1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
অপরাধইউরোপ

লিবিয়ার 'যুদ্ধবাজ' নেতাকে মুক্তি, সমালোচনার মুখে ইটালি

২৩ জানুয়ারি ২০২৫

লিবিয়ার যুদ্ধবাজ নেতা ওসামা আল-মাসরিকে লিবিয়ায় ফিরে যেতে দেওয়ার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইটালিকে তাদের পূর্ণ সহযোগিতার বাধ্যবাধকতার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।

ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি
লিবিয়ার আল-মাসরিকে মুক্তির দেয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে ইটালির জর্জা মেলোনির সরকার ছবি: Antti Aimo-Koivisto/Lehtikuva/dpa/picture alliance

আল-মাসরির বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পরোয়ানা জারির পর আল-মাসরিকে গ্রেপ্তার করেছিল ইটালি। 'কারিগরি কারণ' উল্লেখ করে তাকে মুক্তি দেওয়ায় আইসিসির সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি এবং তার সরকার।

নেদারল্যান্ডসের হেগ-এ অবস্থিত আইসিসি কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া জানালেও সে বার্তায় আদালতের ক্ষোভ স্পষ্ট।

এক বিবৃতিতে আইসিসি ইটালিকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে, তারা তাদের মামলার ব্যাপারে "সম্পূর্ণ সহযোগিতা" করতে বাধ্য। আদালত বলেছে, রোম এ ব্যাপারে ঠিক কী করেছে সে তথ্যের অপেক্ষায় রয়েছে তারা।

ওসামা আল-মাসরি, ওসামা আনিজেম নামেও পরিচিত। আল-মাসরি লিবিয়ার সংস্কার ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান নামে সরকারসমর্থিত বিশেষ প্রতিরক্ষা বাহিনী দ্বারা পরিচালিত কুখ্যাত আটককেন্দ্রগুলোর একটি নেটওয়ার্কের ত্রিপোলি শাখার প্রধান।

রোববারই টুরিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আল-মাসরিকে। আগের রাতে টুরিনের মাঠে ইউভেন্টুস এবং এসি মিলানের মধ্যে অনুষ্ঠিত ফুটবল ম্যাচটি দেখছিলেন তিনি।

এর একদিন আগেই আল-মাসরির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আইসিসি।  আল-মাসরিকে ২০১৫ সাল থেকে লিবিয়ার মিটিগা কারাগারে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রমাণিত হলে এসব অপরাধের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

আল-মাসরির বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ এবং যৌন সহিংসতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইসিসি জানিয়েছে, শনিবারই ইটালিসহ আইসিসির সদস্য দেশগুলোতে পরোয়ানাটি পাঠানো হয়েছে। ইউরোপে প্রবেশের পয়েন্টগুলোতেও তাৎক্ষণিক তথ্য সরবরাহ করেছে আদালত।

কিন্তু আল-মাসরিকে গ্রেপ্তারে 'পদ্ধতিগত ত্রুটি হয়েছে' উল্লেখ করে রোমের আপিল আদালত মঙ্গলবার তাকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এর পরপরই ইটালির সিক্রেট সার্ভিস একটি বিমানে তাকে লিবিয়ায় ফেরত পাঠায়।

ভূমধ্যসাগরে অভিবাসন নিয়ে তথ্যচিত্র- ভূ'মৃত্যু'সাগরের ওপারে

31:43

This browser does not support the video element.

'ভুক্তভোগীদের জন্য আঘাত'

ইটালির আপিল আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের বিষয়টি আগে বিচারমন্ত্রী কার্লো নর্দিওকে জানানো উচিত ছিল। কারণ, বিচার মন্ত্রণালয়ই আইসিসির সঙ্গে সব যোগাযোগ রক্ষা করে।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো আল-মাসরিকে ছেড়ে দেওয়ায় ইটালির সমালোচনা করেছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ইউরোপ বিষয়ক গবেষণা বিভাগের উপ-পরিচালক এস্থার মেজর বলেছেন, "এটি ভুক্তভোগী, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের ওপর একটি আঘাত। এর ফলে লিবিয়ায় দায়মুক্তির চক্র ভাঙার সুযোগ হারালো।"

ত্রিপোলিতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের সঙ্গে ইটালির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ভূমধ্যসাগরে উপকূলে টহল এবং অভিবাসীদের সমুদ্র যাত্রায় বাধা দিতে দেশটির উপকূলরক্ষীদের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে ইটালি।

হেগে আল-মাসরির বিরুদ্ধে চলা মামলাটি ইটালির অভিবাসননীতি এবং লিবিয়ার উপকূলরক্ষীদের প্রতি দেশটির সহযোগিতার বিষয়ে আবার বিশ্বের মনোযোগ ফিরিয়ে আনতে পারে।

লিবিয়ার আটককেন্দ্রগুলোতে অভিবাসীদের ওপর গুরুতর নির্যাতনের নানা ঘটনা নথিভুক্ত করেছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। তাদের অভিযোগ, ইটালিও এক্ষেত্রে সহযোগী ভূমিকা রেখে আসছে।

এডিকে/এসিবি (ডিপিএ, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ