1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিঙ্গ বৈচিত্র নিয়ে বিতর্ক

মার্কুস ল্যুটিকে/এপিবি২৫ জানুয়ারি ২০১৪

জার্মানির বাডেন-ভুর্টেমব্যার্গ রাজ্যে নতুন ধরনের শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার৷ ভবিষ্যতে সিলেবাসে লিঙ্গ বৈচিত্রকে গ্রহণযোগ্যতা দেয়া হয়েছে৷ কিন্তু এ নিয়ে দেখা দিয়েছে মতবিরোধ৷

Adoptionsrecht für Homosexuelle Symbolbild
ছবি: picture alliance / dpa

গত বছর বাডেন-ভুর্টেমব্যার্গ রাজ্যের স্কুলগুলোতে সিলেবাস পরিবর্তনের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হয়৷ যাদের কাজ ২০১৫ সালের জন্য নতুন সিলেবাস করা৷ এখনও বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি৷ তবে প্রাথমিক কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে, অর্থাৎ সিলেবাসে যে লিঙ্গ বৈচিত্রের বিষয়টি স্থান পেতে যাচ্ছে তা অনেকটা নিশ্চিত৷

তবে জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমের ব্ল্যাক ফরেস্ট অঞ্চলের একজন স্কুল শিক্ষক এই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে জনমত গঠন করছেন৷ এটি অনুমোদন না করার জন্য অনলাইনে আবেদন জানিয়েছেন তিনি৷ যেখানে স্বাক্ষর করেছেন ১ লাখ ৪ হাজার মানুষ৷ শিক্ষকের মতে, লিঙ্গ বৈচিত্র সম্পর্কে শিক্ষা দিতে গেলে শিক্ষাগত, আদর্শগত এবং নীতিগত শিক্ষার আরো প্রসার প্রয়োজন৷

তার আবেদনটি এলজিবিটি (লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডার) সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে৷ অর্থাৎ আবেদনে বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষা পরিকল্পনায় এলজিবিটি লাইফ স্টাইলের নেতিবাচক দিকটি তুলে ধরার কোনো পরিকল্পনা নেই৷ কেননা নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামীদের মধ্যে যে আত্মহত্যা, মাদকাসক্তি, এইচআইভি এবং মানসিক অসুস্থতা রয়েছে সেটির কথা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে৷

শিক্ষানীতির গবেষক এবং জার্মানির ফ্লেন্সবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কার্লা এসেনব্যার্গ বলছেন, বাডেন-ভুর্টেমব্যার্গের শিক্ষানীতি নতুন কিছু না৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, গত কয়েক বছরে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে যেখানে কয়েকটি দল মানুষকে এলজিবিটি সম্প্রদায় সম্পর্কে জ্ঞান দিচ্ছে৷ এসেনব্যার্গ জানান, লিঙ্গ বৈচিত্রতা বিষয়টি সামাজিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যেখানে সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে জানার অধ্যায় রয়েছে৷ বাডেন-ভুর্টেমব্যার্গ রাজ্যের স্কুলগুলোতে ঠিক এই শিক্ষা পরিকল্পনাই নেয়া হয়েছে৷

তবে ঐ রাজ্যের শিক্ষা এবং বিজ্ঞান ইউনিয়নের প্রধান ডোরো মরিৎস বলেন, ঐ রাজ্যের শিক্ষকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া প্রয়োজন৷ বিশেষ করে যাঁরা এখন শিক্ষকতা করছেন এবং যাঁরা করবেন সবাইকেই এই প্রশিক্ষণ দিতে হবে৷

এরই মধ্যে জার্মান শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন এই শিক্ষা নীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, নতুন এই শিক্ষানীতি শিশু-কিশোরদের আত্মসম্মান বাড়াতে সাহায্য তো করবেই, সেইসাথে অন্যদের সম্পর্কে চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এবং নিজেদের ব্যক্তিত্ব উন্নয়নেও সহায়ক হবে৷ এই পরিকল্পনার পক্ষে আবেদনে ইতিমধ্যেই ৪৬ হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেছেন বলে প্রকাশ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ