1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লুসিড ড্রিম নিয়ে জার্মানিতে গবেষণা

৩ এপ্রিল ২০২৫

লুসিড ড্রিম হলো এমন এক স্বপ্ন যেখানে আপনি বুঝতে পারেন যে, আপনি স্বপ্ন দেখছেন৷ এমন স্বপ্নের কথা প্রথম জানা যায় প্রাচীনকালে৷ কিন্তু ১৯৮০-র দশকে একে স্বীকৃতি দিয়ে প্রথমবারের মতো বৈজ্ঞানিক গবেষণা শুরু হয়েছিল, যা এখনো চলছে৷

প্রতীকী ছবিতে ঘুমে মগ্ন এক নারী
ঘুমের সময় সচেতন থাকা গেলে তা দুঃস্বপ্ন, মানসিক চাপ ও মনোবিকারের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে৷ছবি: RUSLAN GUZOV/Colourbox

এমন এক গবেষণা চলছে জার্মানির অসনাব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ কগনিটিভ সায়েন্টিস্ট কাটারিনা ল্যুট গবেষণাটি করছেন৷ আকর্ষণীয় এই বিষয়ের পেছনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটি জানতে আগ্রহী তিনি৷ কাটারিনা জানতে চান: স্বচ্ছ স্বপ্ন দেখা শিখতে কত সময় লাগে? আর যখন আমরা জানি যে আমরা স্বপ্ন দেখছি, তখন মস্তিষ্কে কী ঘটে?

এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে ২০ জনকে ঘুম গবেষণাগারে পাঠিয়েছিলেন কাটারিনা৷

সকালে তাদের ঘুম থেকে উঠিয়ে এক ঘণ্টার জন্য ছোট ছোট বাক্যে কিছু কথা শোনানো হয়৷ এটি তাদের স্বচ্ছ স্বপ্ন দেখায় দক্ষ করে তুলতে সহায়তা করে৷

এরপর তাদের চোখ বাম ও ডানে নাড়াতে বলা হয়৷ এভাবে তারা কখন লুসিড ড্রিমে আছেন তা বোঝা যায়৷

এই পরীক্ষার ফল সম্পর্কে কাটারিনা ল্যুট বলেন, ‘‘আমরা কম্পিউটারে দেখেছি যে, ব্যক্তিটি আগে সম্মত হওয়া চোখের সংকেত বাম, ডান, বাম, ডান ব্যবহার করেছে কিনা৷ এবং এটা ২০ জনের মধ্যে ১০ জনের ক্ষেত্রে কাজ করেছে৷

স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণের উপায়

04:02

This browser does not support the video element.

লুসিড ড্রিম বিষয়ে আগ্রহী হওয়া একমাত্র ব্যক্তি নন কাটারিনা ল্যুট৷

বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্বপ্ন ও ঘুমের দল আছে, যারা নিয়মিতভাবে লুসিড ড্রিম নিয়ে আলোচনা করে৷

আলিনা ওনেজর্গে যখন ছোট ছিলেন তখন থেকেই মাঝেমধ্যে স্বচ্ছ স্বপ্ন দেখতেন৷ এবং তিনি সচেতনভাবে তার স্বপ্নে কী ঘটছে তা প্রভাবিত করতে পারেন৷ আলিনা বলেন, ‘‘আমি এমনসব উত্তেজনাপূর্ণ কাজ করতে পারি যা বাস্তব জীবনে সম্ভব নয়৷ যেমন মাঝে মাঝে মহাকাশে উড়ে যাই৷ মঙ্গল গ্রহেও গিয়েছিলাম, যা আমার কাছে খুব রোমাঞ্চকর মনে হয়েছিল- যদিও সেখানে খুব একাকীত্ব ছিল৷ এছাড়া দিনের বেলায় আমার যে অভিজ্ঞতা হয় তা প্রক্রিয়াজাত করতে আমি স্বচ্ছ স্বপ্ন ব্যবহার করি, যেমন সংঘাতের পরিস্থিতি সমাধানের জন্য৷ আপনি স্বপ্নে খুব ভালোভাবে বিভিন্ন দক্ষতাও অনুশীলন করতে পারেন৷''

লুসিড ড্রিম বিষয়ক গবেষণা ঠিক এই বিষয়ের উপর জোর দেয়: কারণ ঘুমের সময় সচেতন থাকা গেলে তা দুঃস্বপ্ন, মানসিক চাপ ও মনোবিকারের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে৷ লুসিড ড্রিম শেখার প্রথম ধাপ হচ্ছে, স্বপ্ন ভালোভাবে মনে রাখতে পারা৷

আর ‘‘দ্বিতীয় ধাপ হলো বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করা৷ দিনে কয়েকবার ভাবা: এটা কি স্বপ্ন, নাকি বাস্তব জীবন? যেমন হাতের দিকে তাকিয়ে ভাবা, ওকে আমার ১০টি আঙুল আছে যেগুলি দেখতে একেবারে স্বাভাবিক৷ তার মানে আমার বিশ্বাস, আমি জেগে আছি৷ কারণ, স্বপ্নে মাঝেমধ্যে অন্য কিছু দেখা যায়, হয়তো ১১তম আঙুল কিংবা আঙুলগুলো হঠাৎ সবুজ হয়ে যায়,'' বলেন কাটারিনা ল্যুট৷

জেগে থাকা অবস্থায় লাফ দেওয়া আরেকটি ‘বাস্তবতা পরীক্ষা'- যা আপনাকে রাতে আপনার অবস্থা বুঝতে সহায়ক হতে পারে৷ কারণ, স্বপ্ন সাধারণত মাধ্যাকর্ষণের নিয়ম মেনে চলে না -- এবং যখন তা করে না, তখন স্বপ্নদ্রষ্টা বুঝতে পারেন: এটি অবশ্যই একটি স্বপ্ন!

সারা মাকুস/জেডএইচ

স্বপ্নদোষ কেন হয়? এটা কি কেবল পুরুষের হয়?

07:02

This browser does not support the video element.

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ