তথাকথিত ‘লাভ জিহাদ' কিছুতেই তাঁরা বরদাস্ত করতে পারছে না৷ তাঁদের মতে, এটা ধর্মান্তরিত করার একটা ফন্দি ছাড়া আর কিছু নয়৷ সরকার এই দৌরাত্ম্য আটকাতে পারছে না, কারণ দেশে এর বিরুদ্ধে কোনো আইন নেই৷
বিজ্ঞাপন
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কিছু না কিছু ভিন্ন সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়ের মধ্যে প্রেম, ভালোবাসা এবং বিয়ে হচ্ছে৷ মৌলবাদী হিন্দুরা যার নাম দিয়েছে ‘লাভ জিহাদ'৷ প্রথমদিকে নাম ছিল রোমিও জিহাদ৷ কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা কিছুতেই এই‘লাভ জিহাদ' মেনে নিতে পারছে না৷ কেন পারছে না ? কারণ, এটা তাদের মতে, ধর্মান্তর করা ছাড়া আর কিছুই না৷ এই অভিযোগে হিন্দু-মুসলিম দম্পতির বাড়িতে গিয়ে চড়াও হচ্ছে বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল বা সংঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ৷ তাদের নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে৷
এই তো গত বৃহস্পতিবার দিল্লির উপকন্ঠে নয়ডার এক শিক্ষিতা হিন্দু তরুণী কৃষ্ণা এবং উচ্চ শিক্ষিত মুসলিম যুবক সাদ্দাম মিরাটের আদালতে তাঁদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে গেলে তাঁদের ওপর চড়াও হয় মৌলবাদী হিন্দু সংগঠন বজরং দল৷ কিন্তু হিন্দু মেয়েটি বলেন, তিনি স্বেচ্ছায় এই বিয়ে করছেন৷ বজরং দল নাছোড়বান্দা৷ তারা মনে করে এই ধরণের হিন্দু-মুসলিম বিবাহ ধর্মান্তরিত করার একটা ছল৷ তারা কখনোই এটা হতে দেবে না৷ কারণ, এই ধরণের বিয়ে বন্ধ করা তাঁদের ধর্মীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য৷ পুলিশ তাঁদের বাঁচাতে গেলে বজরং দলের কর্মীরা ‘লাভ জিহাদকে রক্ষা করছে', এই অভিযোগে পুলিশের ওপরও হামলা চালায়৷ পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়৷
শাহরুখকে ‘পাকিস্তানের দালাল’ বলল হিন্দু মৌলবাদীরা
হিন্দু মৌলবাদীরা ভারতে যে অসহিষ্ণুতা ছড়াচ্ছে – এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন হিন্দি ছবির সুপারস্টার শাহরুখ খান৷ তাতেই খেপে গেছেন বিজেপিসহ হিন্দু মৌলবাদী অন্যান্য দলের কতিপয় নেতা৷ শাহরুখকে বলছেন ‘পাকিস্তানের দালাল’!
ছবি: Johannes Eisele/AFP/Getty Images
কিং খানের ‘হাফ সেঞ্চুরি’
গত ২ নভেম্বর ছিল ‘বলিউড কিং’ শাহরুখ খানের ৫০তম জন্মদিন৷ জীবনের অর্ধ শতাব্দী পূরণ বলে কথা! বিশ্বের কোটি কোটি ভক্ত এ উপলক্ষ্যে অভিনন্দন এবং শুভকামনায় সিক্ত করেন শাহরুখকে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Stringer
শাহরুখের সত্যি বয়ান
জন্মদিনে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন শাহরুখ৷ সাম্প্রতিক সময়ে গরুর মাংস নিয়ে হিন্দু মৌলবাদীরা যে দেশব্যাপী অসহিষ্ণুতা ছড়িয়েছে সেই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে শাহরুখ বলেছিলেন, ‘‘ধর্মীয় সহিষ্ণুতার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু আর হয়না৷ ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি দেশকে অন্ধকার যুগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷’’
ছবি: picture alliance/ZUMA Press/F. Shamim
বিজেপিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া
সাক্ষাৎকারটি প্রচারের পরই বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়ভার্গব টুইটারে লিখে দেন,‘শাহরুখের হৃদয় পড়ে আছে পাকিস্তানে’৷ সেই টুইট পরে প্রত্যাহার করে নিলেও বুধবার তিনি বলেছেন, ভারত অসহিষ্ণু হলে শাহরুখের মতো এক মুসলমান অমিতাভ বচ্চনের পরই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকা হতে পারতেন না৷’’ বিজেপির কয়েকজন নেতা শাহরুখকে ‘মুখ সামলে কথা বলা’র অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, মুখ না সামলালে শাহরুখের ছবি বয়কট করা হবে৷
ছবি: Johannes Eisele/AFP/Getty Images
জঙ্গি নেতার সঙ্গে তুলনা
শাহরুখের সমালোচনা করতে গিয়ে বিজেপির আরেক সাংসদ যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘শাহরুখ এখন হাফিজ সাঈদের ভাষায় কথা বলছেন৷’’ বলিউড ইতিহাসের অন্যতম সেরা সুপারস্টারের সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লশকর-ই তৈয়বার শীর্ষ নেতা হাফিজ সাঈদের তুলনা ভারতের সাধারণ মানুষ এবং শাহরুখ ভক্তদের আহত করেছে৷ সংবাদ এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের তেমন প্রতিক্রিয়াই জানাচ্ছেন সবাই৷
ছবি: AP
শাহরুখের ধর্মনিরপেক্ষতা
ধর্মীয় সহিষ্ণুতার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত জীবনে শাহরুখ খুবই উদার৷ তাঁর স্ত্রী গৌরির জন্ম হিন্দু পরিবারে৷ প্রেম করে বিয়ে করার পরেও শাহরুখ কখনো গৌরির ধর্ম বিশ্বাস বা ধর্ম চর্চায় হস্তক্ষেপ করেননি৷ ভক্তদের কাছে ‘এসআরকে’ নামেও পরিচিত মুম্বই মহাতারকা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে নামাজ পড়া এবং পূজা করার ব্যবস্থা রয়েছে৷ ছবিতে স্ত্রী গৌরির সঙ্গে শাহরুখ৷
ছবি: Strdel/AFP/Getty Images
5 ছবি1 | 5
এর কয়েকদিন আগের ঘটনা৷ উত্তর প্রদেশের হাপুর শহরে বিদ্যা শ্রীবাস্তব এবং শোয়েব আলম দম্পতির বাড়িতে চড়াও হয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মীরা৷ তাদের অভিযোগ, আলম নাকি ভুলিয়ে ভালিয়ে বিদ্যাকে বিয়েতে রাজি করায়৷ যদিও বিদ্যা সেকথা মানেননি৷ তিনি বলেছেন, নিজের ইচ্ছায় আলমকে বিয়ে করেছেন৷ আদতে বিহারের বাসিন্দা এই দম্পতি পরিবারের আপত্তি অগ্রাহ্য করে আদালতে গিয়ে বিয়ে করেন এবং পরে হাপুরে এসে থাকেন৷ হিন্দুত্ববাদী কর্মীদের হেনস্থার হাত থেকে বাঁচতে তাঁরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঐ দম্পতির নিরাপত্তার জন্য তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে আনার চেষ্টা করে৷হিন্দুত্ববাদীরা আলমকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে৷ তথাকথিত লাভ জিহাদের জেরেই নাকি কেরালার একটি হিন্দু তরুণী অখিলা ওরফে হাদিয়া, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করেন মুসলিম যুবক সাফিন জাহানকে৷ হাদিয়ার পরিবার জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ দায়ের করে কেরালা হাইকোর্টে৷
হাইকোর্ট সেই বিয়ে অবৈধ বলে রায় দিলে হাদিয়ার স্বামী সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন৷ শীর্ষ আদালত জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ-কে ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দেন৷ এআইএ'র প্রথমিক রিপোর্টে বলা হয়, এই ধরনের ধর্মান্তকরণের পেছনে কাজ করছে একটা সংগঠিত চক্র৷ যদিও হাদিয়া তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন৷ কেরালায় অনুরূপ ঘটনা হিন্দু তরুণী আথিলা নাম্বিয়ারকে নিয়ে৷ তাঁকেও নাকি জোর করে ধর্মান্তরিত করার পর এক মুসলিম যুবক বিয়ে করেন৷ আথিলার বাবা ও মা কেরালা হাইকোর্টে জবরদস্তি ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে হেবিয়াস কর্পাস পিটিশন দাখিল করেন৷
জাতীয় তদন্তকারী এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁরা হিন্দু মেয়েদের জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার ৩২টি ঘটনা খতিয়ে দেখছে, তাতে দেখা গেছে এর পেছনে একটা সংগঠিত চক্র কাজ করছে৷ এতে গোটা বিতর্কটা হিন্দু মৌলবাদীদের হাতে রসদ তুলে দিয়েছে৷ উত্তরপ্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও লাভ জিহাদের মধ্যে ষড়যন্ত্র খুঁজে পান৷ নির্বাচনি প্রচারে গিয়ে হুঙ্কার দেন, একজন হিন্দু মেয়েকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করলে আমরা ১০০ জন মুসলিম মেয়েকে ধর্মান্তরিত করবো৷
এই রকম ভিন্ন ধর্মের বিয়ের বহু ঘটনা আকছারই ঘটছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে হিন্দুত্ববাদীদের রক্ত চক্ষুকে অগ্রাহ্য করে৷ তবুও লাভ জিহাদের বড় শিকার মেয়েরাই৷ তবে ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষ অংশ মনে করছেন, হিন্দু রাষ্ট্রের পরিকল্পনা করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের মতো সংগঠনগুলি৷ সেখানে জনসংখ্যার আনুপাতিক হার একটা বড় ভূমিকা আছে৷ এরই পাল্টা লাভ ‘ত্রিশুল'-এর মতো জিহাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবিকা সমিতি৷ তারা মনে করেন, মোদী সরকার যখন তিন তালাক প্রথা থেকে মুসলিম মহিলাদের বাঁচাতে ঐ প্রথা রদ করতে সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে সক্ষম হন, সেক্ষেত্রে লাভ জিহাদের বিষয়েও একটা ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারে মোদী সরকার৷ সেখানে গৈরিক রং যেন বাধা না হয়৷
ধর্মের নামে মন্দির, মসজিদ ও ঐতিহাসিক স্থাপনায় হামলা
প্রাচীন স্থাপনা ও অমুসলিমদের ধর্মীয় উপাসনালয় ধ্বংস করে চলেছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস৷ মসজিদের ওপরও হামলা হয়েছে৷ উপমহাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ইতিহাসও দীর্ঘ৷ ধর্মের নামে এমন ধ্বংসের ‘খেলা’ থামবে কবে?
ছবি: Reuters
মালিতে ধ্বংসলীলা
এক সময় মালির টিমবাকটু শহরের অন্য নাম ছিল ‘মরুদ্যানের মুক্তা’৷ সেই শহরের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্যকে ধ্বংস করেই চলেছে সেখানকার ইসলামি জঙ্গি সংগঠন৷ ২০১২ সালে শহরটিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর থেকে মুসলমানদের গড়া অনেক স্থাপত্য নিদর্শনও ধ্বংস করেছে তারা৷ সম্প্রতি শহরটিকে জঙ্গিদের কবল থেকে পুরোপুরি মুক্ত করার দাবি করেছে মালির সেনাবাহিনী৷
ছবি: Getty Images/AFP
সন্ত্রাসপ্রীতি এবং জ্ঞানভীতি
শুধু স্থাপনা বা গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নিদর্শনই নয়, অনেক গুরুত্বপূর্ণ পাণ্ডুলিপিও ধ্বংস করেছে জঙ্গিরা৷
ছবি: DW/P. Breu
তথাকথিত আইএস-এর হামলা
সিরিয়ার পালমিরা শহরের প্রায় ২,০০০ বছরের পুরনো স্থাপনাগুলোও রেহাই পায়নি৷ সে দেশে চলছে তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর ধ্বংসযজ্ঞ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পালমিরার মন্দির ধ্বংস
এক সময় সিরিয়ার হোমস নগরীর এই স্থাপনাটিকে নিয়ে গর্ব করত সিরিয়া৷ এটি এক সময় ছিল মন্দির৷ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রাচীন এই উপসনালয় দেখে পর্যটকরা মুগ্ধ হতেন৷ আইএস-এর হামলায় স্থাপনাটি এখন ক্ষতবিক্ষত৷
ছবি: Reuters/Stringer
ধ্বংস যখন প্রচারণার হাতিয়ার
ধর্মীয় সম্প্রীতি, সাংস্কৃতিক সহাবস্থানকে হুমকির মুখে দাঁড় করানোর চেষ্টায় আইএস অক্লান্ত৷ নৃশংসতা, বর্বরতা ক্রমেই আইএস-এর প্রচারণার হাতিয়ার হয়ে উঠছে৷ এভাবে পেট্রল ঢেলে স্থাপনা পোড়ালে সংবাদমাধ্যম লুফে নেয় খবর, খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে তথাকথিত জঙ্গিরাও পেয়ে যায় তাদের কাঙ্খিত প্রচার৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
আয়ের উৎস
সিরিয়া ও ইরাকের প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ শুধু ধ্বংসই করে না, অনেক সময় কদর বুঝে সেগুলো চোরাপথে চড়াদামে বিক্রিও করে আইএস৷ প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছ থেকেও অমূল্য সম্পদ কেড়ে নিয়ে বিক্রি করার অভিযোগ আছে আইএস-এর বিরুদ্ধে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/IS/Internet
আফগানিস্তানে তালেবান বর্বরতা
আফগানিস্তানের এই বৌদ্ধ মন্দিরটিকে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের স্বীকৃতি দিয়েছিল ইউনেস্কো৷ ২০০১ সালে হামলা চালিয়ে এটি প্রায় ধ্বংস করে দেয় তালেবান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/N. Ahmed
আফ্রিকায় হামলার শিকার মসজিদ
মসজিদও অনেকক্ষেত্রে তথাকথিত ধর্মীয় উন্মত্ততার শিকার৷ ২০১৫ সালে মুসলমানদের উপাসনালয়ের ওপর সবচেয়ে বেশি হামলার খবর আসে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকান থেকে৷ খ্রিষ্টান-মুসলিম দাঙ্গায় সেখানে অন্তত ৪১৭টি মসজিদ আংশিক অথবা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে বলেও দাবি করা হয়৷
ছবি: ISSOUF SANOGO/AFP/Getty Images
গির্জায় হামলা
ইসলামি জঙ্গিরা আফ্রিকা অঞ্চলে গির্জাতেও প্রায়সময়ে হামলা চালায়৷ হামলায় হতাহতের ঘটনাও ঘটে৷ ওপরের ছবিটিতে কেনিয়ার এক গির্জায় হামলার পরের দৃশ্য৷
ছবি: dapd
ভারতের ইতিহাসের কালো অধ্যায়
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের ইতিহাসের ‘কালো দিন’৷ ভারতের উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার বাবরি মসজিদে সেদিনই হামলা চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে হিন্দু মৌলবাদীরা৷ মুঘল সম্রাট বাবরের নামে গড়া সুপ্রাচীন এই মসজিদের ওপর হামলার ঘটনা ভারতের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে৷
ছবি: AFP/Getty Images
বাংলাদেশে প্রতিবছরই মন্দিরে হামলা
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মূলত একাত্তরের মুক্তযুদ্ধের সময় থেকেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুরা হামলা, নির্যাতনের শিকার৷ তবে মন্দিরে মুর্তি ভাঙা, মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অসংখ্য ঘটনা ঘটে প্রতিবছর৷ বৌদ্ধ মন্দিরেও হামলা হয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হামলার কারণ ধর্মীয় উগ্রতা৷ সারা বিশ্বে ধর্মের নামে ধর্মীয় উপাসনালয় বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ওপর হামলা থামবে কবে?
ছবি: Reuters
11 ছবি1 | 11
এ প্রসঙ্গে আপনার কোন মতামত থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷