‘লেবার-লাইন বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের সহায়তা করবে'
দেবারতি গুহ৬ নভেম্বর ২০১৫
জার্মানির উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হান্স ইওয়াখিম ফুখটেল ডয়চে ভেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ‘টেক্সটাইল অ্যালায়েন্স' সম্পর্কে বিস্তারিত জানান৷
বিজ্ঞাপন
ডিডাব্লিউ: পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে জার্মানি ও বাংলাদেশের মধ্যে জোট গড়ার লক্ষ্য কী ছিল?
হান্স ইওয়াখিম ফুখটেল: বেশ কিছু সমস্যা আছে, যা আমাদের সমাধান করতে হবে৷ এই ‘নো-হাউ' সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা সেটাই করতে চাই৷ বিপননের ধাপগুলির কাঠামো সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে কাজ শুরু করতে হবে, এক্ষেত্রে দুর্বলতা দূর করতে হবে৷ শ্রমিকদের কীভাবে পুরো কাজের মধ্যে আরও শামিল করা যায় – এমন আরও বিষয় শনাক্ত করা গেছে৷ এবার একে একে সে সব কার্যকর করার পালা৷
শুনেছি ‘লোবার লাইন' নামে টেলিফোনে সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে৷ সেটা কী এবং কীভাবে কাজ করে?
জার্মানিতে কাজের পরিবেশের উপর নজরদারির জন্য কর্তৃপক্ষ রয়েছে৷ সমস্যা দেখা দিলে তারা সক্রিয় হয়ে ওঠে৷ বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা খবর পায়৷ লেবার-লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ঠিক সেটাই এক্ষেত্রে কার্যকর করা হয়েছে৷ যে কেউ এখানে সমস্যা রিপোর্ট করতে পারে৷এছাড়া ইন্সপেক্টরদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব৷ অনেকটা জার্মানির মডেলের আদলে এটা করা হয়েছে৷ আমরা জানি, ঢাকার রাস্তায় কত যানজট হয়৷ তাই দ্রুত যাতায়াতের ব্যবস্থা চাই৷ গার্মেন্টস কোম্পানি, জার্মানির ক্রেতা কোম্পানি এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন – আইএলও মিলে ১৩০টি মোটর সাইকেল কিনে দিয়েছে৷ ফলে প্রায় ২৫০ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারবেন৷ টেলিফোন যোগাযোগের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়া পরীক্ষা করা হবে৷
পোশাক শিল্পে শ্রমশোষণ: ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশ
দু মুঠো অন্নের সংস্থান করতে রানা প্লাজায় গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছিলেন এগোরো শ-রও বেশি মানুষ৷ যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের অনেকেরই বাকি জীবন কাটবে দুর্বিষহ কষ্টে৷ পোশাক শ্রমিকদের জীবনের এই নির্মমতার ইতিহাস কিন্তু অনেক দীর্ঘ৷
ছবি: DW/M. Mohseni
বৈশ্বিক শিল্প
প্রতিটি পোশাকে মিশে থাকে শ্রমিকের শ্রম-রক্ত-ঘাম৷ ১৯৭০-এর দশক থেকে ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো এশিয়া আর ল্যাটিন অ্যামেরিকার কিছু দেশ থেকে পোশাক কিনতে শুরু করে৷ খুব কম মজুরিতে শ্রমিক পাওয়া যায় বলে দাম পড়ে কম, লাভ হয় বেশি৷ এমন সুযোগ ছাড়ে তারা! কম টাকায় পণ্য কিনবেন, ছবির মতো পোশক তৈরি হবে মিষ্টির দোকানে – তারপর আবার শ্রমিকের অধিকাররক্ষা, পরিবেশ দূষণ রোধ করবেন – তাও কি হয়!
ছবি: picture-alliance/dpa
সবার জন্য পোশাক
বড় আঙ্গিকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পোশাক তৈরি প্রথম শুরু হয়েছিল ব্রিটেনে, অষ্টাদশ শতাব্দীর সেই শিল্পবিপ্লবের সময়টাতে৷ এখন বিশ্বাস করতে অনেকের হয়ত কষ্ট হবে, তবে ইতিহাস বলছে, শিল্পবিপ্লবের ওই প্রহরে ব্রিটেনের লন্ডন আর ম্যানচেস্টারও শ্রমিকদের জন্য ছিল আজকের ঢাকার মতো৷ শতাধিক কারখানা ছিল দুটি শহরে৷ শিশুশ্রম, অনির্ধারিত কর্মঘণ্টার সুবিধাভোগ, অল্প মজুরি, কারখানার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ – সবই ছিল সেখানে৷
ছবি: gemeinfrei
সেই যুক্তরাষ্ট্র এখন কর্তৃত্বে
যুক্তরাষ্ট্রেও পোশাকশ্রমিকরা স্বর্গসুখে ছিলেন না সব সময়৷ সেখানেও এক সময় কারখানায় আগুন লাগলে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ভেতরে রেখেই সদর দরজায় তালা লাগাতো৷ ১৯১১ সালে তাই নিউ ইয়র্কের ট্রায়াঙ্গেল শার্টওয়েস্ট ফ্যাক্টরিতে পুড়ে মরেছিল ১৪৬ জন শ্রমিক৷ মৃতদের অধিকাংশই ছিলেন নারী৷ মজুরি, কর্মঘণ্টা, কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা – কোনো কিছুই এশিয়ার এখনকার কারখানাগুলোর চেয়ে ভালো ছিল না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পোশাক শিল্পে চীন বিপ্লব
পোশাক রপ্তানিকারী দেশগুলোর মধ্যে চলছে সবচেয়ে কম খরচে পোশাক তৈরির প্রতিযোগিতা৷ রপ্তানিকারী দেশগুলোর মধ্যে চীনের অবস্থা সবচেয়ে ভালো৷ রপ্তানি সবচেয়ে বেশি, শ্রমিকদের মজুরিও খুব ভালো৷ চীনে একজন পোশাক শ্রমিক এখন মাস শেষে ৩৭০ ইউরো, অর্থাৎ, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৭ হাজার টাকার মতো পেয়ে থাকেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শ্রমশোষণ কাকে বলে...
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর সুমাংগলি৷ তামিল শব্দ ‘সুমাংগলি’-র অর্থ, ‘যে নববধু সম্পদ বয়ে আনে’৷ এলাকায় পোশাক এবং সুতা তৈরির প্রশিক্ষণের নামে খাটানো হয় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মেয়েকে৷ দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করে তাঁরা হাতে পান ৬০ ইউরো সেন্ট, অর্থাৎ বাংলাদেশের মুদ্রায় ৬০ টাকা৷ সে হিসেবে মাস শেষে পান ১৮০০ টাকা৷ টাকাটা তাঁদের খুব দরকার৷ বিয়ের সময় বাবাকে তো যৌতুক দিতে হবে!
ছবি: picture-alliance/Godong
অধিকার আদায়ের করুণ সংগ্রাম
কম্বোডিয়াতেও অবস্থা খুব খারাপ৷ ৩ লক্ষের মতো পোশাক শ্রমিক আছে সে দেশে৷ কাজের পরিবেশ আর অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেমন? মাসিক বেতন মাত্র ৫০ ইউরো, অর্থাৎ বাংলাদেশের মুদ্রায় বড় জোর ৫ হাজার টাকা৷ মালিকের কাছে শ্রমিকদের মানুষের মর্যাদা প্রাপ্তি সৌভাগ্যের ব্যাপার৷ মজুরি বাড়ানোর দাবিতে মিছিলে নেমে শ্রমিকরা মালিকপক্ষের গুলিতে মরেছেন – এমন দৃষ্টান্তও আছে সেখানে৷
ছবি: Reuters
ট্র্যাজেডি
গত ২৪শে এপ্রিল বাংলাদেশের রানা প্লাজা ধসে পড়ায় মারা যান ১১শ-রও বেশি তৈরি পোশাককর্মী৷ দেয়ালে ফাটল ধরার পরও সেখানে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় এতগুলো জীবন শেষ হওয়াকে বিশ্বের কোনো দেশই ভালো চোখে দেখেনি৷ ঘটনার পর জার্মানির এইচঅ্যান্ডএম, কেআইকে এবং মেট্রোসহ বিশ্বের ৮০টির মতো পোশাক কোম্পানি শ্রমিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পোশাক রপ্তানিকারী কারখানাগুলোর সঙ্গে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷
ছবি: Reuters
আলোয় ঢাকা আঁধার
অভিজাত বিপণিবিতান কিংবা দোকানের পরিপাটি পরিবেশে ঝলমলে আলোয় ঝিকমিক করে থরে থরে সাজানো বাহারি সব পোশাক৷ দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যায়৷ ক্রেতাদের ক’জনের মনে পড়ে রানা প্লাজা কিংবা অতীতের ব্রিটেন বা যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্যাহতদের কথা?
ছবি: DW/M. Mohseni
8 ছবি1 | 8
এখনো পর্যন্ত সাতটি বড় গার্মেন্টস কোম্পানি এই বোঝাপড়ায় স্বাক্ষর করেছে৷ কিন্তু আমার মনে হয় ছোট কোম্পানিগুলিই আসল সমস্যা৷ কীভাবে তার সমাধান সম্ভব?
সত্যি এমন সমস্যা রয়েছে, রানা প্লাজায় যার ভয়াবহ প্রভাব দেখা গেছে৷ আমার এ বিষয়ে সরাসরি অভিজ্ঞতা হয়েছে৷ এক বিধবা নারী শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলেছিলাম৷ তাঁর পাঁচটি সন্তান রয়েছে৷ সন্তানদের দেখাশোনা, তাদের ভবিষ্যতের স্বার্থে সেই দম্পতি স্থির করেছিল, প্রতিদিন একজন কাজে যাবে৷ কারণ তিনি দেখেছিলেন, প্রতিদিন বাড়িটিতে কম্পন হচ্ছে৷ তিনি কাউকে সেটা বলার সুযোগ পাননি৷ এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে, নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে৷ আমার ধারণা, এর ফলে সবার উপকার হচ্ছে, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়ছে৷
এই সহযোগিতার জন্য ৫ কোটি ইউরো ধার্য করা হয়েছে৷ এতে কার উপকার হবে?
কীভাবে গোনা হচ্ছে, সেটা তার উপর নির্ভর করে৷ এই সংখ্যা নিয়ে পরে কথা বলবো৷ প্রথমত পুরো বিষয়টা সামগ্রিকভাবে দেখতে হবে৷ একটা অংশ বাংলাদেশে স্থির করতে হবে৷ অন্য অংশটি জার্মান দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যুক্ত হচ্ছে৷ জার্মানির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমাদের লক্ষ্য হলো ক্রেতাদের বাড়তি এক ইউরো দিতে রাজি করানো৷ এই এক ইউরো বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেকটা লাঘব করবে৷ তা দিয়ে সামাজিক অগ্রগতি হাসিল করা যাবে৷ অর্থাৎ সব মিলিয়ে বাংলাদেশের শ্রমিকদের উপকার হবে৷
রানা প্লাজার বিভীষিকার কথা জার্মানরা ভোলেনি...
বন শহরে ছোট্ট একটা জমায়েত৷ উদ্দেশ্যটা কিন্তু বড় এবং মহৎ৷ আয়োজকরা চান, বাংলাদেশের আর কোনো পোশাক কারখানায় যেন মৃত্যুর বিভীষিকা নেমে না আসে৷ সেই লক্ষ্যে সচেতনতা বাড়াতেই ‘স্বচ্ছ কাপড়’-এর দাবি নিয়ে হাজির হয়েছিল ফেমনেট৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায্য মূল্য দাও
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের দুরবস্থা সম্পর্কে ইউরোপকেও সজাগ করেছে৷ বাড়ছে সবার মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ৷ ‘ফেমনেট’ নামের সংগঠনটি সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে৷ জার্মান কোম্পানিগুলো যাতে বাংলাদেশ থেকে কাপড় কেনার সময় ‘ন্যয্য’ দাম দেয় এবং এর মাধ্যমে যাতে শ্রমিকদের দুর্ভোগ কমানোয় ভূমিকা রাখে – এই দাবি তুলছে তারা৷ বুধবার বন শহরে আয়োজিত সমাবেশেও তোলা হয়েছে এই দাবি৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
কারা আপনার পোশাক তেরি করছে তা কি জানেন?
দর্শকদের জন্য স্ট্যান্ডে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের কিছু নমুনা৷ পোশাকের সঙ্গে সাদা কাগজে বড় করে লেখা হয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের জার্মান ক্রেতা কোম্পানিগুলোর নাম৷ এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেই রানা প্লাজার ধসে নিহত, আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং পোশাকের ন্যায্য মূল্য দাবি করেছে ফেমনেট৷ কাপড়ের স্ট্যান্ডটির অদূরে একটি ব্যানার, তাতে লেখা, ‘কারা আপনার পোশাক তেরি করছে তা কি জানেন?’
ছবি: DW/A. Chakraborty
বন্ধুর হাত....
কফিনের কাপড় দিয়ে তৈরি ‘বডি ব্যাগ’৷ বুধবারের সমাবেশে মৃতদেহ বহনের কাজে লাগে এমন কিছু ব্যাগও ছিল৷ বাংলাদেশের শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি, স্বাস্থ্যসম্মত এবং নিরাপদ কাজের পরিবেশ পায় না৷ অনেক সময় কাজ করতে গিয়ে লাশ হতে হয় তাদের৷ ‘বডি ব্যাগ’-এ হাতের ছাপ দিয়ে রানা প্লাজা ট্র্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণ এবং পোশাক শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দাবি করা হলো৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
সহমর্মী...
স্থানীয় সাংবাদিকদের একজন দায়িত্ব পালন শেষে নিজের হাতদুটোও রংয়ে রাঙালেন৷ ‘বডি ব্যাগ’-এ হাতের ছাপ দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে যে! ‘ক্লিন ক্লথ’ অর্থাৎ স্বচ্ছ পোশাক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে ফেমনেট৷ তাদের সঙ্গে আরো রয়েছে খ্রিশচান ইনিশিয়েটিভ রোমেরো, ইনকোটা-নেটওয়ার্ক এবং স্যুডভিন্ড ফাউন্ডেশন নামের তিনটি সংগঠন৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
৫ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে
স্বেচ্ছাসেবকদের সংগঠন ফেমিনেটের এক কর্মী৷ তাঁর হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‘বেনেটন, পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাও৷’’ তৈরি পোশাক ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা ইতিমধ্যে সাফল্যের মুখ দেখেছে৷ ‘পার্টনারশিপ ফর সাস্টেনেবল টেক্সটাইল’ নামের একটি জোট তৈরি হয়েছে জার্মানিতে, যারা শ্রমিকদের স্বার্থকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
চলতে চলতে ছবি তোলা...
পোশাক কারখানার মালিকরা কম মজুরি দিয়ে যে পোশাক তৈরি করে, বিদেশি ক্রেতারা কম দামে যে কাপড় কেনে তাতে তো শ্রমিকের কষ্টের অদৃশ্য কালি লেগেই থাকে! সেই কালিমুক্ত কাপড়ের দাবি পূরণ করতে ফেমিনেট-এর এই ‘স্বচ্ছ কাপড়’ ক্যাম্পেন৷ তাদের সমাবেশের পাশ দিয়ে যাবার সময় ব্যস্ত পথচারীরা থমকে দাঁড়াচ্ছিলেন৷ কাজের তাড়া ছিল বলে যাঁরা বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তাঁদের অনেকেই যাবার আগে ছবি তুলে স্মৃতি রেখে দিতে ভুল করেননি৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
6 ছবি1 | 6
জার্মানির যে সব কোম্পানি বাংলাদেশে উৎপাদন করছে, তাদের কী হবে? তারা কি বাড়তি মজুরি দিতে বা আরও উচ্চ মানের সামাজিক মানদণ্ড মেনে নিতে প্রস্তুত?
সেটাই তো এই ‘টেক্সটাইল জোট'-এর মূল উদ্দেশ্য৷ অগ্রগতির স্বার্থে কোন কোন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, সবাই মিলে তা খতিয়ে দেখতে হবে৷ আমরা ছোট আকারে তা শুরু করেছিলাম৷ গত কয়েক মাসে আমাদের মন্ত্রী ড. গেয়ার্ড ম্যুলার আরও অনেক কোম্পানিকে এই জোটে শামিল করতে সফল হয়েছেন৷ অনেক কোম্পানিই যোগ দিতে প্রস্তুত৷ তারা ফোন করে বলছে, পূর্বশর্ত পূরণ করতে আরও পদক্ষেপ নিয়ে তারপর তারা যোগ দেবে৷ অর্থাৎ বিশ্বে প্রথম বার এমন এক উদ্যোগ সার্থক হয়েছে৷ আমরা একই পৃথিবীতে বসবাস করি৷ এই বিশ্বে অর্থনীতিও কী ভাবে এক হতে পারে, তার পথ খুঁজতে হবে৷ এমন সামাজিক মানদণ্ড থাকলে চলবে না, যাকে ন্যায্য বা যথেষ্ট বলা যায় না – যা মানুষকে তার প্রয়োজন মেটাতে দেয় না৷