এ রাজ্যে জয় নিশ্চিত করলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত করতে পারবেন বাইডেন৷
এরই মধ্যে রাজ্যটিতে ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা হয়ে গেছে৷ পুরোটা সময় ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও শেষ মুহূর্তে এগিয়ে গেছেন বাইডেন৷ মাত্র কয়েকশত ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে গেলেও জিতলে ১৬টি ইলেক্টরাল ভোট নিশ্চিত করবেন বাইডেন৷ এরই মধ্যে ২৬৪ ভোট নিশ্চিত করা বাইডেনের মোট ভোট দাঁড়াবে ২৮০ তে৷ ফলে বাকি কোনো রাজ্যে জয় না পেলেও যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন বাইডেন৷
এদিকে ১৫ ভোটের নর্থ ক্যারোলাইনায় ৭৬ হাজার ভোটে এবং ২০ ভোটের পেনসিলভেনিয়ায় ১৮ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প৷ তিন ভোটের আলাস্কাতেও বিপুল ব্যবধানে তিনি এগিয়ে রয়েছেন৷ এ দুটোতে জিতলেও ট্রাম্পের মোট ইলেক্টরাল ভোট দাঁড়াবে ২৫২ এ৷ ফলে এ মুহূর্তে কেবল জর্জিয়ায় জয় নিশ্চিত করলেই চলবে না, বাইডেনের এগিয়ে থাকা রাজ্য নেভাডাতেও জয় নিশ্চিত করতে হবে ট্রাম্পকে৷
এখন বেশিরভাগ রাজ্যেই চলছে পোস্টাল ভোট গণনা৷ ডেমোক্র্যাটরাই মূলত এই পোস্টাল ভোটে বেশি অংশ নিয়েছেন৷ ফলে শেষ মুহূর্তের গণনায় ট্রাম্পের এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা৷
এডিকে/জেডএইচ (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)
ভোটদানের পর অ্যামেরিকা
ভোটদান শেষে ভোট গণনার মধ্যে কেমন আছে অ্যামেরিকা, তারই কিছু দৃশ্য দেখুন এই ছবিঘরে...
ছবি: Carlo Allegri/REUTERS
শুরু থেকেই প্রতিবাদ
৪ নভেম্বরের রাত থেকেই যখন অ্যারিজোনার ফলাফল আস্তে আস্তে পরিষ্কার হতে থাকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকেই জয়ের হিসাবে এগিয়ে রাখেন৷ ভোটগণনার হিসাবেও সেই ধারা উঠে আসে৷ প্রত্যাশিত ফলাফল উঠে না আসায় রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা পথে নেমে প্রতিবাদ জানান৷
ছবি: Edgard Garrido/REUTERS
প্রতিবাদে অ্যানার্কিস্টরাও
অরেগনের প্রতিবাদী জনতাদের একাংশের মত, তাদের বাইডেন প্রয়োজন নেই৷ তারা শুধু ‘ফ্যাসিবাদী হত্যা’, ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ’ ও পুলিশি নির্যাতনের বদলা চায়৷ প্রতিবাদী জনতার হাতে ধরা ফেস্টুনে রয়েছে অ্যানার্কিস্ট বা নৈরাজ্যবাদী বিশ্বাসের চিহ্ন৷
ছবি: Goran Tomasevic/REUTERS
প্রতিবাদীদের অস্ত্র
অরেগনের শহর পোর্টল্যান্ডের প্রতিবাদীদের মধ্যে এক নারীর হাতে ধরা রয়েছে একটি রাইফেল৷ এরই মধ্যে সেই শহরে দাঙ্গার পরিস্থিতি হওয়ায় অবস্থা সামলাতে পথে নেমেছে ন্যাশনাল গার্ড৷
ছবি: Goran Tomasevic/REUTERS
পুলিশের মুখোমুখি
মিনেসোটা রাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরের দৃশ্য এটি৷ ঘোড়ায় সওয়ার পুলিশের মুখোমুখি বিক্ষোভকারী জনতার একাংশ৷
ছবি: Nicholas Pfosi/REUTERS
‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’
পেনসিলভ্যানিয়ায় ভোটগণনা থামানোর দাবি করেছিল ট্রাম্পপক্ষ৷ বিপরীতে, ভোটগণনা নিয়ম মেনে শেষ করার দাবিতে মানুষ পথে নামেন৷ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ হোক, এই বক্তব্য নিয়ে সেই বিক্ষোভে যোগ দেন ২০ বছরের আঙ্গেল রিভেরা৷ তার গায়ে ও হাতে স্পষ্ট স্লোগান: ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’৷
ছবি: Nathan Layne/REUTERS
ভোট জমা পড়ে যেখানে
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ শ্যানন জাস্তুপিল ও নির্বাচনকর্মী টম ডেফাজিও গভীর আলোচনায় মগ্ন উইসকনসিনের একটি ব্যালট রুমের ভেতর৷ তাদের চারদিকে স্তূপাকৃত করে রাখা আছে ‘মেল-ইন’ ও অ্যাবসেন্টি ব্যালট৷
ছবি: Daniel Acker/REUTERS
করোনা সতর্কতাও আছে
ব্যস্ত হাতে ভোটগণনার কাজ করছেন উইসকনসিনের কেনোশা শহরের নির্বাচনকর্মীরা৷ গণতন্ত্র রক্ষার মাঝেও করোনাবিধি ভুলে যাননি কেউ৷ তাই প্রায় সবার মুখেই মাস্ক৷
ছবি: Daniel Acker/REUTERS
সব ভোট সমান
করোনা সংক্রমণের ফলে মুখে মাস্ক এখন স্বাভাবিক জীবনের অঙ্গ৷ কিন্তু নিউ ইয়র্কের এক বাসিন্দা সেই মাস্ক দিয়েই নির্বাচনকর্মীদের প্রতি তার বক্তব্য জানাচ্ছেন: ‘কাউন্ট এভরি ভোট’, অর্থাৎ প্রতিটি ভোটই গোনা হোক৷