1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় ন্যাটোর বিমানহামলায় নিহত বিপ্লবীরা

৮ এপ্রিল ২০১১

ন্যাটোর বিমান হামলাতেই পূর্ব লিবিয়ায় বেশ কিছু বিপ্লবী মারা পড়েছেন বৃহস্পতিবার৷ আহত ১৪, নিখোঁজ আরও ৬৷আল ব্রেগা আর আজদাবিয়ার মধ্যে বিপ্লবীদের একাধিক ট্যাংকও ধ্বংস করেছে ওই হামলা৷আজদাবিয়া ছেড়ে পরিত্রাহি পালাচ্ছে মানুষজন৷

তৈলসমৃদ্ধ শহর ব্রেগার ওপর বিমানহামলার পর

ন্যাটোরই হামলা কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়

সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে৷ আজদাবিয়া শহরের ওপর এবং আশপাশের অঞ্চল জুড়ে একটানা বিমানহামলা ন্যাটোবাহিনীর কারা চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয় এমনকী ন্যাটোর নিজের কাছেও৷ ন্যাটো বলেছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে না দেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করবে না৷

কী পরিমাণ বিমানহামলা

বিমান হামলা হয়েছে বেশ ভালোই৷ বিদ্রোহীদের একাধিক ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে৷ দুই সৈন্য এবং দুজন চিকিৎসাকর্মী মারা পড়েছেন৷ এছাড়াও ১৪ জনের গুরুতর আঘাত লেগেছে৷ এখনও নিখোঁজ ছয়জন, জানিয়েছে বিপ্লবীদের একটি সূত্র৷ তবে নিহতের সংখ্যা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ভালোই বিভ্রান্তি দেখা যাচ্ছে৷ একেকজন একেকরকম সংখ্যা বলে চলেছে৷ জার্মান বার্তাসংস্থা ডিপিএ'র দাবি, নিহত মোট ১০৷ রয়টার্স বলছে, নিহত ৫৷ তবে, হামলায় বিপ্লবীদের প্রচুর সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস হয়েছে৷ সবচেয়ে বড় কথা, আজদাবিয়া থেকে আতংকিত হয়ে মানুষ পালাতে শুরু করেছেন৷ কারণ, শহরবাসী একটানা এই হামলার মুখে পড়ে ভেবেছে হয়তো গাদ্দাফির বাহিনীই হামলা চালাচ্ছে৷ এ ধরণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আর ওই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে কেউই থাকতে চায় নি৷

ব্রেগার প্রবেশপথে বিপ্লবীদের সাঁজোয়া গাড়িছবি: dapd

কী অবস্থা আজদাবিয়ার

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, অবস্থা ভয়াবহ৷ এই বিমানহামলার পর সবাই আতংকে শহর ছেড়ে পালাচ্ছেন৷ শহরের যত যানবাহন ছিল, সবকিছুতে মালপত্র বোঝাই করে নিয়ে আতংকিত হয়ে উর্দ্ধশ্বাসে সকলকে পালাতে দেখা গেছে৷ আসলে গত কয়েকদিন ধরে আজদাবিয়া আর ব্রেগার পরিস্থিতি মোটের ওপর শান্ত ছিল৷ হঠাৎ এই হামলায় হতচকিত হয়ে পড়েছে শহরবাসী৷

বিদ্রোহীদের তরফ থেকে কোন মন্তব্য?

বিদ্রোহীদের সামরিক শীর্ষব্যক্তি জেনারেল আব্দুল ফাতা ইউনুস স্বয়ং আজদাবিয়া পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থাগুলিকে খবর দিয়েছেন৷ তিনি অবশ্য তাঁর বিবৃতিতে একথাও বলেছেন যে যুদ্ধের সময় এ ধরণের ভুল হয়েই থাকে৷ এর জন্য ন্যাটোর সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের কোনরকম অবনতি হবে না৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : জান্নাতুল ফেরদৌস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ