1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

লাইম্যান পুনর্দখল ইউক্রেনের

৩ অক্টোবর ২০২২

আরো একটি শহর রাশিয়ার হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার দূতকে ডেকে পাঠিয়েছে জার্মানি।

ইউক্রেন
ছবি: Yashuyoshi Chiba/AFP/Getty Images

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লয়েড অস্টিন শনিবার জানিয়েছেন, পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর লাইম্যান জেলেনস্কির সেনা পুনর্দখল করেছে। অস্টিনের বক্তব্য, লাইম্যান শহরটির অবস্থান কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত সাত মাস ধরে এই শহরটিকে রাশিয়া কার্যত বেস বা ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন অভিযান শুরু করার পরেই এই শহরটি তারা দখল করে নিয়েছিল। শনিবার সেই লাইম্যান ফের দখল করেছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনে সহায়ক অ্যাপ

04:05

This browser does not support the video element.

লাইম্যান পুনর্দখলের জন্য ইউক্রেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অস্টিন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের সেনা সাহস, দেশাত্মবোধ এবং তাদের হাতে যে অত্যাধুনিক অস্ত্র আছে-- তার সাহায্যেই একের পর এক অঞ্চল পুনর্দখল করছে।

অন্যদিকে, মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ফোন করেছিলেন ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবাকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বার্তা দিতেই তিনি ফোন করেছিলেন বলে জানা গেছে। ব্লিংকেন বলেছেন, রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনের চারটি অংশ নিজেদের বলে দাবি করেছে, অ্যামেরিকা তার স্বীকৃতি দেয় না। অ্যামেরিকা এখনো ইউক্রেনের পাশে আছে।

বস্তুত, গত সপ্তাহে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল নিজেদের বলে দাবি করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন। ওই সব অঞ্চলে গণভোটের আয়োজন করেছিল রাশিয়া। মানুষ মস্কোর পক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে দাবি করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রায় ১৫ শতাংশ জমি তার মধ্যে আছে বলে জানা গেছে। ইউক্রেন অবশ্য ওই অঞ্চলেই এখন লড়াই চালাচ্ছে। শনিবার তারা যে লাইম্যান দখল করেছে, রাশিয়া তা নিজেদের এলাকা বলে চিহ্নিত করেছিল। রাশিয়া দনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্ঝিয়া এবং খেরসন তাদের অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করেছে।

জার্মানি এবং ইইউ-র প্রতিক্রিয়া

রাশিয়ার ওই ঘোষণার পর রোববার জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশ রাশিয়ার দূতকে ডেকে পাঠিয়েছে। কেন রাশিয়া এই ঘোষণা দিয়েছে, তা জানতেই এই সমন বলে মনে করা হচ্ছে। জার্মানি-সহ ইইউ-র একাধিক দেশ আগেই জানিয়ে দিয়েছে, তারা রাশিয়ার কাজকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না।

২০১৪ সালে এভাবেই ক্রাইমিয়া দখল করেছিল রাশিয়া। পশ্চিম তার স্বীকৃতি না দিলেও রাশিয়া এখনো ক্রাইমিয়া দখল করে রেখেছে। ইউক্রেন যুদ্ধে ক্রাইমিয়াকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারও করা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ