1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিসবনের ইতিহাস ধরে রেখেছে যে ট্রাম

৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিশ্বের অনেক শহরের বিশেষ আকর্ষণ থাকে৷ পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের একটি প্রাচীন ট্রাম শহরের আত্মার প্রতীক বলে বিবেচনা করা হয়৷ সেই ট্রামে চেপে লিসবনের প্রধান দ্রষ্টব্যগুলি ঘুরে দেখা যায়৷

ছবি: picture-alliance/Arco Images/J. Moebes

লিসবন শহরের বিখ্যাত ২৮ই নম্বর ট্রামের প্রায় সাত কিলোমিটার গতিপথ চড়াই-উতরাইয়ে ভরা৷ একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে এই নড়বড়ে ইলেকট্রিক ট্রাম পর্তুগালের রাজধানীর সেরা আকর্ষণগুলির পাশ দিয়ে যাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছে৷ ট্রামের লাইন মাত্র ৯০০ মিলিমিটার চওড়া৷ প্রায় ১৮ বছর ধরে নুনো কামাশো এই ঐতিহাসিক যান চালাচ্ছেন৷ তিনি বলেন, এই ট্রাম চালাতে বেশ মজা লাগে৷ লাইনের উপর কোনো যান চালাতে তিনি খুব ভালোবাসেন৷

মার্তি মুনিশ চত্বর থেকে এই ট্রাম টিলার উপর সাঁও ভিসেন্তি দি ফোরা মনাস্ট্রি পর্যন্ত যাত্রীদের নিয়ে যায়৷ তাতে এখনো প্রাচীন কাঠের বেঞ্চে বসার সুযোগ রয়েছে৷ শহরের পুরানো আলফামা পাড়ার মধ্য দিয়ে ট্রাম চলে৷ আগে রক্ষীরা সেখানে যান নিয়ন্ত্রণ করলেও এখন ট্রাফিক লাইট সেই কাজ করে৷ নুনো কামাশো এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেন, ‘‘এখান থেকে একটিমাত্র ট্র্যাক রয়েছে৷ অন্য ট্রাম বা গাড়ি উলটো দিক থেকে আসতে পারে বলে খুব সাবধান থাকতে হয়৷’’

লিসবনের আত্মার প্রতীক ‘ট্রাম ২৮’

04:33

This browser does not support the video element.

জানালা দিয়ে হাত বাড়ালেই এখানে ঘরবাড়ি ছোঁয়া যায়৷ আলফামা লিসবনেরপ্রাচীনতম অংশের মধ্যে পড়ে৷ সেখানকার উঁচুনীচু পথ ও সরু অলিগলির কথা ভেবেই এই ট্রাম তৈরি করা হয়েছিল৷ শহরের নানা ভিউয়িং পয়েন্ট থেকে পর্যটকরা এই ট্রামে ওঠানামা করেন৷ তেশু নদীর মোহনার দৃশ্য তাঁরা উপভোগ করেন৷

ট্রামের যাত্রাপথে একের পর এক দ্রষ্টব্য রয়েছে৷ সান্টা লুসিয়া গির্জার বাইরে রং করা চিনামাটির টাইলস শোভা পাচ্ছে৷ লিসবনের বর্ণাঢ্য ইতিহাস তাতে ফুটে উঠেছে৷ পরের স্টপ ‘সে পাত্রিয়ার্কাল’৷ শহরের সবচেয়ে প্রাচীন গির্জার পাশ দিয়ে খাড়া পথ নেমে গেছে৷ ট্রাম চালানোর কায়দা সম্পর্কে নুনো কামাশো বলেন, ‘‘ট্রামের একাধিক ব্রেক রয়েছে৷ একটি অকেজো হলে অন্যটি ট্রাম থামাতে পারবে৷ চালাতে গেলে হাতল সামনে ঘোরাতে হয়৷ টেনে ধরলে চাকা পিছনদিকে ঘুরে ব্রেক করে৷ এটা নিউম্যাটিক ব্রেক, এটা ম্যাগনেটিক এবং অন্যটি হ্যান্ড ব্রেক৷’’

‘কালসাদা দে সাঁও ফ্রানসিস্কো’ নামের রাস্তায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ খাড়া পথ বেয়ে উঠতে হয়৷ বিশ্বের অন্য কোনো ট্রাম সেটা পারে না৷

শেষ পর্যায়ে সংসদ ভবন ও বাসিলিকা দা ইশত্রেলার পাশ দিয়ে ট্রাম যায়৷ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ৩৮টি স্টপ পেরিয়ে শহর ঘোরার অভিজ্ঞতা দারুণ৷ তার উপর ট্রামটিও অন্যতম দ্রষ্টব্য বটে৷

রেগিনা নিডেনজু/এসবি

২০১৪ সালের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ