1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘের আহ্বান

৬ এপ্রিল ২০১৯

রাজধানী ত্রিপোলিতে সেনা অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ৷ দেশের পূর্বাঞ্চলের দখলে থাকা যোদ্ধারা রাজধানীতে এ আক্রমণ শুরু করেছে৷

Libyen LNA-Kämpfer greifen Tripoli ein
ছবি: Getty Images/AFP/M. Turkia

খালিফা হাফতারের অধীনে থাকা যোদ্ধারা ত্রিপোলিতে যে আক্রমণ শুরু করেছে, তাতে দীর্ঘদিন ধরে অস্থিতিশীল থাকা দেশটি আরো বড় ধরনের বিপর্যয়ে পড়বে বলেও হুঁশিয়ার করেছে এ সংস্থা৷

হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) বৃহষ্পতিবার ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার ও সশস্ত্র যোদ্ধাদের ওপর এ আক্রমণ শুরু করে৷

২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে দেশটিতে গৃহযুদ্ধাবস্থা চলে আসছে৷ ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার থাকলেও পূর্বাঞ্চল রয়েছে বিদ্রোহীদের দখলে৷ নতুন এ আক্রমণ থমকে থাকা গৃহযুদ্ধকে আবার উসকে দিতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে৷

জাতিসংঘে জার্মান রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফ হয়েসগেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সংস্থাটি ‘এলএনএকে সেনা অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে'৷ তিনি বলেন, ‘‘এ সমস্যার কোনো সশস্ত্র সমাধান নেই৷ ফলে সব পক্ষকেই উত্তেজনা হ্রাস করার আহ্বান জানানো হয়েছে৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা ত্রিপোলির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ সম্ভাব্য রাজনৈতিক সমাধানকে এ সহিংসতা বাধাগ্রস্ত করবে বলে মনে করেন তাঁরা৷''

জাতিসংঘের মধ্যস্থতা চেষ্টা

এখন ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফায়েজ সারাজের ‘গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড' বা জাতীয় ঐক্যের সরকারের হাতে৷ শুক্রবার রাজধানীর দক্ষিণে অবস্থিত একটি সাবেক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দখলে নেয়ার দাবি করেছে এলএনএ, তবে এ দাবি নাকচ করে দিয়েছেন ত্রিপোলি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷

দেশটির ঐক্য এবং সাধারণ নির্বাচন নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আছেন লিবিয়া সফরে৷ এর পর থেকেই ত্রিপোলির আশেপাশে আক্রমণ শুরু করেছে এলএনএ৷

ত্রিপোলি সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শুক্রবার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোবরুকে যান গুতেরেস৷ এরপর ‘রক্তপাত বন্ধের' আহ্বান জানিয়ে বেনগাজিতে হাফতারের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি৷

‘জঙ্গিদের বিরুদ্ধে' হাফতারের ‘লড়াই'

শুক্রবার লিবিয়ায় জাতিসংঘের দূত ঘাসান সালামে নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছেন, গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠকে হাফতার ত্রিপোলিতে হামলা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন৷

ত্রিপোলি সরকারকে সমর্থন জানানো কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠিকে ‘জঙ্গি' বলে আখ্যা দিয়েছেন হাফতার৷ ত্রিপোলিকে এদের হাত থেকে ‘মুক্ত' করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি৷ তবে সমালোচকরা বলছেন, এই বাহানায় লিবিয়ার পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয়াই হাফতারের লক্ষ্য৷

এডিকে/এআই (এএফপি, এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ