1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ার গণতান্ত্রিক যাত্রায় বাধা অনভিজ্ঞতা

৩০ অক্টোবর ২০১১

আর একদিনের মধ্যে শেষ হচ্ছে লিবিয়ায় ন্যাটো অভিযানের মেয়াদ৷ এরপর কী হবে? যুদ্ধ বিধ্বস্ত লিবিয়া কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রায় সেখানকার মানুষের ভূমিকা কেমন হবে? এই প্রশ্ন কেবল লিবীয়দের নয়, গোটা বিশ্বেরও৷

এদের সকলের চোখে মুখে অনেক আশাছবি: DW

নতুন দেশ গড়ে তোলা

ত্রিপোলির ছোট্ট একটি পার্কে জড়ো হয়েছে কয়েকশত মানুষ৷ পার্কের খোলা জায়গায় পাতা চেয়ার টেবিলে বসে তারা সেখানে একটি পথনাটক উপভোগ করছে৷ তাদের আশেপাশে রয়েছে অনেক ফেরিওয়ালা৷ কেউবা পিৎজা বিক্রি করছে, কেউবা পানীয়৷ পথনাটকে অভিনেতাদের অভিনয়ে সকলেই বেশ মজা পাচ্ছে৷ তাদের মধ্যে আবার কেউ সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে নিয়েও মজা করছে৷

এই পথনাটকে যেসব অর্থ আসবে সেগুলো ব্যয় করা হবে আহত বিপ্লবীদের জন্য৷ এটা হচ্ছে অনেক কাজের মধ্যে একটি৷ এরকম আরও অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে লিবিয়ার বিপ্লবীদের জন্য৷ এর উদ্দেশ্য একটাই, যুদ্ধ বিধ্বস্ত লিবিয়ার সমাজকে গড়ে তোলা৷ গোটা লিবিয়ার শহরে শহরে গড়ে তোলা হয়েছে নানা ধরনের সংগঠন ও তহবিল৷

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এরা লিবিয়াকে মুক্ত করেছেছবি: dapd

নতুন লিবিয়া গড়ে তুলতে এখন যুবকরা তাদের ঘাম ঝরাচ্ছে, ছাত্র-ছাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের সাহায্য করছে৷ এই ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তারা সকলেই সজাগ৷ যারা সরকারি কর্মকর্তা তারা তাদের সরকারি কাজে যোগদান করেছে৷ অনেকে নিজ উদ্যোগেই এগিয়ে এসেছে সরকারকে সহায়তা করতে৷ এই যেমন আলি আবদেল সালেহ, তিনি ত্রিপোলির বিমানবন্দরে একটি টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বিপ্লবীদের বিনা পয়সায় সহযোগিতা করছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেকেই বিদ্রোহী সেনাদের সাহায্য করতে চায়৷ আমরা জানি তারা লিবিয়াকে মুক্ত করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছে৷ আমাদের সাহায্য তাদের প্রয়োজন৷ আমরা তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করছি৷ এটা একটি নতুন আশার সঞ্চার করছে৷ এটা একটা নতুন অনুভূতি, যার সঙ্গে আমরা গত ৪২ বছর ধরে পরিচিত ছিলাম না৷''

রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতা

লিবিয়ার অন্তর্বতীকালীন প্রশাসন এনটিসি ইতিমধ্যে দশ দফার একটি কার্যসূচি ঘোষণা করেছে৷ এর মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষকে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য গড়ে তুলতে ঋণ দেবে৷ এছাড়া বিদেশে গাদ্দাফির আটকে থাকা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারও ইতিমধ্যে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল৷ এর ফলে লিবিয়ার অর্থনীতিকে দ্রুতই কিছুটা চাঙ্গা করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ তবে শুধু টাকা দিয়েই লিবিয়ার উন্নতি সম্ভব না৷ দেশটিতে একটি উন্মুক্ত বহুদলীয় রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলাটাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবে এই ক্ষেত্রে লিবিয়ার জনগণের অভিজ্ঞতার অভাব একটি বড় সমস্যা৷ অনেকেই রাজনীতিতে আসতে চান, তবে রাজনৈতিক দল গঠনের ব্যাপারে তাদের কোন ধারণা নেই৷  তেমনই একজন বললেন, ‘‘আমরা বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছি যাতে তারা আমাদের পরামর্শ দিতে পারে কীভাবে আমরা রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করবো৷ কারণ আমরা অনেক কিছুই জানিনা৷ আমরা আশা করি ইউরোপের সংসদগুলো আমাদের সাহায্য করবে যাতে করে আমরা বুঝতে পারি কীভাবে কাজ করতে হবে৷''

নতুন প্রশাসনের ওপর অনেক দায়িত্বছবি: dapd

লিবিয়ার অর্থনীতি মূলত তেল নির্ভর, তাই দেশটির অর্থনীতি দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে মনে হচ্ছে৷ কিন্তু বহুদলীয় গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির জন্য দেশটিকে আরও অনেকদিন অপেক্ষা করতে হবে৷ এটি নির্ভর করছে লিবিয়ার জনগণের ওপরই৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ