করোনার মধ্যেই লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। ডোকলামের পর এতটা উত্তেজনা সম্প্রতি দেখা যায়নি।
বিজ্ঞাপন
মে মাসের প্রথমে একবার দুই দেশের সেনার মধ্যে হাতাহাতি হয়ে গিয়েছে। ভারত ও চীনের আড়াইশ সেনা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলো। তারপর কম্যান্ডাররা আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু উত্তেজনা কমেনি, বরং বেড়েছে। সম্প্রতি দুই দেশই পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিশেষ করে প্যাংগং ও গালয়ান উপত্যকায় সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে। চীন বাঙ্কার তৈরি করেছে। অস্থায়ী পরিকাঠামোও তৈরি করেছে। সেখানে তারা দুই থেকে আড়াই হাজার সেনা বাড়িয়ে নিয়েছে। ভারতও একই রকমভাবে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে। দুই দেশের সেনা একেবারে মুখোমুখি। উত্তেজনা রয়েছে। ২০১৭ সালে ডোকলামের পরেও এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, যেটা এ বার পূর্ব লাদাখে হয়েছে।
সূত্র জানাচ্ছে, ভারতও সেনা সংখ্যা বাড়িয়ে নিয়েছে। চীনের সেনার তুলনায় ভারতের সেনার সংখ্যা বেশি। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে উদ্বেগের বিষয় হলো, গালয়ান উপত্যকায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চীনা সেনার উপস্থিতি ও সংখ্যা বাড়ানো। অবসরপ্রাপ্ত লেফটানান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''প্যাংগং লেকের দুই তৃতীয়াংশ চীনের অধিকারে, এক তৃতীয়াংশ ভারতের। চীন তাদের অধিকারের এলাকা বাড়াতে চায়। তার পাশে যে পাহাড় আছে, সেগুলির নামকরণ হয় ফিঙ্গার দিয়ে। ফিঙ্গার ওয়ান, টু, থ্রি। আমদের দাবি, ফিঙ্গার পাঁচ পর্যন্ত আমাদের। আবার চীন বলে ফিঙ্গার নয় থেকে তিন পর্যন্ত তাঁদের। এ নিয়ে বিরোধ আছে। যা খবর বেরচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, চীন ওখানে এক ব্যাটেলিয়ান সেনা অতিরিক্ত নিয়ে গিয়েছে। কামান নিয়েছে। আমাদেরও ফিল্ড গান, মাউন্টেড গান নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা চাই না উত্তেজনা বাড়ুক। বেশি উত্তেজনা হলে ফ্ল্যাগ মিটিং হচ্ছে।'' অবসরপ্রাপ্ত লেফটানান্ট জেনারেল ডিএস হুডার মতে পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক নয়। বরং চিন্তাজনক।
বিশ্বে সামরিক ব্যয়ে ভারত এখন তৃতীয়
সুইডেনের ‘স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট’ বা সিপ্রি ২০২১ সালে সামরিক খাতে বিভিন্ন দেশের খরচের তথ্য প্রকাশ করেছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভারত তৃতীয়
২০২১ সালে ভারতের সামরিক ব্যয় ছিল ৭৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন, যা বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ। ২০২০ সাল থেকে এই ব্যয় শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে এবং ২০১২ সালের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ।
ছবি: picture alliance/AP Photo/C. Anand
শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালে সামরিক খাতে খরচ করেছে ৮০১ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের তুলনায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ কম। প্রতিবেদন মতে, ২০১২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সামরিক গবেষণা ও উন্নয়নে খরচ বাড়িয়েছে ২৪ শতাংশ এবং অস্ত্র কেনায় খরচ কমিয়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
ছবি: picture-alliance/A. Widak
চীন দ্বিতীয়
তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ চীন ২০২১ সালে সামরিক খাতে খরচ করেছে ২৯৩ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
ছবি: Reuters
চতুর্থ যুক্তরাজ্য
তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে থাকা যুক্তরাজ্য গত বছর সামরিক খাতে খরচ করেছে ৬৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৩ শতাংশ কম।
ছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb
পঞ্চম রাশিয়া
পঞ্চম অবস্থানে থাকা রাশিয়া ২০২১ সালে সামরিক খাতে খরচ করেছে ৬৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। সেসময় রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেনের সীমান্তে সামরিক স্থাপনা তৈরি করছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ছবি: picture-alliance/TASS/A. Demianchuk
ছয় নেমে গেছে সৌদি আরব
আগের তালিকায় তিন নম্বরে ছিল সৌদি আরব৷ ২০১৯ সালে ১৬ শতাংশ ব্যয় কমিয়েছে দেশটি৷ গতবছর দেশটি ৬১.৯ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে৷ ইয়েমেনে সামরিক অভিযান ও ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে সৌদি আরবের সামরিক ব্যয় কমানোতে বিস্মিত হয়েছেন বিশ্লেষকরা৷
ছবি: Getty Images/AFP/F. Nureldine
শীর্ষ পাঁচেই ৬২ শতাংশ
সিপ্রি বলছে, ২০১৯ সালে সামরিক খাতে বৈশ্বিক খরচ ছিল ১৯১৭ বিলিয়ন ডলার৷ এর মধ্যে ৬২ শতাংশই করেছে শীর্ষ পাঁচটি দেশ৷
ছবি: Reuters/J. Lee
প্রবৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি
২০১৯ সালে ২০১৮ সালের তুলনায় সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৩.৬ শতাংশ৷ এটি ২০১০ সালের পর কোনো এক বছরে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির হার৷
ছবি: Getty Images/S. Gallup
ইইউতে প্রথম ফ্রান্স, বিশ্বে সপ্তম
২০১৯ সালে ফ্রান্স ৫০.১ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে, যা দেশটির জিডিপির ১.৯ শতাংশ৷ ২০১৮ সালে তাদের ব্যয় ছিল ৫১.৪ বিলিয়ন ডলার৷
ছবি: Reuters/G. Fuentes
অষ্টম-এ জার্মানি
২০১৯ সালে জিডিপির ১.৩৮ শতাংশ ব্যয় করেছে জার্মানি, সংখ্যার হিসেবে যা ৪৯.৩ বিলিয়ন ডলার৷ ২০১৮ সালে ছিল ৪৬.৫ বিলিয়ন৷ অর্থাৎ, জার্মানির ব্যয় বেড়েছে ১০ শতাংশ, যা সিপ্রির তালিকার শীর্ষ ১৫টি খরুচে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ৷ রাশিয়ার কাছ থেকে হুমকি বাড়া এর একটি কারণ বলে মনে করছেন সিপ্রির বিশ্লেষকরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Skolimowska
শীর্ষ দশে এশিয়ার আরো দুই দেশ
সিপ্রির তালিকায় শীর্ষ ১০ খরুচে দেশের তালিকায় নয় ও দশ নম্বরে যথাক্রমে আছে জাপান (৪৭.৬ বলিয়ন ডলার) ও সাউথ কোরিয়া (৪৩.৯ বিলিয়ন ডলার)৷
ছবি: AP
বাংলাদেশ
২০১৯ সালে বাংলাদেশের সামরিক ব্যয় ছিল ৪,৩৫৮ মিলিয়ন ডলার, ২০১৮ সালে যা ছিল প্রায় ৩,৬৯২ মিলিয়ন ডলার৷
ছবি: DW/M. Mamun
12 ছবি1 | 12
কোনও দেশ যখন সীমান্তে বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এ ভাবে শক্তি দেখায়, আগ্রাসনের চেষ্টা করে, তখন তার পিছনে কোনও না কোনও কারণ থাকে। করোনার মধ্যে চীনের এ হেন সিদ্ধান্তের পিছনেও কোনও কারণ থাকবে। লেফটানান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্যের মতে, ''করোনা নিয়ে অ্যামেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতও চীনকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। তাই চীনা সেনাবাহিনীর লাদাখে এই ভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠার একটা কারণ এটা হতে পারে।''
নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বিজনেস এডিটর জয়ন্ত রায়চৌধুরি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''অর্থনৈতিক কারণে এটা হচ্ছে না। সব দেশ একই রকমভাবে চীনা জিনিসের ব্যবহার কমাবার চেষ্টা করছে। ভিয়েতনাম করেছে, কম্বোডিয়া করেছে। জাপানও করেছে। চীন তাতে রাগতে পারে। প্রত্যাঘাতও করার চেষ্টা করবে। কিন্তু সেনা পাঠিয়ে রক্তচক্ষু দেখানোর চেষ্টা করছে না। আমার ধারণা এবং প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে যা মনে হয়েছে, চীন অনেক বেশি চিন্তিত আমাদের কাশ্মীর নীতি নিয়ে। ভারত সম্প্রতি জাতি সংঘে একটা ম্যাপ দিয়েছে, যেখানে আকসাই চীন সহ গোটা কাশ্মীরকে ভারতের এলাকা বলে দাবি করা হয়েছে। চীনের বরাবরের দাবি আকসাই চীন তাদের। এখনও এলাকাটা তাদের অধিকারে। এ ছাড়া তাদের মনে হতে পারে, ভারত হয়তো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে। তাই তারা এ ভাবে চাপ দিচ্ছে।''
অর্থ-বাণিজ্য-সমরে বন্ধু চীন-পাকিস্তান
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যত শীতল হোক না কেন, চীনের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক বরাবরই বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ ৷ কিন্তু দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সূত্রপাতটা, বলা ভাল কূটনৈতিক বন্ধুত্বের শুরুটা কবে?
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Schiefelbein
রাজনৈতিক সম্পর্ক
আলাপের সূত্রপাত ১৯৫১ সাল নাগাদ হলেও ১৯৬০-১৯৭০ সালের মাঝামাঝি দুই দেশের সম্পর্ক ভাল হতে শুরু করে ৷ চীন-পাকিস্তান পরস্পরের স্থায়ী সহযোগী হয় ঠিক সেই সময়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Schiefelbein
ঐতিহাসিক চুক্তি
১৯৫৯ সালে পাকিস্তানের কিছুটা অংশ চীনের মানচিত্রে দেখা যায়৷ ১৯৬৩ সালে সীমানা সংক্রান্ত একটি চুক্তিও হয় তাদের মধ্যে ৷
ছবি: Vogel/Bläse
ভারত-পাকিস্তান বিবাদ
১৯৬৫ সালে ভারত-পাক বিবাদে চীন পাকিস্তানের পক্ষ নেয় ৷ ১৯৬৫ সালে দুই দেশের পাঠ্যবইয়ে দুই দেশের নানা ঘটনা জায়গা পায়৷ সিনেমা প্রদর্শন ছাড়াও সবচেয়ে বড় ঘটনা ছিল অন্য ৷ পাকিস্তানই একমাত্র দেশ, যাদের বিমান সোজা বেইজিংয়ে যাতায়াত শুরু করে ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্রসঙ্গ মুক্তিযুদ্ধ
রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশের সময় বিরোধিতা করেছিল চীন৷ ১৯৭৫ সালের ৩১ আগস্টের আগে বাংলাদেশকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা দেওয়ারও বিরোধী ছিল চীন ৷ পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের প্রধান উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার পাকিস্তানের সহায়তায় চীন সফরে যান বললে ভুল হবে না ৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid
নিরাপত্তা সহায়তা
নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে পাকিস্তানকে সহায়তা করতে থাকে চীন ৷ অন্যদিকে তাইওয়ান, তিব্বত, শিজিয়াং ও অন্য ইস্যুতে চীনকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করতে থাকে পাকিস্তান৷
ছবি: ISPR
অর্থনৈতিক সম্পর্ক
দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কও জোরদার হয় ৷ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীন সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে পাকিস্তানেই৷ দু দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল্য প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকারও বেশি৷ ২০০০-২০১৫ সালে বাণিজ্যিক চুক্তির পরিমাণ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে৷
ছবি: picture-alliance/AA
সামরিক সম্পর্ক
সামরিক ক্ষেত্রেও যুযুধান দুই পক্ষের বন্ধুত্ব চোখে পড়ার মতো৷ যৌথ মহড়া, অস্ত্র নির্মাণ, অফিসারদের প্রশিক্ষণ, সন্ত্রাসদমনে পারস্পরিক সহায়তা সর্বত্র পাশে থেকেছে তারা ৷
ছবি: AP
ক্ষেপণাস্ত্র সহায়তা
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পাকিস্তানের শাহিন ক্ষেপণাস্ত্রের পিছনেও চীনের অবদান রয়েছে ৷ পাকিস্তানে বিমান বাহিনীতে চীনা প্রশিক্ষণ বিমান, চীনা রাডার সিস্টেমের ব্যবহার তো রয়েছে ৷ দুই দেশ একত্রে জেএফ-১৭-এর মতো যুদ্ধবিমান তৈরি করছে বলেও বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/F. Naeem
পারমাণবিক প্রকল্প
পাকিস্তানের পরমাণু প্রকল্পকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে চীন৷ পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন পারমাণবিক কারখানা নির্মাণে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) ছাড়াও চীনের জাতীয় নিউক্লিয়ার কর্পোরেশনও সহায়তা করেছে ৷
ছবি: Imago/ZUMA Press
অর্থনৈতিক করিডোর
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (CPEC) তৈরিতে চীনের তরফে প্রায় ৫০ লাখ কোটি টাকা সহায়তার প্রস্তাব রাখা হয়েছে ৷ এই প্রকল্পের অধীনে সড়ক, বিদ্যুৎ কারখানা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, বন্দর তৈরি হবে পাকিস্তানে ৷ বাড়বে কর্মসংস্থান ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. F. Röhrs
সাংস্কৃতিক সমঝোতা
ইসলামাবাদে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজের তরফে মিশবাখ রশিদ ডয়েচে ভেলেকে জানিয়েছিলেন চীনা ভাষা শেখার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ৷ ২০০ থেকে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০০-এ ৷
ছবি: DW/S. M. Baloch
কাশ্মীর সংকট
কাশ্মীর ইস্যু নিয়েও বারবার পাকিস্তানের পাশেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে থেকেছে চীন ৷ আকসাই চীন ইস্যুতেও চীনকে সমর্থন জানিয়েছে পাকিস্তান ৷
ছবি: Reuters/Handout
12 ছবি1 | 12
উৎপল ভট্টাচার্যের দাবি, ''এই চাপ দেওয়ার নীতি চলতে থাকবে। তবে চীন ভালো করেই জানে ১৯৬২-র ভারত এবং ২০২০-র ভারতের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। ওরা জানে আমাদের শক্তি কতটা। ওরা ব্লো হট, ব্লো কোল্ড নীতি নিয়ে চলছে। আমরাও তাই করছি।''
এর মধ্যে নেপালের সঙ্গেও ভারতের মতবিরোধ হয়েছে। ভারত আসলে মানস সরোবরে যাওয়ার একটা রাস্তা বানাচ্ছে উত্তরাখণ্ডে। তা নিয়ে আপত্তি নেপালের। তাতে ভারতের সেনা প্রধান বলেছেন, অন্য একটা দেশের নির্দেশে নেপাল এই কাজ করেছে। তাতে নেপালও কড়া বিবৃতি দিয়েছে। আসলে ভারত-নেপাল সীমান্তে কালী নদী এখন তিনটি ধারায় বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। ভারত বলছে এক নম্বর কালী নদী থেকে আমাদের এলাকা। নেপাল বলে, তিন নম্বর কালী নদী থেকে ভারতের এলাকা। উৎপলবাবুর বক্তব্য, চীনও এখানে নেপালকে উসকাচ্ছে। তাই তারা রাস্তা বানানো নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছে।
পাকিস্তানের সঙ্গেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রায় প্রতিদিনই গোলাগুলি চলছে। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান জঙ্গিদের ঢোকাতে চাইছে বলে গোলা-গুলি চালাচ্ছে। মোট কথা, করোনাকালেও ভারতের সীমান্ত বেশ অস্থির। তবে সব চেয়ে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে লাদাখে চীনের সঙ্গে।