1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিউত্তর অ্যামেরিকা

লাদাখ: অ্যামেরিকাকে যেভাবে নিরস্ত করেছিল চীন

৩০ নভেম্বর ২০২২

মার্কিন কংগ্রেসে রিপোর্ট পেশ করলো পেন্টাগন। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধে অ্যামেরিকাকে হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করেছিল চীন।

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারতীয় সেনা।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারতীয় সেনা। ছবি: Mukhtar Khan/AP/picture alliance

লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রবল সংঘর্ষে জড়িয়েছিল ভারত ও চীন। সেসময় চীন রীতিমতো হুমকি দিয়ে অ্যামেরিকাকে বলে, তারা যেন এই সংঘাতে হস্তক্ষেপ না করে। পেন্টাগনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, চীনা কর্মকর্তারা বারবার অ্যামেরিকাকে বলেছে, এই সংঘাত বড় কিছু নয়। ছোটখাট বিষয়। চীন সবসময় সীমান্তে স্থায়িত্ব চায়। এর জন্য ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ হবে না বলেও তারা জানায়।

পেন্টাগন জানিয়েছে, ভারত যাতে সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে অ্যামেরিকার সঙ্গে হাত না মেলায়, সেজন্য চীন সমানে চেষ্টা করে গেছে। চীনের কর্মকর্তারা অ্যামেরিকাকে সাবধান করে দিয়ে বলেছিলেন, তারা যেন কিছুতেই হস্তক্ষেপ না করে।

ভারত-চীন সংঘাতের সময় অ্যামেরিকা বিশেষ কোনো ভূমিকা নেয়নি। তারা সাধারণ কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছিল মাত্র। কিন্তু হস্তক্ষেপ দূরে থাক। তারা এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, যাতে মনে হতে পারে, ওয়াশিংটন এই সংঘাতে ভারতকে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করছে। যেভাবে তারা ইউক্রেনকে সমর্থন ও রাশিয়ার বিরোধিতা করছে, তার কিছুই ভারত-চীন সংঘাতের সময় দেখা যায়নি।

পেন্টাগন যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে একটি আলাদা অধ্যায় আছে ভারত-চীন সংঘাত নিয়ে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের পুরো সময় ধরেই চীন এলএসি বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা মোতায়েন করেছে, পরিকাঠামো তৈরি করেছে। তার আগে ২০২০ সালের মে মাসে ভারত ও চীনা সেনার মধ্যে প্যাংগং লেক ও তার আশেপাশে পাথর, ব্যাটন, তার জড়ানো লাঠি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এর ফলে দুই দেশই এলএসি-তে প্রচুর সেনা মোতায়েন করে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুই দেশই সেনা প্রত্যাহার করে আগের জায়গায় ফিরে যাওয়ার কথা বলে। কিন্তু চীন বা ভারত কেউই এই শর্তে রাজি হয়নি। চীন বলেছে, ভারত তাদের সীমানায় ঢুকে পরিকাঠামো তৈরি করছিল। আর ভারতের অভিযোগ, চীনা সেনা তাদের এলাকা দখল করে পরিকাঠামো বানাতে শুরু করে। ২০২০ সালের সংঘর্ষের পর চীনের প্রচুর সেনা সেখানে আছে এবং পরিকাঠামো বানিয়ে যাচ্ছে।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ