হামলাকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের৷ হামলাকারী ২৫ বছর বয়সি কোনর স্টার্জেন৷ তিনি শহরতলীতে অবস্থিত ওল্ড ন্যাশনাল ব্যাংক নামের ওই ব্যাকটিতে কাজ করতেন৷
তিনি কী কারণে এই হামলা চালিয়েছেন সে বিষয়ে এখনো পরিস্কার ধারণা পায়নি পুলিশ৷
হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার ‘ইন্টেরিম' পুলিশ চিফ জ্যাকুলিন গুয়িন ভিলরয়িল৷
পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার আগে হামলাকারী তার হাতের রাইফেল দিয়ে গুলি চালায়৷ গুলি চালানোর এই ঘটনা তিনি লাইভ প্রচারও করেন৷
ইন্টেরিম পুলিশ চিফ জ্যাকুলিন গুয়িন ভিলরয়িল জানান, আহত এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরো দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ তাদের মাথায় গুলি লেগেছে৷
মার্কিন সংবাদমাদ্যম সিএনএন জানায়, গুলির ঘটনার পরপরই সেখানে কর্মরত কয়েকজন ব্যাংকের ভল্টে আশ্রয় নেন এবং পুলিশকে খবর দেন৷
কান্নাজড়িত কেনটাকি গভর্নর
ঘটনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশার জানান, ঘটনায় নিহত কয়েকজন তার পুর্বপরিচিত৷
সংবাদ সম্মেলনে তিনি গুলিতে নিহত ৬৩ বছরের টমি এলিয়টের নাম উল্লেখ করে জানান, টমি তার খুব কাছের বন্ধু৷ টমি তাকে আইনজীবী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে এবং গভর্নর হতে সহযোগিতা করেছিলেন বলে স্মরণ করেন তিনি৷
‘‘এই ঘটনায় আমার খুব কাছের এক বন্ধু মারা গেছেন৷ আমার আরেক বন্ধু অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছেন৷ আমি আশা করি তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন৷’’
এদিকে কেনটাকির মেয়র ক্রেইগ গ্রিনব্যার্গ বলেন, ‘‘আমরা বন্দুক হামলার এমন ঘটনা এখানে এবং আমাদের রাজ্যের আশেপাশে যেন আর না হয় তা নিশ্চিত করতে দলবদ্ধভাবে কাজ করবো৷’’
উল্লেখ্য, গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্য বলছে, লুইভিল শুটিংয়ের এই ঘটনাটিসহ যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর মোট ১৪৬টি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ প্রতিটি ঘটনায় গড়ে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন৷
লুইভিল শুটিংয়ের ঠিক দুই সপ্তাহ আগে ন্যাশভিল শহরের একটি স্কুলে বন্দুক হামলায় তিন শিশুসহ ছয় জন নিহত হয়৷
এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে বন্দুক হামলার ঘটনা নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে৷ যদিও বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিরোধিতা করছে রিপাবলিকানরা৷
লুইভিলের এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই টুইটবার্তায় বলেন, ‘‘এভাবে নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে অনেক অ্যামেরিকান তাদের জীবন দিয়ে মূল্য দিচ্ছে৷’’
একের পর বন্দুক হামলায় বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র৷ অস্ত্র আইন কঠোর করার দাবিতে ‘মার্চ ফর লাইভস’-এ অংশ নিলেন হাজারো মার্কিন নাগরিক৷
ছবি: REUTERS
সন্তানকে আঁকড়ে
টেক্সাসের ইউভ্যালডিতে প্রাথমিক স্কুলে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালায় এক বন্দুকধারী৷ তাতে প্রাণ হারায় ১৮ শিশু-সহ ২১ জন৷ সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা ৷ মিছিলেও দেখা গেল সেই ছবি৷ সন্তানের হাত আঁকড়ে অস্ত্র আইন কঠোর করার দাবি জানালেন মা-বাবারাও৷
ছবি: REUTERS
প্রতিবাদের স্বর
২০১৮ সালে ডগলাসে বন্দুক হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন এক্স গঞ্জালেজ৷ ‘মার্চ ফর আওয়ার লাইভস’-এর সহ-উদ্যোক্তা তিনি৷ ওয়াশিংটন ডিসিসহ সারা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন তারা৷
ছবি: REUTERS
চোখে জল, লক্ষ্যে অবিচল
সমাবেশে পা মিলিয়েছেন গঞ্জালেজ৷ বক্তৃতাও দিয়েছেন৷ সেই সময় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি৷ এতগুলো মানুষকে হারিয়ে ফেলার দুঃসহ স্মৃতি আজো তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে ৷
ছবি: REUTERS
হাজারো মানুষের প্রতিবাদ
নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন ব্রিজে হাজারো মানুষ হাঁটলেন অস্ত্র আইন কঠোর করার দাবিতে৷ ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডেও দেখা গেছে এমন সমাবেশ৷
ছবি: REUTERS
ন্যাশনাল মলে..
মানুষের মাথা ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছিল না ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল মলের সমাবেশে৷ ১১ জুনের বিপুল সমাবেশে অংশ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আপামর সাধারণ নাগরিকেরা৷
ছবি: REUTERS
স্মৃতির ভার
খোসে বাদিও নামে এক ব্যক্তি বন্দুক হামলায় নিহত শিশুদের ছবির সামনে প্রতিবাদের পতাকা জুড়ে দিচ্ছেন৷ ছবিটি টেক্সাসের অস্টিনের৷
ছবি: REUTERS
ঝরে যাওয়া প্রাণ
স্কুলে পড়াশোনা করতে এসে আর বাড়ি ফেরেনি ইভা মিরেলেস৷ তার মতো অনেক শিশুই আর বেঁচে নেই৷ ক্রুশ আর গোলাপে তাদের স্মরণ করা হয়েছে৷
ছবি: REUTERS
ফিরবে না বোন
তুতো বোন জ্যাকি কাজারেস আর ফেরেনি৷ টেক্সাসের ইউভ্যালডির স্কুলে নিহত পড়ুয়াদের মধ্যে সে-ও একজন৷ বড় বোন ক্রিস্টেলা মেনডোজা বোনের হাসিখুশি মুহূর্তের একটি ছবি হাতে নিয়ে কঠোর অস্ত্র আইনের দাবিতে অস্টিনের সমাবেশে অংশ নিয়েছেন৷
ছবি: REUTERS
বুলেট নয়, বই চাই
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষকরাও অস্ত্র আইন কঠোর করার দাবিতে পথে নেমেছেন৷ ‘অ্যামেরিকান ফেডারেশন অফ টিচার্স’-এর প্রেসিডেন্ট রান্ডি ওয়েইনগার্টেন৷ ‘মার্চ ফর আওয়ার লাইভস’-এ বক্তব্য রেখেছেন তিনিও৷
ছবি: Joshua Roberts/REUTERS
পুলিশের সঙ্গে
সমাবেশে এক প্রতিবাদীর সঙ্গে কথা বলছেন এক পুলিশকর্মী৷ বিপুল সমাবেশে যাতে কোনোরকম গন্ডগোল না হয়, সে দিকে কড়া দৃষ্টি ছিল প্রশাসনের৷ অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেও অস্ত্র আইন কঠোর করার পক্ষেই৷
ছবি: Ken Cedeno/REUTERS
আর কেউ যেন সন্তান না হারায়
পার্কল্যান্ডে বন্দুক হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল জোয়াকিন অলিভার৷ তার বাবা ম্যানুয়েল অলিভার এবং মা প্যাট্রিসিয়াও প্রতিবাদ মঞ্চে ছিলেন৷ এছাড়াও ছিলেন ডগলাসে বন্দুক হামলায় বেঁচে যাওয়া ডেভিড হগ৷
ছবি: Jonathan Ernst/REUTERS
ফুলে স্মৃতিচারণ
অজস্র পড়ুয়া পা মেলান এই সমাবেশে৷ তেমনই নিহত পড়ুয়াদের স্মৃতিতে সারি সারি ফুলের মাধ্যমে পড়ুয়াদের স্মৃতিচারণ করা হয়েছে৷ তেমনভাবেই অজস্র নোটবুক, ভেঙে যাওয়া পেনসিলের টুকরো রেখেও স্মরণ করা হয়েছে পড়ুয়াদের৷
ছবি: Allison Bailey/NurPhoto/IMAGO
শিশু হত্যা ও বন্দুক
এক ব্যক্তির হাতে একটি পোস্টার ছিল৷ তাতে একটি বন্দুকের ছবি৷ বন্দুকের পাশে লেখা ‘বেবি কিলার’ অর্থাৎ শিশু হত্যাকারী৷