1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আব্দেল রহিম আল-কিব

১ নভেম্বর ২০১১

লিবিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন আব্দেল রহিম আল-কিব৷ সোমবার রাতে ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল বা এনটিসি’র সদস্যদের ভোটে জয়ী হন তিনি৷ এদিকে, লিবিয়া থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা জাতিসংঘের৷

আব্দেল রহিম আল-কিবছবি: picture-alliance/dpa

লিবিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আল-কিব

আব্দেল রহিম আল-কিব লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির বাসিন্দা৷ তিনি একজন শিক্ষাবিদ এবং ধনী ব্যবসায়ী৷ মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায়, কিব'কে দীর্ঘ সময় বিদেশে কাটাতে হয়েছে৷ তবে গাদ্দাফিকে উৎখাত আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন তিনি৷ সোমবার রাতে লিবিয়ার অন্তর্বর্তী প্রশাসন এনটিসি আব্দেল রহিম আল-কিব'কে প্রধামন্ত্রী নির্বাচিত করে৷ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিবিয়ায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাকে অন্যতম দায়িত্ব হিসেবে মনে করছেন কিব৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, আমরা এমন একটি জাতি গড়তে যাচ্ছি যারা মানবাধিকারকে সম্মান করবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকে বরদাস্ত করবে না৷ তবে এজন্য আমাদের সময়ের প্রয়োজন''৷ কিব অর্ন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিব্রিল'এর স্থলাভিষিক্ত হলেন৷ গত ২০ অক্টোবর গাদ্দাফির মৃত্যুর পর পদত্যাগ করেন জিব্রিল৷

অস্ত্র লুটের খবরে উদ্বেগ

ক্ষমতায় থাকাকালীন মুয়াম্মার গাদ্দাফি যেসব অস্ত্র জমা করেছিলেন, সেগুলোর ভাগ্যে কি ঘটছে - তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ৷ শোনা যাচ্ছে লিবিয়া এবং সেদেশের প্রতিবেশিদেরকে এই বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পরিষদ৷ বিশেষ করে বিধ্বংসী এসব অস্ত্র যাতে সন্ত্রাসী, চরমপন্থীদের কাছে না পৌঁছায় - সেই ব্যবস্থা নিতে বলেছে জাতিসংঘ৷ আল-কায়েদা এবং অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীর কাছে এসব অস্ত্র পৌঁছালে তা বিপদজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে৷ ধারণা করা হচ্ছে, গাদ্দাফির ভাণ্ডারে এমন কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ছিল যেগুলো ভূমি থেকে যাত্রীবাহী বিমানে আঘাত সক্ষম৷ জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে এধরনের অস্ত্র পৌঁছালে তার পরিনাম ভয়াবহ হতে পারে৷ এছাড়া, লিবিয়ায় থাকা রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করতে সেদেশের নতুন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ৷

গাদ্দাফির ভাণ্ডারে এমন কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ছিল যেগুলো ভূমি থেকে যাত্রীবাহী বিমানে আঘাত সক্ষম (ফাইল ফটো)ছবি: picture alliance/dpa

কোথায় সাইফ আল-গাদ্দাফি?

সাইফ আল-গাদ্দাফিকে লিবিয়াতেই বিচারের কাঠগড়ায় হাজির করতে চায় এনটিসি৷ সেদেশের বিচারমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-আলাগী জানিয়েছেন, সাইফ'এর বিরুদ্ধে হত্যা, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে৷ এসবের বিচার লিবিয়ার মাটিতেই হবে এবং তিনি বিচার প্রক্রিয়ার বাইরে যেতে পারবেন না৷ সাইফ'এর পরিণতি তাঁর বাবার মতো হোক, এমনটা অবশ্য চান না বিচারমন্ত্রী৷ বলাবাহুল্য, গাদ্দাফিকে সির্ত শহরে আহতাবস্থায় আটকের পর নির্যাতন এবং গুলি করা হয়৷ যদিও এনটিসি দাবি করেছে, গাদ্দাফি ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে৷ কিন্তু সেসময়ের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে গাদ্দাফি'কে নির্যাতনের এবং গুলি করার প্রমাণ পাওয়া যায়৷

সাইফ আল-ইসলাম এই মুহূর্তে কোথায় আছেন, সেটা নিয়ে অবশ্য সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি৷ অনেকেই মনে করেন, তিনি লিবিয়ার মরুঅঞ্চলে অবস্থান করছেন এবং নাইজারের তুয়ারেগ সম্প্রদায় তাঁকে সহায়তা প্রদান করেছে৷ তবে দ্য হেগ-এর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যোগাযোগ করেছেন সাইফ৷ তিনি আন্তর্জাতিক আদালতে আত্মসমর্পণে আগ্রহী বলেও খবরে প্রকশ৷ কোনো কোনো পক্ষ অবশ্য দাবি করছে, আফ্রিকার কোনো একটি নিরাপদ দেশে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করছেন গাদ্দাফি পুত্র৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ