লিবিয়ায় ন্যাটোর অভিযান নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের কড়া সুর
২৬ জুন ২০১১আজ প্রশাসনিক রাজধানী প্রিটোরিয়ায় আফ্রিকান ইউনিয়ন প্যানেলের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই কথা বলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট৷
লিবিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি উপায় বের করতে এইউ প্যানেলের নেতারা আজ প্রিটোরিয়াতে বৈঠক করেন৷ তাদের মধ্যে জুমা ছাড়াও ছিলেন মৌরিতানিয়ার প্রেসিডেন্ট মোহামেদ উল্দ আবদেল আজিজ, মালির প্রেসিডেন্ট আমাদু তুমানি, উগান্ডার ইওয়েরি মুসেভেনি তুরে, কঙ্গোর পররাষ্ট্র মন্ত্রী বাসিল ইকুয়েবেসহ আরও নেতৃবৃন্দ৷ আগামী বৃহস্পতিবার ইকুয়েটরিয়াল গিনিতে আফ্রিকান ইউনিয়ন বা এইউ-র শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷ সেখানে লিবিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরবেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা৷ তার জন্য প্রস্তুতিমূলক বৈঠক হয়ে গেল প্রিটোরিয়াতে৷ গত মাসেই লিবিয়ায় গিয়ে মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে দেখা করেছিলেন জুমা৷ তবে সেই বৈঠকে তেমন কোন ফলাফল আসেনি৷ এরপরও লিবিয়াতে গাদ্দাফি ও বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধ চলছে৷ তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ন্যাটোর হামলায় নিরীহ নাগরিকদের প্রাণহানি৷
রোববারের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গে বেশ কড়া সুর শোনা গেল জুমার বক্তব্যে৷ তার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘লিবিয়াতে বোমা ফেলার জন্য ন্যাটো জাতিসংঘের প্রস্তাবনাকে অনুমতি হিসেবে ব্যবহার করছে৷ কিন্তু জাতিসংঘের সেই প্রস্তাবনা লিবিয়াতে সরকার পরিবর্তন কিংবা মুয়াম্মার গাদ্দাফির রাজনৈতিক হত্যার অনুমতি দেয় না৷ লিবিয়াতে ন্যাটো এবং তার মিত্রদেশগুলোর অব্যাহত বোমা হামলা আফ্রিকান ইউনিয়নের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কারণ জাতিসংঘের প্রস্তাবনার উদ্দেশ্য ছিল নিরীহ মানুষকে রক্ষা করা এবং সেখানে মানবিক ত্রাণকার্যকে সহায়তা করা৷'' জুমা আরও বলেন, ‘‘লিবিয়াতে এখন একটি সামরিক অচলাবস্থা বিরাজ করছে এবং এটাকে আর চলতে দেওয়া যায় না৷ কেননা এর ফলে মানুষের প্রাণহানি আরও বাড়বে এবং তা গোটা অঞ্চলকে অচল করে দেবে৷'' জ্যাকব জুমার মতে লিবিয়ার সমাধান রাজনৈতিকভাবে হতে হবে এবং এটা সেখানকার জনগণের ওপরই ছেড়ে দিতে হবে৷
উল্লেখ্য, লিবিয়াতে নো ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা৷ তবে লিবিয়াতে ন্যাটোর অভিযান নিয়ে আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যে মতানৈক্য রয়ে গেছে৷ আফ্রিকান ইউনিয়ন প্যানেলের বর্তমান প্রধান মৌরিতানিয়ার প্রেসিডেন্ট মোহামেদ উল্দ আবদেল আজিজ কয়েকদিন আগে বলেছেন, ‘‘মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিদায় এখন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে৷ তিনি আর লিবিয়াকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন না৷''
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক