1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লাগে মনোবল আর কাজের প্রতি ভালোবাসা : সুপ্রীতি ধর

২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১

সমাজ উন্নয়নে ও গঠনে নারীর ভূমিকা ক্রমশ বাড়ছে৷ বিভিন্ন পেশায় এগিয়ে আসছেন তাঁরা সগৌরবে৷ এইসব পেশাজীবি মহিলাদের কথা জানা গেলে বোঝা যায়, তাঁদের সংগ্রাম আর সাফল্যের কথা৷ জানা যায় তাঁদের পরামর্শ, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য৷

DW- Reporterin Silke Ballweg berichtet für die DW aus Japan. Sie ist vor einer Straßenkreuzung in Tokio zu sehen. Frau Ballweg hat alle Nutzungsrechte an die DW abgetreten. 03/2011. Zugeliefert von Alexander Freund
সাংবাদিকতার নানা ধারায় এখন নারী কর্মীদের সফল বিচরণ বিশ্বের সর্বত্রছবি: DW

সুপ্রীতি ধর৷ বাংলাদেশের নামী সাংবাদিকদের একজন৷ এই পেশায় সাফল্য তিনি পেয়েছেন বটে, তবে তার পাশাপাশি তাঁর বক্তব্যও খুব স্পষ্ট করে বলেছেন তিনি৷ জানিয়েছেন, কেমন করে তিনি এলেন এই পেশায়৷ প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নে তিনি গিয়েছিলেন অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করতে৷ কিন্তু গিয়ে দেখেন, বিষয়টি বদলে হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতা৷ সেটাকে আর বদলাননি তিনি৷ তাই নিয়ে পড়াশোনা করে দেশে ফেরেন৷ কাজ করতে থাকেন ‘প্রথম আলো' সংবাদপত্রে প্রথমে৷ পরে বিবিসি'তেও৷ এরপর ‘যমুনা টিভি' ঘুরে তিনি বর্তমানে ‘মাছরাঙা' টিভিতে নিউজ এডিটরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন৷ সুপ্রীতি তাঁর পেশাদারী জীবন শুরু করেছিলেন ‘প্রশিকা' নামের একটি এনজিও'তে৷ যদিও সেকাজ তাঁর পছন্দ হয়নি তেমন৷

পরিবারেই সাংবাদিকতার বীজ ছিল৷ পিতা মধুসূদন ধর সংবাদ পাঠানোর কাজ করতেন৷ ৭১-এ পাকবাহিনী সেই কারণেই তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে৷ সুপ্রীতির এক বড়োভাইও সাংবাদিকতার এবং লেখালিখির সঙ্গে যুক্ত৷ সুপ্রীতি জানিয়েছেন, মেয়েরা এই পেশায় এসে যদি ভালোবেসে কাজটিকে আপন করে নিয়ে করতে পারে, তাহলে অনেক বাধা ঠেলে এগোনো যায়৷ পরবর্তী প্রজন্মের মেয়েদের পরামর্শ দিতে গিয়ে সুপ্রীতি বলছেন, অনেক মেয়েই বলে, রাতের ডিউটি করতে পারব না৷ এই মানসিকতা বদলাতে হবে তাদের সর্বাগ্রে৷ নিজের জীবনের উদাহরণ দিয়ে তাঁর মন্তব্য, তিনি একজন একক মাতা৷ দুটি সন্তানকে একাই মানুষ করছেন৷ সমস্যা হয়তো এসেছে অনেক সময়৷ কিন্তু তাতে পিছপাও হননি কখনোই৷

তাই বলে কী মেয়েদের জন্য পেশাগত সমস্যা আসে না সাংবাদিকতায়? সুপ্রীতি দৃঢ়স্বরে জানাচ্ছেন, সমস্যা আসে৷ যেমন, নারী সাংবাদিকদের কেরিয়ারে উত্থানের দিকটি কিছুতেই তত মসৃণ হয়না, যেমনটা একজন পুরুষের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে৷ বাংলাদেশে অনেক মহিলা সাংবাদিকতার পেশায় আছেন৷ কিন্তু, সিদ্ধান্ত নেওয়ার মত জায়গায়, অর্থাৎ, ওপরের পদে ক'জন রয়েছেন? প্রশ্ন তোলেন সুপ্রীতি৷ তাঁর এই নিদর্শন স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয়, সমীকরণগুলি সবসময়ে সঠিক নয়৷ মেয়েদের পিছিয়ে রাখার একটা সূক্ষ্ম প্রচেষ্টা রয়েই গেছে৷ আর সে এক অনস্বীকার্য সত্য৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ