1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘লিবিয়া এখনো খুবই বিপজ্জনক'

১ জুলাই ২০২০

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশি এক ব্য়ক্তির নামের প্রথম অক্ষর ‘আর'। ইউরোপীয় মানবাধিকার সংস্থা ‘এসওএস মেডিটেরানে'র উদ্ধারকারী জাহাজ ‘ওশান ভাইকিং'-এ এখন আছেন তিনি। জাহাজটি এখন আছে ভূমধ্য়সাগরে।

Italien Sizilien Messina Migranten von Rettungsschiff Open Arms
ছবি: picture-alliance/AP/S. Palacios

২৫ জুন বিকালে আর.-সহ ৬৭ জন অভিবাসনপ্রত্য়াশীকে ভূমধ্য়সাগর থেকে উদ্ধার করে ওশান ভাইকিং। তারা কাঠের নৌকা করে লিবিয়া থেকে ইটালিতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

দুই সন্তানের জনক আর. উন্নত জীবনের আশায় একবছর আগে লিবিয়া গিয়েছিলেন। ওশান ভাইকিংয়ের কর্মীদের তিনি জানান, ‘‘আমি ভেবেছিলাম লিবিয়ায় যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এটা এখনো খুবই বিপজ্জনক দেশ। প্রথমবার যখন আমি পালাবার চেষ্টা করেছিলাম তখন লিবিয়ার কোস্টগার্ড আমাদের ধরে ফেলেছিল। তারপর তারা আমার পাসপোর্ট ফেলে দিয়ে জেলে পুড়েছিল। সেখান থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ছিল টাকা দেয়া।''

এখন সবমিলিয়ে ১৮০ জন অভিবাসনপ্রত্য়াশী আছেন ৬৯ মিটার দীর্ঘ জাহাজ ওশান ভাইকিংয়ে।

ইটালির কাছেজাহাজটি  ভিড়তে দেয়ার অনুমতি চেয়েছে এসওএস মেডিটেরানে। তবে এখনো উত্তর আসেনি বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে তারা।

এদিকে, এতদিন সাগরে থাকতে হওয়ায় অভিবাসনপ্রত্য়াশীদের অনেকে উত্তেজিত হয়ে উঠেছেন। সুদানের এক তরুণ সাগরে ঝাঁপ দেয়ার হুমকিও দিয়েছেন। ‘‘আমি বলছি, আমি লাফ দেবো। আমি সাঁতার কাটতে পারি না, কিন্তু আমি আর এখানে থাকতে চাই না,'' ওশান ভাইকিংয়ের কর্মীদের বলেন তিনি।

উল্লেখ্য়, অতীতে এভাবে লাফিয়ে পড়ার কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশি, সুদানি ছাড়াও জাহাজে পাকিস্তানি, মরক্কান ও  মিশরীয়রাও আছেন। সাইদ নামের ৩৫ বছর বয়সি এক মিশরীয় বলছেন, ‘‘আমি অনেকদিন ধরে সাগরে আছি। আমার পরিবার নিশ্চয়ই মনে করছে, আমি মারা গেছি। আমি নিশ্চিত আমার সন্তানেরা মনে করছে বাবা মরে গেছে।''

এদিকে, বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্য়াশীদের মধ্য়ে গুজবও ছড়িয়ে পড়ছে। যেমন একদল মনে করছে জাহাজে থাকা বাংলাদেশিরা ওয়াইফাই ব্য়বহার করে গোপনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন- যা আসলে সত্য় নয়।

এসওএস মেডিটেরানেতে কাজ করেন লুডভিচ। জাহাজে অভিবাসনপ্রত্য়াশীদের মধ্য়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে স্ৱীকার করেছেন তিনি। ‘‘ইউরোপীয়রা জাহাজ ভিড়তে দেয়ার অনুরোধে এখনো সাড়া না দেয়ার বিষয়টি লজ্জাকর। কনটেনারের মেঝেতে অভিবাসনপ্রত্য়াশীদের ঘুমানোর ছবি রাজনীতিবিদদের দেখা উচিত,'' বলে মনে করেন তিনি।

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ