1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নোবেলজয়ীদের সঙ্গে আড্ডা

১৪ জুলাই ২০১২

এ মাসের প্রথম সপ্তাহে জার্মানির লিন্ডাউ শহরে বসেছিল নোবেল বিজয়ীদের মেলা৷ তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন সারা বিশ্ব থেকে আসা কয়েকশ’ তরুণ গবেষক৷

Physik-Nobelpreisträger David Gross, Nobelpreisträgertagung, Lindau 2012 Foto: DW / Greta Hamann, Nobelpreisträgertagung Lindau, 04.07.2012
ছবি: DW/G.Hamann

জুলাই মাসের ১ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত বসেছিল লিন্ডাউ সম্মেলনের ৬২তম আসর৷ এবার সম্মেলনের নির্ধারিত বিষয় ছিল পদার্থবিজ্ঞান৷ গত বছরের বিষয় ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞান৷ আর আগামী বছরের বিষয় হল রসায়ন৷

২০০৭ সাল থেকে নিয়মিত এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও গবেষকরা৷ সেটা সম্ভব হয়েছে ভিয়েনাপ্রবাসী প্রয়াত বিজ্ঞানী আবদুল ফাত্তাহ'র উদ্যোগের কারণে৷

এবারের আসরে ২৮ জন নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী অংশ নিয়েছিলেন৷ আর তরুণ গবেষকের সংখ্যা ছিল ৫৮০ জন৷ বাংলাদেশ থেকে মোট পাঁচজন অংশ নিয়েছিলেন সম্মেলনে৷ এঁরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রভাষক শিহান সাজিদ ও আয়েশা জামান, একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র শাহ মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. আল হেলাল এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল মান্নান৷

সম্মেলনে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা হচ্ছিল শিহান সাজিদের সঙ্গে৷ তিনি বললেন, ‘‘অংশ নেয়া ২৮ জন নোবেলজয়ীর মধ্যে তিন-চারজনের কাজ আমি ভালভাবে দেখার চেষ্টা করতাম৷ লিন্ডাউতে তাঁদের সঙ্গে আমি কথা বলতে পেরেছি৷ উইলিয়াম ফিলিপস নামের এক নোবেলজয়ীর সঙ্গে আমি টানা তিনদিন দুপুরের খাবার খেয়েছি৷ এছাড়া অন্যান্যদের সঙ্গে ছবি তুলেছি৷ প্রত্যেকের সঙ্গেই পাঁচ মিনিট করে হলেও কথা বলেছি৷ তারা আমাদের সঙ্গে এমনভাবে কথা বলেছেন যেন মনে হচ্ছিল তারা আমাদেরকে অনেকদিন ধরে চেনেন৷ পদার্থবিজ্ঞানের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি আমরা৷''

শুধু নোবেলজয়ী নয়, অন্যান্য দেশ থেকে আসা তরুণ গবেষকদের সঙ্গেও আলোচনার সুযোগ হয়েছে বলে জানালেন সাজিদ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানা বিনিময় করেছি৷ এছাড়া বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকেও অনেকে সম্মেলনে গিয়েছিলেন৷ তাদের সঙ্গেও কথাবার্তা হয়েছে৷''

নোবেল বিজয়ীদের মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কয়েকজনছবি: DW

লিন্ডাউতে যখন সম্মেলন চলছিল তখন সার্নের বিজ্ঞানীরা জেনেভায় হিগস-বোসন কণার মতো একটি কণা আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন৷ বিশ্বের অন্যান্য বিজ্ঞানীদের মতো খুশির রেশটা ছড়িয়ে পড়েছিল লিন্ডাউ সম্মেলনেও৷ সেসময়কার অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে সাজিদ বলেন, ‘‘ঘোষণা পর্বটি সরাসরি দেখানো হয়েছিল লিন্ডাউয়ের সম্মেলন স্থলে৷ সেখানে অনেক কণা পদার্থবিদও উপস্থিত ছিলেন৷ সার্নের ঘোষণার পরপরই তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দ প্রকাশ করতে থাকেন৷ সেটা ছিল দেখার মতো একটা বিষয়৷''

সাজিদ বলেন, লিন্ডাউ সম্মেলনে অংশ নিতে হলে মনোনয়নের দুটো ধাপ পেরোতে হয়৷ ‘‘প্রথম ধাপে বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স আগ্রহীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজনকে মনোনীত করে লিন্ডাউ কাউন্সিলে তাদের নাম পাঠিয়ে থাকে৷ এরপর লিন্ডাউ কাউন্সিল চাইলে পাঁচজনকেই আমন্ত্রণ জানাতে পারে৷ বা একজনকেও পারে৷ সেটা পুরোপরি তাদের ব্যাপার৷ এবার বাংলাদেশ থেকে মনোনীত পাঁচজনকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল লিন্ডাউ কাউন্সিল৷''

আগামী দু'একমাসের মধ্যেই আগামী বছরের লিন্ডাউ সম্মেলনের জন্য আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানালেন সাজিদ৷ এজন্য লিন্ডাউ কাউন্সিলের ওয়েবসাইট বা বাংলাদেশে এ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ