1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ার উপকূলে বাংলাদেশিসহ নৌকাডুবি, ১৩ নিখোঁজ

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

লিবিয়ার উপকূলে অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে৷ ২২ জনকে উদ্ধার করা হলেও ১৩ জন এখনও নিখোঁজ বলে শুক্রবার জানিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা-আইওএম৷ 

Libyen Mittelmeer MSF-SOS Mediterranee Rettungsschiff Ocean Viking Migranten mit Rettungswesten
লিবিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে ভাসমান একটি অভিবাসী দলকে উদ্ধার করছেন ওশান ভাইকিং জাহাজ এর সদস্যরা৷ ছবিটি ১৮ ফেব্রুয়ারির৷ ছবি: Reuters/MSF/Hannah Wallace Bowman

উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা মিশর, বাংলাদেশে, সিরিয়া, সোমালিয়া এবং ঘানার নাগরিক৷ তিনজনের মৃরদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় জেলেরা৷ এদের মধ্যে সিরিয়ার একজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন৷ আইওএম জানিয়েছে,  নিখোঁজ ১৩ জন সমুদ্রে ডুবে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

লিবিয়ার কোস্ট গার্ড তাদের সদস্যদের উদ্ধার কাজে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছে৷ এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে তাদের ধারণা৷ বার্তা সংস্থা এপিকে বাহিনীর কমোডোর মাসুদ আব্দাল সামাদ বলেন, এই পথটি দিয়ে অসংখ্য নৌকা যাচ্ছে৷ তবে শরতে সমুদ্র পাড়ি দেয়া বিপদজনক৷ বাতাসের কারণে যেকোন সময়ে নৌকাডুবি ও প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে৷

সাম্প্রতিক সময়ে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে অভিবাসীদের মধ্যে৷ মানব পাচারকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ ছোট রাবারের নৌকায় তুলে সমুদ্রে ছেড়ে দিচ্ছেন তাদেরকে৷ আইওএম এর তথ্য অনুযায়ী, এভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷

এদিকে শুক্রবারের দুর্ঘটনায় উদ্ধারকৃতদের ত্রিপলি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ সেখানে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইওএম এর মুখপাত্র সাফা মিসাহলি৷ বর্তমানে তারা ত্রিপলি ভিত্তিক সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্লিটেন বন্দিশিবিরে রয়েছেন৷

সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরনের শিবিরগুলোতে নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায় ও নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে৷ বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আধা সামরিক বাহিনী দ্বারা পরিচালিত বন্দিশিবিরগুলোতে কয়েক হাজার অভিবাসী জোরপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন৷

গত মে মাসে লিবিয়ার মানব পাচারকারী এক ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা গুলি করে ৩০ অভিবাসীকে হত্যা করেন৷ যার মধ্যে ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি৷ ২৫ জুন ৬৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করে ইউরোপীয় মানবাধিকার সংস্থা ‘এসওএস মেডিটেরানে’র জাহাজ ওশান ভাইকিং৷ কাঠের নৌকায় করে তারা লিবিয়া থেকে ইটালিতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন৷ তাদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও সুদানি, পাকিস্তানি, মরোক্কান ও মিশরীয় নাগরিক ছিলেন৷

এফএস/এআই (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ