1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘লেবার-লাইন বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের সহায়তা করবে'

দেবারতি গুহ৬ নভেম্বর ২০১৫

জার্মানির উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হান্স ইওয়াখিম ফুখটেল ডয়চে ভেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ‘টেক্সটাইল অ্যালায়েন্স' সম্পর্কে বিস্তারিত জানান৷

Dienstälteste Bundestagsabgeordnete Hans-Joachim Fuchtel 2013
ছবি: ARIS MESSINIS/AFP/Getty Images

ডিডাব্লিউ: পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে জার্মানি ও বাংলাদেশের মধ্যে জোট গড়ার লক্ষ্য কী ছিল?

হান্স ইওয়াখিম ফুখটেল: বেশ কিছু সমস্যা আছে, যা আমাদের সমাধান করতে হবে৷ এই ‘নো-হাউ' সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা সেটাই করতে চাই৷ বিপননের ধাপগুলির কাঠামো সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে কাজ শুরু করতে হবে, এক্ষেত্রে দুর্বলতা দূর করতে হবে৷ শ্রমিকদের কীভাবে পুরো কাজের মধ্যে আরও শামিল করা যায় – এমন আরও বিষয় শনাক্ত করা গেছে৷ এবার একে একে সে সব কার্যকর করার পালা৷

শুনেছি ‘লোবার লাইন' নামে টেলিফোনে সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে৷ সেটা কী এবং কীভাবে কাজ করে?

জার্মানিতে কাজের পরিবেশের উপর নজরদারির জন্য কর্তৃপক্ষ রয়েছে৷ সমস্যা দেখা দিলে তারা সক্রিয় হয়ে ওঠে৷ বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা খবর পায়৷ লেবার-লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ঠিক সেটাই এক্ষেত্রে কার্যকর করা হয়েছে৷ যে কেউ এখানে সমস্যা রিপোর্ট করতে পারে৷এছাড়া ইন্সপেক্টরদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব৷ অনেকটা জার্মানির মডেলের আদলে এটা করা হয়েছে৷ আমরা জানি, ঢাকার রাস্তায় কত যানজট হয়৷ তাই দ্রুত যাতায়াতের ব্যবস্থা চাই৷ গার্মেন্টস কোম্পানি, জার্মানির ক্রেতা কোম্পানি এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন – আইএলও মিলে ১৩০টি মোটর সাইকেল কিনে দিয়েছে৷ ফলে প্রায় ২৫০ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারবেন৷ টেলিফোন যোগাযোগের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়া পরীক্ষা করা হবে৷

এখনো পর্যন্ত সাতটি বড় গার্মেন্টস কোম্পানি এই বোঝাপড়ায় স্বাক্ষর করেছে৷ কিন্তু আমার মনে হয় ছোট কোম্পানিগুলিই আসল সমস্যা৷ কীভাবে তার সমাধান সম্ভব?

সত্যি এমন সমস্যা রয়েছে, রানা প্লাজায় যার ভয়াবহ প্রভাব দেখা গেছে৷ আমার এ বিষয়ে সরাসরি অভিজ্ঞতা হয়েছে৷ এক বিধবা নারী শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলেছিলাম৷ তাঁর পাঁচটি সন্তান রয়েছে৷ সন্তানদের দেখাশোনা, তাদের ভবিষ্যতের স্বার্থে সেই দম্পতি স্থির করেছিল, প্রতিদিন একজন কাজে যাবে৷ কারণ তিনি দেখেছিলেন, প্রতিদিন বাড়িটিতে কম্পন হচ্ছে৷ তিনি কাউকে সেটা বলার সুযোগ পাননি৷ এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে, নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে৷ আমার ধারণা, এর ফলে সবার উপকার হচ্ছে, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়ছে৷

এই সহযোগিতার জন্য ৫ কোটি ইউরো ধার্য করা হয়েছে৷ এতে কার উপকার হবে?

কীভাবে গোনা হচ্ছে, সেটা তার উপর নির্ভর করে৷ এই সংখ্যা নিয়ে পরে কথা বলবো৷ প্রথমত পুরো বিষয়টা সামগ্রিকভাবে দেখতে হবে৷ একটা অংশ বাংলাদেশে স্থির করতে হবে৷ অন্য অংশটি জার্মান দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যুক্ত হচ্ছে৷ জার্মানির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমাদের লক্ষ্য হলো ক্রেতাদের বাড়তি এক ইউরো দিতে রাজি করানো৷ এই এক ইউরো বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেকটা লাঘব করবে৷ তা দিয়ে সামাজিক অগ্রগতি হাসিল করা যাবে৷ অর্থাৎ সব মিলিয়ে বাংলাদেশের শ্রমিকদের উপকার হবে৷

জার্মানির যে সব কোম্পানি বাংলাদেশে উৎপাদন করছে, তাদের কী হবে? তারা কি বাড়তি মজুরি দিতে বা আরও উচ্চ মানের সামাজিক মানদণ্ড মেনে নিতে প্রস্তুত?

সেটাই তো এই ‘টেক্সটাইল জোট'-এর মূল উদ্দেশ্য৷ অগ্রগতির স্বার্থে কোন কোন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, সবাই মিলে তা খতিয়ে দেখতে হবে৷ আমরা ছোট আকারে তা শুরু করেছিলাম৷ গত কয়েক মাসে আমাদের মন্ত্রী ড. গেয়ার্ড ম্যুলার আরও অনেক কোম্পানিকে এই জোটে শামিল করতে সফল হয়েছেন৷ অনেক কোম্পানিই যোগ দিতে প্রস্তুত৷ তারা ফোন করে বলছে, পূর্বশর্ত পূরণ করতে আরও পদক্ষেপ নিয়ে তারপর তারা যোগ দেবে৷ অর্থাৎ বিশ্বে প্রথম বার এমন এক উদ্যোগ সার্থক হয়েছে৷ আমরা একই পৃথিবীতে বসবাস করি৷ এই বিশ্বে অর্থনীতিও কী ভাবে এক হতে পারে, তার পথ খুঁজতে হবে৷ এমন সামাজিক মানদণ্ড থাকলে চলবে না, যাকে ন্যায্য বা যথেষ্ট বলা যায় না – যা মানুষকে তার প্রয়োজন মেটাতে দেয় না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ