1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জেট ইঞ্জিন মেরামত

৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

লুফৎহানসার বিমানবহরের দেখাশুনার জন্য বিমানের জেট ইঞ্জিনগুলোকে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়৷ পরে হামবুর্গে লুফৎহানসার ওয়ার্কশপে সেই ফাটল মেরামত করা হয় শুধু যন্ত্র দিয়ে নয়, সেই সঙ্গে মানুষের হাত ও অনুভূতি দিয়ে৷

Maschinenbau Triebwerk
ছবি: dapd

চুলের মতো সরু ফাটলগুলোতে ঝালাইয়ের কাজ করেন বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁরা সবাই ওয়েল্ডিংয়ের বিশেষজ্ঞ, তা সত্ত্বেও প্রতি দু’বছর অন্তর নতুন করে একটি পরীক্ষা পাস করতে হয়৷

ড. রাইনহোল্ড লেন্ডার বললেন, ‘‘এখানে যদি কোনো একটা অংশ ভেঙে যায়, তাহলে সেটা টার্বাইনের ভেতর দিয়ে যাবে৷ আর টার্বাইনের হাই প্রেসার ব্লেডগুলোর ক্ষতি করবে এবং পরে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে পেছন দিক থেকে বেরিয়ে যাবে৷ কিন্তু এ রকম একটা টার্বাইনের ক্ষতি হওয়ার মানে দশ থেকে বিশ লাখ ইউরো লোকসান৷’’

কমবাশন চেম্বারের সম্ভাব্য ফাটল পরীক্ষা করা হয়ে গেছে৷ এরপর মেকানিকরা ফাটলগুলো মিলিং করে বাকি সার্ফেসের সঙ্গে মিলিয়ে দেবেন - এক মিলিমিটার ফাটলও বাদ পড়লে চলবে না৷ তাই ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে বারবার পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷

বিশেষ ধরনের ইলেকট্রিক ওয়েল্ডার দিয়ে ফাটলগুলো ঝালাই করা হয়৷ কাজ একেবারে নিখুঁত হওয়া চাই৷ জেট বিমান যত আধুনিকই হোক না কেন, মানুষের আন্দাজের চেয়ে বেশি নিখুঁত আর কিছু হতে পারে না৷

ড. রাইনহোল্ড লেন্ডারের মতে, ‘‘ধাতুর পাত ঠিক কতটা মোটা, ফাটলটা ঠিক কোথায় আর কত বড়, এসব যদি জানা থাকে, তাহলে একটা যন্ত্র একাই ঝালাইয়ের কাজ করতে পারে৷ কিন্তু যখন, যে পদার্থ ঝালাই করা হচ্ছে, তার কথা ভেবে বুঝেশুনে ঝালাই করতে হয়, তখন মানুষই সেটা যন্ত্রের চেয়ে অনেক ভালো পারে৷’’

ঝালাইয়ের সময় যে অজান্তে কোনো নতুন ভুলভ্রান্তি ঘটেনি, সেটা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি মেরামত করা পার্টস আবার ফাটলের জন্য পরীক্ষা করে দেখা হয়৷ তার পরেই শুধু পুরো ইঞ্জিনটিকে একটি সুবিশাল পাজল-এর মতো আবার জোড়া দেওয়া হয়৷

এবার গোটা ইঞ্জিনের পরীক্ষা

তারপর আসে গোটা ইঞ্জিনটার টেস্ট৷ এবার দেখা যাবে, ইঞ্জিনটা তার ফুল ক্যাপাসিটিতে কাজ করতে পারে কিনা৷

কমান্ডো স্ট্যান্ডে ক্রু প্রস্তুত৷ একটা হাত ইমার্জেন্সি বাটনের কাছে৷ ইঞ্জিন ঠিকমতো স্টার্ট করল৷ এবার পূর্ণশক্তিতে চলবে৷

উত্তীর্ণ৷ ইঞ্জিনটি কোনোরকম সমস্যা ছাড়াই চলছে৷ যে গ্যাস বেরোচ্ছে, তার তাপমাত্রা থেকেও বোঝা যাচ্ছে যে, মেরামতি সফল হয়েছে৷

ড. রাইনহোল্ড লেন্ডার বললেন, ‘‘আমার সহকর্মীরা গর্বিত যে, এক হাজার ইঞ্জিন এখানে খুলে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে; কিন্তু আমাদের কাজের কোনো ত্রুটির জন্য কোনো ইঞ্জিনকে নতুন করে খুলতে হয়নি৷’’

ইঞ্জিনটির পরের চেক-আপ হবার কথা আবার ১৫,০০০ ঘণ্টা উড়ালের পর৷ মানুষের হাতে সারানো কমবাশন চেম্বারটি ততদিন নির্বিঘ্নে কাজ করবে বলে ধরে নেওয়া যায়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ