লিবিয়ায় বিমান হামলা নিয়ে জোর বিতর্ক
২১ মার্চ ২০১১বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তেলের জন্যই এই হামলা চালানো হচ্ছে৷ বিমান হামলার বিপক্ষে রয়েছে চীনও৷
লিবিয়ায় সেনা পাঠানো প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ওবামা এক ভাষণে বলেন, ‘‘আমি গতকালকেই বলেছি, আমরা কোনো অবস্থাতেই লিবিয়ায় সেনা পাঠাবো না৷ আবারো বলছি, কোনো সেনা আমরা পাঠাবো না৷ কম্যান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে আমি বলছি, যেসব সেনা লিবিয়ায় কাজ করছে তাদের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে৷ তারা আত্মসম্মানের সঙ্গে তাদের কাজ সম্পন্ন করবেন৷''
অর্থাৎ লিবিয়ায় কোনো মার্কিন সেনা দেখা যাবে না৷ লিবিয়ায় বিমান হামলার সমালোচনা করছে বেশ কিছু দেশ৷ তুরস্ক জানিয়েছে, লিবিয়ায় এই বিমান হামলার কারণে সাধারণ মানুষ মারা যেতে পারে৷ তুরস্কের পত্রিকা ‘ইয়েনি সাফাক' বেশ স্পষ্ট করেই জানিয়েছে, ‘কোনো অবস্থাতেই আমরা আরেকটি ইরাক দেখতে চাচ্ছি না৷'
বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসভ বলেন, ‘‘তেলের জন্যই লিবিয়ায় হামলা চালানো হচ্ছে৷ আমরা কোনো অবস্থাতেই এই ধরণের কাজকে সমর্থন করি না, করবো না৷ লিবিয়ায় হামলার পেছনের মূল উদ্দেশ্য পরিস্কার করে জানানো হয়নি৷ আমি বিশ্বাস করি পেট্রোল, এবং কার দখলে থাকবে এই তেলক্ষেত্রগুলো – এই প্রশ্নের উত্তর জানতেই বিমান হামলা চালানো হচ্ছে লিবিয়ায়৷''
তবে ন্যাটো লিবিয়ায় কোনো হামলা চালাবে না৷ গত সপ্তাহের শেষে ব্রাসেলসে ন্যাটো সদস্য দেশগুলো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি৷ তুরস্ক, ইতালি, জার্মানি এবং ফ্রান্স ন্যাটো হামলার বিরোধিতা করে৷ তুরস্ক থাকে সবচেয়ে সোচ্চার৷ ফরাসি কূটনীতিকরাও এর বিরোধিতা করেন৷ তাঁরা বলেন, আরব বিশ্বে ন্যাটো বাহিনীর হামলার যথেষ্ঠ বদনাম রয়েছে৷ আজ এ বিষয়ে আবারো সদস্যদেশগুলো মিলিত হবে বলে জানা গেছে৷
চীনও এই বিমান হামলার বিরুদ্ধে৷ আজ চীনের বেশ কিছু পত্রিকায় লেখা হয়, আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে এই বিমান হামলা চালানো হচ্ছে৷ মধ্যপ্রাচ্যকে আবারো ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে৷ তবে গত সপ্তাহে যখন নিরাপত্তা পরিষদে এই হামলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় চীন তখন ‘ভেটো' দেয়নি৷ হামলার বিপক্ষে যদি একটি ভেটো পড়তো তাহলে কি এই হামলা চালানো সম্ভব হতো? এই প্রশ্ন এখন অনেকের মনে৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: জাহিদুল হক