1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লেবাননে নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন মুস্তাফা

৩১ আগস্ট ২০২০

সোমবার লেবাননে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। সরকারের দায়িত্ব নিতে পারেন মুস্তাফা আবিদ।

ছবি: picture-alliance/Photoshot/E. Fitt

সব ঠিক থাকলে লেবাননের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন মুস্তাফা আবিদ। রাজনৈতিক মহলে তত পরিচিত না হলেও, কূটনৈতিক মহলে আবিদ জনপ্রিয়। দীর্ঘদিন ধরে দেশের কূটনৈতিক পদ সামলেছেন তিনি। সোমবারই তাঁর মনোনয়নের কর্মসূচি শুরু হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

রোববার লেবাননের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের একটি দল আলোচনা করে মুস্তাফা আবিদকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেন। তাঁদের বক্তব্য, আবিদ দ্রুত ক্ষমতা গ্রহণ করে, নতুন মন্ত্রিসভা তৈরি করে বৈরুতের সংস্কার কাজে হাত দিন। কিছু দিন আগে বৈরুত বন্দরের একটি গুদামে বিস্ফোরণের পর কার্যত গোটা শহরটি ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। ১৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তারই মধ্যে সরকার বিরোধী বিক্ষভে উত্তাল হয়ে ওঠে বৈরুত সহ গোটা লেবানন। হাসান দিয়াবের সরকারের উপর চাপ এতটাই বৃদ্ধি পায় যে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তাঁর সঙ্গে পদত্যাগ করেন মন্ত্রিসভার বহু সদস্য। বৈরুতের রাজনৈতিক অলিন্দে শূন্যতা সৃষ্টি হয়। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনও মুখই এত দিন পর্যন্ত সামনে আসেনি।

বিশেষষজ্ঞদের বক্তব্য, মুস্তাফার প্রধানমন্ত্রী হওয়া এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। লেবাননের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের যে গোষ্ঠী মুস্তাফাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন করেছে, লেবাননের রাজনীতিতে তাদের গুরুত্ব সর্বাধিক। সুন্নি মুসলিম অধ্যুষিত এই গোষ্ঠীর সব চেয়ে বেশি সাংসদ আছে দেশে। ওই সাংসদরাই নতুন প্রধানমন্ত্রীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। এ ছাড়াও হেজবোল্লাহও নতুন প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন জানাবে বলে সূত্র জানিয়েছে। অন্য দিকে, জার্মানির দূতাবাস নতুন প্রধানমন্ত্রীর মুখ নিয়ে তাদের কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে। ফলে সোমবার নতুন প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়ন প্রক্রিয়া খুব বেশি সমস্যার হবে বলে মনে করা হচ্ছে না। যদিও অতীতে এই প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট সময় লেগেছে।

কোনও কোনও বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, লেবাননের নতুন রাজনৈতিক অঙ্কে ফ্রান্সের যথেষ্ট প্রভাব আছে। বস্তুত, বৈরুতে বিস্ফোরণের পরে সবার প্রথম সেখানে পৌঁছেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ। গত সপ্তাহেও তিনি বৈরুতে দ্বিতীয়বার সফর করেন। প্রথমবারেই মাক্রোঁ বলেছিলেন, বৈরুতে নতুন সরকার আসা দরকার। নতুন সরকারই পারে দেশের সংস্কার করতে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় সফরের পরেই প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে মুস্তাফা ভেসে ওঠেন রাজনৈতিক আবহে।

লেবাননের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। করোনার আগে থেকেই দেশের জনগণ অর্থনৈতিক সংকটের কথা মাথায় রেখে লাগাতার আন্দোলন চালিয়েছে। করোনা-কালেও দেশে একই কারণে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। তারই মধ্যে বৈরুত বিস্ফোরণ অবস্থা আরও শোচনীয় করে তুলেছে। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলেও নানা অশান্তি রয়েছে। সীমান্তেও ইসরায়েলের সঙ্গে লেবাননের সংকট রয়েছে। সব মিলিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী পক্ষে কাজ করা খুব সহজ হবে না। তবে কোনও কোনও বিশেষজ্ঞের ধারণা, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইউরোপের বৃহৎ শক্তি, বিশেষত ফ্রান্সের অঙ্গুলিহেলনেই কাজ করতে হবে মুস্তাফাকে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ