1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১০১ জন বাংলাদেশি

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১

আজ দুপুরে ঐ ১০১ জন বাংলাদেশি নাগরিক তুরস্কের একটি বিমান যোগে ঢাকায় আসেন৷ তারপরও সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের আত্মীয়-স্বজন দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁদের বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন৷

ছবি: picture alliance/dpa

ত্রিপোলি বিমানবন্দর থেকেই এই ১০১ জন বাংলাদেশি নাগরিক টার্কিশ এয়ারওয়েজ যোগে ঢাকা রওয়ানা হন৷ আর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান দুপুর ২টার দিকে৷ তাঁরা যে কোম্পানিতে কাজ করতেন, তাদের ব্যবস্থাপনাতেই দেশে ফিরলেন তাঁরা৷ দেশে ফেরার পর তাঁরা জানান, লিবিয়ায় বহু বাংলাদেশি চরম দুরবস্থার মধ্যে আছেন৷ ঢাকায় আসার জন্য তাঁদের বেশ কয়েকদিন ত্রিপোলি বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হয়েছে৷ ঢাকায় আসার পর দ্রুত তাঁদের বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাওয়া হয়৷

এদিকে সারা দেশেই লিবিয়া প্রবাসীদের আত্মীয়-স্বজনের ক্ষোভ বাড়ছে৷ তাঁরা প্রতিদিনই তাঁদের স্বজনদের লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য মানব বন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করছেন৷ আজ শরিয়তপুর, টাঙ্গাইল ও চাপাই নবাবগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন লিবিয়া প্রবাসীদের স্বজনরা৷ সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের আত্মীয়-স্বজনরা সবাই একযোগে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন৷

তাঁরা অভিযোগ করেন যে, সরকার তাঁদের স্বজনদের লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনার সব রকম ব্যবস্থার কথা বললেও, তাঁরা সেই কথার কোনো ফল দেখতে পাচ্ছেন না৷ কেউ কেউ জনান যে তাঁদের স্বজনরা লিবিয়ায় ঠিক কোথায় আছেন, সে খবরটুকুও তাঁরা পাচ্ছেন না৷ তাঁরা বেঁচে আছেন, না মরে গেছেন - অন্তত সেই খবরটুকু জানাতে সরকারকে অনুরোধ করেছেন লিবিয়া প্রবাসীদের আত্মীয়-স্বজনরা৷ একজনের মা বলেন, যে কোনো কিছুর বিনিময়ে তিনি তাঁর সন্তানকে ফেরত চান৷

ওদিকে দুবাই সফররত পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দিপুমনি বলেছেন, লিবিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের উদ্ধারে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, তাঁরা যেসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সেই সব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের ফেরত আনার ব্যবস্থাও নিচ্ছে সরকার৷

সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস ঢাকায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, দু-তিন দিনের মধ্যে ১ হাজার বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হচ্ছে৷ আর ৮৯০০ জন বাংলাদেশি লিবিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর সীমান্তে অপেক্ষা করছে বলেও জানান তিনি৷ তাঁদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে খবর৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ