লেহ-লাদাখ-কার্গিলে বিজেপি-র হার
৯ অক্টোবর ২০২৩![দ্রাস এলাকার ছবি।](https://static.dw.com/image/52415094_800.webp)
লেহ, লাদাখ ও কার্গিলের জন্য এই স্বশাসিত পার্বত্য পরিষদ। পাঁচ বছর পরপর এখানে ভোট হয়। এবার ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স(এনসি) ও রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস জোট করে লড়েছিল। এনসি জিতেছে ১২টি ও কংগ্রেস ১০টি আসনে। বিজেপি ও নির্দলরা পেয়েছে দুইটি করে আসন। ফলে ২৬ সদস্যের পার্বত্য পরিষদে বোর্ড গঠন করবে এনসি-কংগ্রেস জোট।
ভোটের আগে এনসি-র আবেদন ছিল, ৩৭০ ধারা বিলোপ-সহ বিডেপি-র নীতির প্রতিবাদে যেন মানুষ ভোট দেন। এমনিতে লাদাখে মুসলিমদের সংখ্যা ৪৬ শতাংশ, বৌদ্ধরা ৪০ শতাংশ ও হিন্দুরা ১২ শতাংশ। আবার লেহ-তে বৌদ্ধরা প্রায় ৪৪ শতাংশ, হিন্দুরা ৩৫ শতাংশ। আর কার্গিলের ৭৭ শতাংশ মুসলিম, ১৪ শতাংশ বৌদ্ধ, সাত শতাংশ হিন্দু ও প্রায় এক শতাংশ শিখ।
তিনটি এলাকাতেই বিজেপির পরাজয় হয়েছে। এই নির্বাচনে প্রায় ৭৮ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছিলেন।
ফলাফলের প্রতিক্রিয়া
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল বলেছেন, ''দশ বছর পর কংগ্রেস আবার এখানে ভালো ফল করলো। ইন্ডিয়া জোটের শরিক এনসি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারা সুইপ করেছে।''
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, ''গত মাসে লাদাখে রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রা করেছিলেন। তার প্রত্যক্ষ প্রভাব এই নির্বাচনে পড়েছে।''
এরপরই বিজেপি-র আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর প্রতিক্রিয়া, ''রাহুল গান্ধী নিজে যে দাবি করেননি, সেটা জয়রাম করছেন। বিজেপি গতবার তো মাত্র একটি আসন পেয়েছিল। এবার তারা দুইটি আসন পেয়েছে।ভোটও গতবারের তুলনায় বেশি পেয়েছে।''
সাবেক মন্ত্রী ও কংগ্রসের রাজ্যসভা সাংসদ পি চিদম্বরম বলেছেন, ''মানুষ বিজেপি-র কর্মসূচি ও ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।''
সিপিএম নেতা তারিগামিও জানিয়েছেন, ''এই জয় প্রমাণ করলো, ৩৭০ ও কাশ্মীর নিয়ে বিজেপি-র প্রচার মানুষ খারিজ করে দিয়েছে।''
ওমর আবদুল্লার দবি, ''এনসি ও কংগ্রেসের শক্তিশালী জোটের সামনে পড়ে বিজেপি-র পরাজয় হয়েছে। তাদের অগণতান্ত্রিক নীতিকে মানুষ। প্রত্যাখ্যান করেছে।''
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, নিউজ১৮)