ক্যানসারের চিকিৎসার উন্নতির ফলে আজ অনেক প্রাণ বেঁচে যাচ্ছে৷ কিন্তু জটিল ও ব্যয়বহুল বিকিরণ অনেক ক্ষেত্রে সাফল্য নিশ্চিত করতে পারে না৷ জার্মান বিজ্ঞানীরা নিখুঁত ও সস্তা এক চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছেন৷
বিজ্ঞাপন
ক্যানসারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে লেজার প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ বিজ্ঞানীরা একটি লেজার রশ্মিকে এত ঘন ও নিখুঁতভাবে নিক্ষেপ করতে সফল হয়েছেন যে, সৌরশক্তি একটি পেনসিলের শীষের মাপে কনসেনট্রেট করা যাচ্ছে৷ এই রশ্মি ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দিতে পারে৷ ড্রেসডেন শহরের বিকিরণ গবেষণা কেন্দ্রের প্রো. মিশায়েল বাউমান বলেন, ‘‘নিরাময়ের সম্ভাবনার অভাবে সব রোগীকে চিকিৎসা দিতে না পেরে আমি অসন্তুষ্ট৷ এই অসন্তোষ থেকেই গবেষণা চালিয়ে যাবার তাগিদ আসে৷''
এরিকা ভল্ফ ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছেন৷ প্রচলিত এক্স-রে পদ্ধতি দিয়েই তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে৷ মিশায়েল বাউমান ঠিক এমন উদাহরণ তুলে ধরে বোঝাতে চাইছেন, তাঁর নিরাময়ের সম্ভাবনা কতটা অনিশ্চিত৷ তিনি বলেন, ‘‘ফুসফুস আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে, তবে নিরাময় ঠিকমতো হবে কিনা জানা নেই৷ আমাকে ক্রমাগত নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে৷''
দুধ কি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় ?
কেউ কেউ বলেন দুধ শুধু শিশুদের খাবার, আবার কারো মতে, সবারই প্রতিদিন দুধ পান করা উচিত৷ অন্যদিকে বলা হয় দুধ শক্তি দেয় এবং ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে, আবার নাকি ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ায়! চলুন জানা যাক বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন....
ছবি: picture-alliance/OKAPIA
জার্মানদের দুধপ্রীতি
জার্মানরা বছরে গড়ে মাথাপিছু ৯০ কেজি দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খেয়ে থাকেন৷ দুধের পাশাপাশি দুধের তৈরি বিভিন্ন ধরণের পনির খান তাঁরা৷
ছবি: AP
ইউরোপের অন্য দেশের মানুষ কতটা দুধ পান করেন?
২০১৩ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, আয়ারল্যান্ডে গড়ে বছরে মাথাপিছু ১৪২ লিটার দুধ পান করা হয়৷ আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরো ২৮টি দেশে গড়ে মাথাপিছু ৬৫ লিটার দুধ পান করা হয়৷
ছবি: MEHR
দুধ কেন পান করবেন?
গরুর দুধ শরীরে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে থাকে বলেই সকলে জানেন, যা দাঁত এবং হাড় গঠনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ জার্মানির খাদ্য বিষয়ক সংস্থা বলছে, প্রতিদিন একজন মানুষের এক গ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা উচিত, যা এক পোয়া দুধ বা দুই স্লাইস পনিরের মধ্যেই পাওয়া যায়৷
ছবি: Colourbox/E. Wodicka
দুধ পান করা কি অপরিহার্য ?
না, কারণ প্রতিদিনের খাবারে যদি ব্রোকোলি, বাদাম, ডাল, সিম, বরবটি, মটরশুটির মতো উদ্ভিদ উপাদান থাকে, তাহলে আর আলাদাভাবে দুধ পান করার প্রয়োজন নেই৷ তাছাড়া মিনারেল ওয়াটারেও ক্যালসিয়াম রয়েছে৷ মিউনিখের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ হান্স হাউনার এসব কথা জানান৷
ছবি: picture alliance/W. Moucha
দুধ পানে ঝুঁকি আছে?
দোকান থেকে যে দুধ সাধারণত কিনে থাকি তা আগে থেকেই পাস্তুরিত৷ এ কারণে ঐ দুধের থাকা ফ্যাট শরীরকে মোটা করা ছাড়াও অনেক রকমের ক্ষতি করে৷
ছবি: DW/L.Pongrac
তাছাড়াও ...
দুধ দেয়ার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গরুকে নানা রকমের হরমোন চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে গরু প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ গরু অসুস্থ হলে তাকে সুস্থ করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয় আর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে দুধের মধ্যে৷ সেই দুধ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক৷
ছবি: picture-alliance/Maximilian Schönherr
দুধে কি ক্যানসার হয়?
যাদের দুধে অ্যালার্জি, তারা দুধ পান করলে, ক্যানসার, প্রস্টেট ক্যানসার, জরায়ুর ক্যানসার এবং টনসিলের মতো নানা অসুখের ঝুঁকি বাড়ে৷ তবে ‘দুধ ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়’ - এমন ইঙ্গিত বিভিন্ন গবেষণায় পাওয়া গেলেও এখনো কিন্তু চুড়ান্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ জার্মানির দুধ গবেষণা ইন্সটিটিউটের ইয়ুর্গেন শ্রের্ৎসেনমেয়ার এমনটিই জানালেন৷
ছবি: picture-alliance/OKAPIA
7 ছবি1 | 7
সমস্যা হলো, টিউমার মোকাবিলা করতে গিয়ে সুস্থ টিস্যুর ক্ষতি হয়৷ তাছাড়া সব ক্যানসার কোষ ধ্বংস না হবার বিপদও আছে৷ চিকিৎসার তুলনায় রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি অনেক এগিয়ে আছে৷ অত্যাধুনিক ইমেজিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টিউমারের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা হয়৷ এমনকি কয়েক মিলিমিটার মাপের মেটাস্টাটিস পর্যন্ত অগোচর থাকে না৷ প্রো. নাসরেদ্দিন আবোলমালি বলেন, ‘‘আমরা রোগীর শরীরের মধ্য দিয়ে উপর পর্যন্ত স্ক্যান করে ফুসফুসের মাঝে বড় লেসিয়ন দেখতে পাচ্ছি, যা শর্করা গ্রহণ করে৷ আমাদের কাছে এটা ক্ষতিকারক টিউমারের অস্তিত্বের স্পষ্ট ইঙ্গিত৷ সিটিস্ক্যানের সঙ্গে কম্বাইন করে খতিয়ে দেখলে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারি৷''
টিউমারের মাপজোক যতটা নিখুঁতভাবে করা যাচ্ছে, গবেষকরা ঠিক ততটাই নিখুঁতভাবে ক্যানসার মোকাবিলা করতে চান৷ যেমন প্রোটন দিয়ে টিউমারের মোকাবিলা করতে চান তাঁরা৷ আরও ঘন ও নিখুঁতভাবে প্রোটন বিকিরণ করলে সুস্থ টিস্যুর ক্ষতি হয় না৷ প্রো. বাউমান বলেন, ‘‘প্রথমে প্রোটনের খুব কম শক্তি থাকে, ফলে সেই অবস্থায় ক্ষতির মাত্রাও কম হয়৷ শরীরে প্রবেশ করে সামান্য ক্ষতি করতে পারে৷ সুস্থ টিস্যুর সামান্য ক্ষতি করে আচমকা তার শক্তি দ্রুত বেড়ে যায় এবং তারপর বিশাল ড্রপ দেখা যায়৷''
স্তন ক্যানসার থেকে সাবধান!
ক্যানসারের কথা শুনলে কে ভয় না পায়? আর তা যদি তাঁর নারীত্বের প্রতীক, সুন্দর, সডৌল স্তনটিতে হয়, তাহলে ভয়ের মাত্রা আরো বেড়ে যায়৷ দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি যে অন্যান্য ক্যানসারের চেয়ে স্তন ক্যানসারেই মারা যায় সবচেয়ে বেশি নারী৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জার্মান ক্যানসার সোসাইটির তথ্য
জার্মান ক্যানসার সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, জার্মানিতে প্রতি বছর প্রায় ৭০ হাজার নারীর স্তন ক্যানসার নির্ণয় করা হয়, যার মধ্যে মারা যায় ১৭ হাজার৷ নারীদের অন্যান্য ক্যানসারের মধ্যে স্তন ক্যানসারেই হয় সবচেয়ে বেশি নারী৷ এতে মানুষ মারা গেলেও, এ ক্যানসার খুব মারাত্বক নয়৷ কারণ সময় মতো ধরা পড়লে এ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব৷
ছবি: Fotolia/S. Bähren
স্তন ক্যানসারের লক্ষণ
স্তনের চামড়ায় ভাজ, লাল হওয়া বা কুচকে যাওয়া, স্তনবৃন্ত ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া কিংবা বৃন্ত থেকে রস ক্ষরণ হওয়া – স্তনে এ ধরনের কোনো পরিবর্তন দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার৷ তবে সব টিউমার বা পরিবর্তনই যে ক্যানসারে রূপ নেয়, তা কিন্তু নয়!
ছবি: Getty Images/J. Sullivan
মেমোগ্রাফি
‘মেমোগ্রাফি’ এমন একটি পরীক্ষা যাতে স্তনে একেবারে ক্ষুদ্র গিট, চাকা বা মাংসপিণ্ডের উপস্থিতি ধরা পড়ে৷ তাই সময়মতো মেমোগ্রাফি করানো প্রয়োজন৷ বিশেষকরে ৫০-এর ঊর্ধে যাঁদের বয়স, তাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্যই এটা নিয়মিত করাতে হবে৷ তাছাড়া প্রত্যেক নারীরই বছরে অন্তত একবার স্ত্রী বিশেষজ্ঞের কাছে স্তন ও জরায়ু পরীক্ষা করানো উচিত৷
ছবি: Colourbox
নিজেই পরীক্ষা করুন
৩০ বছর বয়সের পর থেকে প্রত্যেক নারীর নিজেরই নিজের স্তন পরীক্ষা করা উচিত৷ এই পরীক্ষা করতে হবে ‘পিরিয়ড’ বা মাসিক হওয়ার ঠিক পরে, অর্থাৎ মাসে অন্তত একবার৷ স্তনের ওপর থেকে নীচে, নীচ থেকে ওপরে এবং এপাশ থেকে ওপাশ – নানাভাবে স্তন দুটি টিপে পরীক্ষা করতে হবে৷ বোঝার চেষ্টা করতে হবে স্তনের ভেতর শক্ত কিছু আছে কিনা৷ তবে স্তনে গিট, চাকা বা টিউমার আছে কিনা তা বোঝার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়াই স্রেয়৷
ছবি: Fotolia/Forgiss
স্তন ক্যানসার রোধে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
হলিউডের ‘আইকনিক’ অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মা মারা যান স্তন ক্যানসারে৷ সেই জিন রয়েছে অ্যাঞ্জেলিনার শরীরে৷ আর সেজন্যই অ্যাঞ্জেলিনা স্তন ক্যানসারকে প্রতিরোধ করতে ‘মাস্টেকটমি’ বা স্তনব্যবচ্ছেদ করিয়েছেন৷ শুধু তাই নয়, অন্য মহিলাদের সচেতন করতে জানিয়েছেন তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার কথাও৷
ছবি: Reuters/D. Moloshok
ক্যানসারের জিন
স্তন ক্যানসার হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই৷ তবে কারুর পরিবারে মা, খালা, ফুপু বা দাদি-নানির স্তন ক্যানসার থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ এমনটা হলে সেক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতার প্রয়োজন৷ অর্থাৎ খামখেয়ালি না করে নিয়মিত ডাক্তারি চেকাআপ করানো আর পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার৷ছবিতে মায়ের সাথে অ্যাঞ্জেলিনা৷
ছবি: Reuters
ক্যানসার নির্ণয়ে মেমোগ্রাফিই সবচেয়ে ভালো পন্থা
‘‘গবেষকরা সবসময়ই ব্রেস্ট ক্যানসারের নতুন নতুন জিন খুঁজে পাচ্ছেন৷ তাই এর চিকিৎসাও নির্ভর করে স্তনের টিউমারের ধরণের ওপর৷ মেমোগ্রাফি ব্রেস্ট ক্যানসার নির্ণয় করার জন্য সবচেয়ে ভালো পন্থা৷ তবে স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা শুরু করার আগে অবশ্যই দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া প্রয়োজন৷’’ বলেন জার্মানির অন্যতম ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. কার্ল হাইৎস ম্যুলার৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়...
প্রকৃতি নারীদের স্তনযুগল উপহার দিয়েছে, যাতে তাঁরা শিশুদের দুধ পান করাতে পারেন৷ তাই অনেকের কাছেই স্তন নারীত্বের প্রতীক৷ তবে এই নারীত্ব ধরে রাখতে প্রয়োজন সচেতনতার৷ জার্মান ক্যানসার সমিতির করা এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, প্রতিদিন আধঘণ্টা ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার, ধূমপান না করা, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ইত্যাদি করলে শতকরা ২০ থেকে ২৫ ভাগ ক্যানসারের ঝুঁকি কমে৷
ছবি: lunamarina/Fotolia.com
পুরুষদেরও কিন্তু স্তন ক্যানসার হয়!
পুরুষরা মনে করেন যে, স্তন ক্যানসার কেবল নারীদেরই হয়৷ তাই তারা এ ব্যাপারে মোটেই সচেতন নন৷ পুরুষদেরও স্তন ক্যানসার হয়, যদিও তা তুলনামূলকভাবে নারীদের চেয়ে অনেক কম৷ তাই পুরুষদেরও নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করানো উচিত৷
ছবি: Benny Weber/Fotolia
9 ছবি1 | 9
কিন্তু প্রোটন বিকিরণ অত্যন্ত জটিল ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া৷ প্রো. বাউমানের টিমের স্বপ্ন হলো সস্তায় সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করা৷ লেজার এর সমাধান হতে পারে৷ অতি সম্প্রতি গবেষকরা মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে প্রমাণ করে দিয়েছেন, যে লেজার রশ্মির মাধ্যমেও কোষ ধ্বংস করা সম্ভব৷ প্রো. বাউমান বলেন, ‘‘সেটা ছিল সত্যি এক অসাধারণ মুহূর্ত, কারণ আমরাই গোটা বিশ্বের প্রথম টিম, যারা বিভিন্ন পরীক্ষা একত্র করেছি৷ ডোজের মাত্রাও আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি৷ এই সাফল্যকে মাইলফলক বলা চলে৷''
এ এক বিশাল অগ্রগতি৷ কারণ প্রোটন দিয়ে টিউমার ধ্বংস করতে হাসপাতালগুলির আর বিশাল ও ব্যয়বহুল পার্টিকেল অ্যাকসিলারেটর প্রয়োজন হবে না৷ লেজার রশ্মি দিয়েই সেই কাজ করা যাবে৷ চরম ব্যস্ততার মধ্যে বিজ্ঞানীরা আগামী দিনের ক্যানসার চিকিৎসা উদ্ভাবন করছেন৷
প্রাথমিক পরীক্ষায় যা সফল হয়েছে, তার আরও উন্নতির প্রয়োজন৷ ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ঘন ও আলট্রা শর্ট পাল্সড লেজার আরও নিখুঁত করে তোলার চেষ্টা করছেন৷ উচ্চ মানের অপটিকাল যন্ত্রের মাধ্যমে সেই লেজার সৃষ্টি হবে৷
এই গবেষণা ভবিষ্যতধর্মী মনে হলেও পদার্থবিদ ও চিকিৎসকদের এই টিম নিখুঁত ও সুলভ চিকিৎসা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর৷