1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় গাদ্দাফি বাহিনীকে প্রতিহত করছে ফ্রান্স

১৯ মার্চ ২০১১

অবিলম্বে লিবিয়ায় সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র সহ ইউরোপ ও আরব বিশ্বের নেতারা৷ তবে ফ্রান্স ইতিমধ্যেই অভিযান শুরু করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি৷

আলোচনা করছেন বিশ্ব নেতারাছবি: dapd

তিনি বলেন, নিরীহ মানুষকে বাঁচাতে গাদ্দাফি বাহিনীর বিমান প্রতিহত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে ফ্রান্সের ফাইটার জেট৷

প্যারিসে বিশ্ব নেতাদের এক সম্মেলন শেষে সারকোজি এসব কথা বলেন৷ তবে গাদ্দাফি চাইলে এখনো যুদ্ধবিরতি সম্ভব বলেও জানান তিনি৷

এদিকে, সম্মেলন শেষে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল নিশ্চিত করেছেন যে, তাঁর দেশ লিবিয়ায় অভিযানে অংশ নেবে না৷ তবে তিনি একটি প্রস্তাব দিয়েছেন৷ সেটা হলো, চাইলে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানের আকাশে বিমান শনাক্তকরণের যে কাজ করছে, আফগানিস্তানে সেই দায়িত্ব জার্মানি নিতে পারে৷ যেন মার্কিন সেনারা ঐ একই কাজ লিবিয়ার আকাশসীমায় করতে পারে৷

কাতার সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ সামরিক অভিযানে অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন কূটনীতিকরা৷

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন সহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব লিগ ও আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতারা সম্মেলনে অংশ নেন৷ আরব বিশ্ব থেকে জর্ডান, মরক্কো, কাতার আর আরব আমিরাত সম্মেলনে যোগ দিয়েছিল৷

সম্মেলনে অংশ নেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলছবি: dapd

এর আগে গত মধ্যরাত থেকে বেনগাজিতে হামলা শুরু করে গাদ্দাফি বাহিনী৷ সকালের দিকে তারা বিদ্রোহীদের একটি বিমান ভূপাতিত করে দেয়৷ ব্যাপক হামলার আশঙ্কায় বেনগাজি ছাড়তে শুরু করেছেন শহরের বাসিন্দারা৷ হামলা চলেছে আরেক শহর মিস্রাতাতেও৷

আল জাজিরা বলছে, বেনগাজির একটি হাসপাতালে ২৬ জনের মৃতদেহ দেখা গেছে৷ তবে এর বেশি কিছু আর জানায়নি চ্যানেলটি৷

এদিকে, লিবিয়ায় সামরিক অভিযানের ব্যাপারে জাতিসংঘ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা অকার্যকর বলে জানিয়েছেন গাদ্দাফি৷ ফ্রান্স, ব্রিটেন আর জাতিসংঘের উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে তিনি এ কথা বলেছেন৷ আর মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে লেখা আরেকটি চিঠিতে গাদ্দাফি ওবামাকে তাঁর ‘ছেলে' বলে সম্বোধন করেছেন৷

এছাড়া দেশটির তেলমন্ত্রী চীন আর ভারতের নাম উল্লেখ করে বলেছেন তেলচুক্তিগুলো ঐসব দেশকে দেয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, দেশ দুটি লিবিয়া নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে অংশ নেয় নি৷

জার্মানির ভূমিকা

নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি জার্মানি৷ এর কারণ হিসেবে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী তখন বলেছিলেন গাদ্দাফির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো ‘বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ'৷ এর প্রতিক্রিয়ায় দেশটির সাধারণ জনগণের ব্যাপক প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে মনে করছে জার্মানি৷ আর এই সুযোগে লিবিয়ার পক্ষ থেকে জার্মানিকে লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছিল৷ তবে জার্মানি বলে দিয়েছে যে, এটা জাতিসংঘের কাজ, তাদের নয়৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ