লিবিয়ায় সেনা-বিরোধী সংঘর্ষ, সীমান্তে বাংলা ব্লগার
৮ মার্চ ২০১১লিবিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি
গাদ্দাফিপন্থীরা লিবিয়ার তেল বন্দর রাস লানুফে বেশ কয়েকবার বিমান হামলা চালিয়েছে৷ শহরটি সরকার বিরোধীদের দখলে ছিল৷ সেখানে বিমান হামলায় একটি গাড়ি বিধ্বস্ত হয় এবং কমপক্ষে একজন প্রাণ হারায়৷ লিবিয়ার আরেক শহর জাওয়াদ থেকে বিরোধীদের জোর করে সরিয়ে দিয়েছে সরকারি সেনারা৷ এছাড়া জাউইয়া শহরে আবারো ট্যাংক এবং গোলন্দাজ বাহিনীর সহায়তায় হামলা চালিয়েছে গাদ্দাফিপন্থীরা৷ মিস্রাতা শহরের এক ডাক্তার সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে জানিয়েছেন, তাঁর হাসপাতালে কমপক্ষে ২১টি মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে এবং শতাধিক আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে৷ তিনি দাবি করেন, সরকারি সেনাদের সঙ্গে বিরোধীদের ছয় ঘন্টার সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে৷
আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতিক্রিয়া
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জানিয়েছেন, লিবিয়ার পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ন্যাটো সেদেশে সামরিক উদ্যোগের বিষয়টি বিবেচনা করছে৷ তিনি এই সংকটের সময়ে লিবিয়ার মানুষের পক্ষে মার্কিন অবস্থানের কথাও জানান৷ ন্যাটো মহাসচিব আন্দ্রেস ফগ রাসমুসেনও লিবিয়ার পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ তবে, লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের পক্ষে নয় রাশিয়া৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই বিষয়ে ভেটো প্রদানের অধিকার রয়েছে সেদেশের৷
সরে যাচ্ছে বিদেশিরা
জাতিসংঘ এই সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্য ১৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাহায্য চেয়েছে৷ লিবিয়া থেকে পাশ্ববর্তী দেশ টিউনিশিয়া, মিশর এবং নাইজারে সরে যাওয়া চার লাখ মানুষকে চিকিৎসা এবং খাদ্য সহায়তা প্রদানে এই অর্থ ব্যয় করা হবে৷ এছাড়া লিবিয়ার অভ্যন্তরে আরো ৬ লাখ মানুষকে সহায়তায় এই অর্থ ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ৷
উল্লেখ্য, লিবিয়া থেকে বাংলাদেশিরাও টিউনিশিয়াসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিচ্ছে৷ মিশরে সরে আসা বাংলাদেশিদের অবস্থা জানাতে সীমান্তবর্তী এলাকায় যাচ্ছেন বাংলাদেশি ব্লগাররাও৷ এই বিষয়ে সামহোয়্যার ইন ব্লগে মাহমুদুল হাসান লিখেছেন, ‘‘সর্বশেষ দূতাবাসের খবর অনুযায়ী সেখানে (সাল্লুম এলাকা) ৪ হাজার বাংলাদেশি অবস্থান করছেন৷ তবে আমার মনে হয় তাদের সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে৷'' মিশরে অবস্থানরত এই ব্লগার নিয়মিতই লিবিয়ার বিভিন্ন তথ্য পরিবেশন করছেন৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার