1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় ন্যাটোর অভিযান প্রশ্নের মুখে পড়তে যাচ্ছে!

১৯ জুন ২০১১

লিবিয়ায় ন্যাটোর অভিযানে নয় সাধারণ ব্যক্তি নিহত হয়েছে, বলছে সেদেশের সরকার৷ এর মধ্যে সাংবাদিকদের পাঁচজনের মৃতদেহ দেখানো হয়েছে৷ এর মধ্যে দুজন শিশু রয়েছে৷ এই ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে ন্যাটোর অভিযান প্রশ্নের মুখে পড়তে যাচ্ছে৷

epa02785250 Libyans carry out a body from a house that was damaged by coalition air strikes, according to the Libyan government, in Tripoli, Libya, on 19 June 2011. EDITORS NOTE: PICTURE TAKEN ON A GUIDED GOVERNMENT TOUR EPA/MOHAMED MESSARA +++(c) dpa - Bildfunk+++
মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ চলছেছবি: picture-alliance/dpa

রাজধানী ত্রিপোলির পাশে একটি শহরতলিতে রবিবার দিনের শুরুতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা৷

এরপর লিবিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে সেখানে সাংবাদিকদের নিয়ে যাওয়া হয়৷ তাদেরকে একটি বাড়ির ধ্বংসস্তুপ দেখানো হয়৷ সঙ্গে দুজনের মৃতদেহ৷ এরপর সাংবাদিকদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে৷ যেখানে আরও তিনজনের লাশ দেখানো হয়৷ এর মধ্যে দুটি লাশ ছিল দুই শিশুর৷

এসময় লিবিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ কাইম সাংবাদিকদের বলেন, ন্যাটো ইচ্ছাকৃতভাবে নিরীহ জনগণের উপর হামলা করছে৷ জবাবে ন্যাটো বলেছে তারা এই অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে৷

এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যাদের মরদেহ দেখানো হয়েছে তারা আসলেই ন্যাটোর অভিযানে মারা গিয়েছে কিনা, সাংবাদিকদের পক্ষে তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি৷

বিধ্বস্ত ভবনছবি: picture-alliance/dpa

উল্লেখ্য, এর আগে এমন একটি ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে একটি আহত শিশুকে দেখিয়ে বলা হয়েছিল যে, সে ন্যাটোর অভিযানে আহত হয়েছে৷ কিন্তু পরে হাসপাতালের ডাক্তার বিদেশি এক সাংবাদিককে বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছিল যে, ছেলেটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে৷

কিন্তু ন্যাটোর অভিযানের বিষয়টি যদি সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে সংস্থার সদস্যদের মধ্যে এই অভিযান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে৷

এদিকে লিবিয়ার আরেক শহর মিসরাটাতে গাদ্দাফি সমর্থকদের হামলায় চার বিদ্রোহী মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ আহত হয়েছে ১৮ জন৷

ইতিমধ্যে ন্যাটোর ভূমিকা নিয়ে বিদ্রোহীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে৷ মিসরাটার এক বাসিন্দা বলছে ন্যাটো কোনো কিছুই করছে না৷ তিনি বলেন কয়েকদিন আগে গাদ্দাফির সৈন্যদের ভয় দেখাতে ন্যাটো একটি লিফলেট ফেলেছিল৷ তাতে লেখা ছিল, গাদ্দাফির সেনারা যদি অস্ত্র না ফেলে তাহলে তাদের উপর আক্রমণ চালানো হবে৷ কিন্তু পরে আর ন্যাটোর পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি৷

এদিকে বিদ্রোহীদের প্রধান তেল কর্মকর্তা আলি তারহুনি, তাদেরকে ঠিকমত সহায়তা না করায় পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনা করেছেন৷ তিনি বলছেন পশ্চিমারা যেভাবে সহায়তার কথা বলেছিল, বাস্তবে সেটা করেনি৷ তাই বিদ্রোহীদর সব পকিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে বলে জানান তিনি৷

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সব শেষ হয়ে যাচ্ছে৷ এটা পুরোপুরি একটা ব্যর্থতায় পরিণত হতে যাচ্ছে৷''

তারহুনি বলেন, ‘‘যেসব লোকেদের কাছে আমরা সাহায্যের জন্য গেছি, যেসব সম্মেলনে আমরা অংশ নিয়েছি, সেখানে পশ্চিমা নেতারা বড় বড় কথা বলেছেন৷ যেগুলোর প্রশংসাও করেছিলাম আমরা৷ কিন্তু বাস্তবে টাকা দেয়ার সময় দেখা গেল কারও কোনো খবর নেই৷ ফলে মানুষ মরছে নিয়মিত৷''

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ