1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানের ভাষ্কর্য

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২

আফগানিস্তানে যখন গৃহযুদ্ধ চলছিলো, সে সময় অনেক গুরুত্বপূ্র্ণ নিদর্শন লুট হয়ে যায়৷ এবার, লুট হওয়া সেই সম্পদগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছে আফগান কর্তৃপক্ষ৷ গত সপ্তাহেই বহু পুরনো একটি ভাষ্কর্য তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে জার্মানি৷

জার্মানির ফিরিয়ে দেয়া ভাষ্কর্যছবি: Reuters

নব্বই দশকের গোঁড়ার দিকে, গৃহযুদ্ধের বছরগুলোতে কী কী হারিয়েছে আফগানিস্তান? এ প্রশ্নের উত্তরে ক্ষতিগ্রস্ত আফগানদের তালিকাটা নিশ্চয়ই দীর্ঘ হবে৷ শুধু মানুষের প্রাণ আর শান্তি-শৃঙ্খলাই হারায় নি তখন, হারিয়েছে আফগান ঐতিহ্যের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনও৷ হারিয়ে যাওয়া সেই ঐতিহ্যেরই কিছু কিছু আবারো নতুন করে ফিরে পাচ্ছে তারা৷

গত সপ্তাহে, জার্মানির সরকার একটি ভাষ্কর্য ফিরিয়ে দিয়েছে কাবুলকে৷ ফিরিয়ে দেয়া এই ভাষ্কর্যটি দ্বিত্বীয় শতাব্দির৷ এক ফুট দৈর্ঘ্যের এই ভাষ্কর্যটিতে অঙ্কিত আছে মানুষের আটটি অবয়ব৷ তবে ফিরে পাবার পর দেখা গেছে যে, ভাষ্কর্যটির একটি অবয়বের নাক ভেঙে গেছে, গলার নীচ থেকে খসে গেছে আরেকটি অবয়বের শরীর৷

১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে যখন রাশিয়া সমর্থিত সরকার চলছিলো, তখনও আফগানিস্তানের জাদুঘরগুলোতে ছিলো প্রায় লাখ খানেক ঐতিহাসিক নিদর্শন৷ কিন্তু সে সময় সোভিয়েত রাশিয়া সমর্থিত কমিউনিস্ট সরকারের পতনের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে আফগানিস্তান৷ গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে যায় দেশজুড়ে৷

১৯৭৯ থেকে ১৯৯৬ এই সতেরো বছরে, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও বিশৃঙ্খলার দিনগুলোতে আফগানিস্তানের জাদুঘরগুলো থেকে একে একে লুট হয়ে যায় প্রায় ৭০ ভাগ নিদর্শন৷

লুট হওয়া সেই অমূল্য সম্পদের কিছু গেছে বিদেশের চোরাই মার্কেটে, কিছু শোভা পাচ্ছে পুরোনো নিদর্শন সংরক্ষণকারীর ঘরে, কয়েকটি আজও আছে ব্রিটিশ জাদুঘরে৷ আর কিছু নিদর্শন পুরোনো বাতিল কাঠের মাল হিসেবে গেছে কোনো কোনো আফগানের চুলায়৷

প্রায় সব হারানোর পর, জার্মানির কাছ থেকে প্রাক-ইসলামিক যুগের অমূল্য ভাষ্কর্যটি ফেরত পেয়ে খুশি হয়েছে আফগান কর্তৃপক্ষ৷

আফগানিস্তানের জাতীয় জাদুঘরের পরিচালক ওমর খান মাসৌদি জানান, গৃহযুদ্ধের সময় বেহাত হওয়া আফগান ঐতিহ্যের কিছু কিছু নিদর্শন এখনো দেখা যায় ইউরোপ, অ্যামেরিকা ও জাপানে৷ যেখানে যা পাওয়া যাবে আফগান আইন অনুযায়ী তা আবার ফেরত আনা হবে দেশে৷

লুট হওয়া অমূল্য রতনগুলোর কিছু ফিরে পেতে শুরু করেছে আফগানিস্তান৷ ২০০৭ সাল থেকে এ পযর্ন্ত প্রায় আট হাজার নিদর্শন ফেরত পেয়েছে তারা৷

ঐশর্য্যময় এ নিদর্শনগুলোকে আরো সুরক্ষিত করে রাখার জন্য ১০ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে বানানো হচ্ছে আরেকটি নতুন জাদুঘর৷ আফগান কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন সে জাদুঘর আবারো ভরে ওঠবে অমূল্য সম্পদগুলো দিয়ে৷

প্রতিবেদন: আফরোজা সোমা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ