1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরো ১৬৭ বাংলাদেশি

১০ এপ্রিল ২০২৫

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় অনিয়মিত অভিবাসী হিসাবে আটকেপড়া আরো ১৬৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন৷ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকায় পৌঁছেছেন তারা৷

আইওএম-এর জ্যাকেট গায়ে এক ব্যক্তি৷
বাংলাদেশ সরকার ও লিবিয়ার ধারাবাহিক ও সমন্বিত প্রচেষ্টায় ১৬৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহযোগিতায় বুধবার (৯ এপ্রিল) লিবিয়া থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ছবি: Yousef Murad/AP/picture alliance

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ও লিবিয়ার ধারাবাহিক ও সমন্বিত প্রচেষ্টায় ১৬৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহযোগিতায় বুধবার (৯ এপ্রিল) লিবিয়া থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷

লিবিয়ার বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে (ইউজেড ২২২) বাংলাদেশিদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ফ্লাইটটি৷

লিবিয়ার ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি ডয়চে ভেলেকে নিশ্চিত করেছেন৷

তিনি জানিয়েছেন, দেশ ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির মধ্যে ১৫৮ জন বেনগাজীর একটি আটককেন্দ্রে আটক ছিলেন৷

বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, বেনগাজির আটককেন্দ্র থেকে বাংলাদেশিদের উদ্ধারের পর তাদের তথ্য যাচাই-বছাই করা হয়েছে৷ এরপরই এসব অনিয়মিত বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য ভ্রমণ অনুমতি বা ট্রাভেল পারমিট (আউট পাস) ইস্যু করা হয়৷

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বহির্গমন অনুমতি নিয়েই এসব বাংলাদেশিদের দেশে পাঠানো সম্ভব হয়েছে বলেও জানিয়েছে দূতাবাস৷

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে যেসব অভিবাসী ইউরোপে পৌঁছাতে চান, তাদের কাছে উত্তর আফ্রিকার যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ লিবিয়া অন্যতম প্রধান ট্রানজিট বা প্রস্থান পয়েন্ট৷ বাংলাদেশিরাসহ সাব-সাহারা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ, মধ্যপ্রাচ্য, সিরিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নাগিরকেরাও ইউরোপ পৌঁছানোর আশায় ভিড় জমান লিবিয়ায়৷

ইউরোপমুখী অভিবাসীরা কেন মরছেন মরুভূমিতে?

03:38

This browser does not support the video element.

২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত এবং হত্যা করা হয়৷ এরপর থেকে লিবিয়ায় সহিংসতা এবং অস্থিতিশীলতা নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে৷ সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় আছে দেশটি৷

কিন্তু লিবিয়া এখনো দুই ভাগে বিভক্ত৷ একপক্ষে আছে ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকার৷ অন্যপক্ষে আছে সামরিক শক্তিধর খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসন৷

ত্রিপোলি থেকে বেনগাজির দূরত্ব সড়ক পথে এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি৷ আর বেনগাজি খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসনের অংশ৷

ডয়চে ভেলেকে একটি সূত্র জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপ পৌঁছানোর চেষ্টারত বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই বেনগাজি হয়েই লিবিয়া ঢোকেন৷ কারণ, ভিসা ছাড়া কিংবা অনিয়মিতভাবে ত্রিপোলিতে আসা তুলনামূলক কঠিন৷

গত মার্চে তিনটি ফ্লাইটে অন্তত পাঁচশ জন বাংলাদেশিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ এদের মধ্যে টিউনিশিয়া থেকে পাঠানো হয়েছে ১৭ জনকে৷ 

দেশে ফেরত যাওয়া অনেক বাংলাদেশি ত্রিপোলির তাজুরা আটককেন্দ্রেও বন্দি ছিলেন৷ সেখান থেকে উদ্ধারের পরই মতামতের ভিত্তিতে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়৷

২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে দেশে ফেরানো হয়েছে৷ ২০২৩ সালের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচ হাজার বাংলাদেশি নাগরিককে নিরাপদে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে দূতাবাস৷

টিএম/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ