৬৪ থেকে ১৩৫ মিটার গভীরে সব মিলিয়ে মোট ন'টি স্তর রয়েছে৷ কয়েক'শ বছরের খননের ফলে দুই হাজার চেম্বার তৈরি হয়েছে৷ সেই সব জায়গায় আজ শ্রমিকদের তৈরি লবণের ভাস্কর্য শোভা পাচ্ছে৷

বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পোল্যান্ডের লবণ খনি

04:26

This browser does not support the video element.

প্রায় ঘণ্টাখানেক চলার পর ১১০ মিটার গভীরে খনির সেরা আকর্ষণ চোখে পড়ে৷ ১৮৯৫ সালে তৈরি সেন্ট কিংগা পাতাল-গির্জা৷ ভূগোলবিদ মারেক স্ট্রোইনি বলেন, ‘‘সাধারণত প্রতি বছর বিভিন্ন দুর্ঘটনায় তিন-চার জন খনি-শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে৷ তাই শ্রমিকরা প্রার্থনার জায়গা চেয়েছিল৷ সে কারণেই তারা খোদাই করে চ্যাপেল ও ধর্মীয় মূর্তি বানিয়েছে৷''

কিংগা-চ্যাপেলে নিয়মিত প্রার্থনাসভা ও বিয়ের অনুষ্ঠান হয়৷ কমপক্ষে ১,১০০ ইউরো দান করলে নবদম্পতিরা এখানে বিয়ে করতে পারেন৷ এই চ্যাপেল গোটা বিশ্বে তার অ্যাকুস্টিক্স-এর জন্য বিখ্যাত৷ তাছাড়া লবণের ক্রিস্টাল দিয়ে তৈরি ঝাড়লণ্ঠনের মতো অনেক খুঁটিনাটি বিষয়ও নজর কাড়ার মতো৷ দর্শকরাও মুগ্ধ৷

এমন খনিতে কাজের অভিজ্ঞতা ঠিক কেমন ছিল, দর্শকরা খনির অন্য একটি অংশে তার স্বাদ পেতে পারেন৷ তবে সেই ভ্রমণের জন্য পেশাদারি সাজ-সরঞ্জাম প্রয়োজন৷ সেইসঙ্গে চাই লবণ ভাঙার শক্তি৷ সেই লিফট দেখলে অতীত সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়৷

ভিয়েলিচকায় ক্রনিক রোগীদেরও সাহায্য করা হয়৷ অ্যাসমা বা হাঁপানি এবং অ্যালার্জি থাকলে এই ‘পাতাল হাসপাতাল' নিরাময়ের আশা দিতে পারে৷ মাটির প্রায় ১৩৫ মিটার নীচে আছে এক ভিন্ন ধরনের স্যানেটোরিয়াম৷ সেখানকার ভালো বাতাস রোগ সারিয়ে তুলতে পারে৷ বায়োলজিস্ট মাগডালেনা কস্ট্রোৎসোন বলেন, ‘‘উচ্চ মাত্রার আর্দ্রতা, স্থিতিশীল তাপমাত্রা এবং বাতাসে উচ্চ মাত্রার ন্যাট্রিয়াম ক্লোরাইড এখানকার বৈশিষ্ট্য৷ ভূ-পৃষ্ঠের মতো এখানো কোনো দূষণ বা অ্যালার্জি-সৃষ্টিকারক পদার্থ নেই৷''

খনির মধ্যে তিন ঘণ্টা কাটিয়েও যাদের আশ মেটেনি, তাদের জন্য রাত কাটানোর ব্যবস্থাও আছে৷ এটাই ভিয়েলিচকার লবণ খনির সর্বশেষ আকর্ষণ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ