1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘শক্তিসাম্য বজায় রাখতে হবে’

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সম্প্রতি পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে আস্ফালন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তার প্রেক্ষিতে রাশ টানার ভূমিকায় নামলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল৷

ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler

 পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আরো সচেতন হওয়া দরকার৷ শক্তিসাম্য বজায় না রাখলে, ভবিষ্যৎ মেরুকরণ ভয়ংকর হতে পারে৷ সতর্ক করলেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশিষ্ট কূটনীতিক সিগমার গাব্রিয়েল৷ তাঁর বক্তব্য আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অ্যামেরিকা সামরিক শক্তি বৃদ্ধির দিকে নজর দেবে৷ পরমাণু শক্তি বৃদ্ধির দিকেও নজর দেবে পেন্টাগন৷

বস্তুত, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েকমাস ধরেই বাকযুদ্ধে নেমেছে অ্যামেরিকা৷ একদিকে উত্তর কোরিয়া সামরিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিচ্ছে৷ অন্যদিকে তার যোগ্য জবাব দিচ্ছে অ্যামেরিকা৷ এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের বক্তব্য গোটা বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছে৷ স্বাভাবিকভাবেই চীন, রাশিয়া এবং ইরানের মতো ‘অ্যামেরিকাবিরোধী' রাষ্ট্রগুলি ট্রাম্পের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে৷ তবে জার্মানির তরফ থেকে এই প্রথম প্রকাশ্য সমালোচনা করা হলো৷ গাব্রিয়েলের বক্তব্য নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে বিশ্ব রাজনীতিতে৷

State of the Union address: Donald Trump on nuclear weapons

00:39

This browser does not support the video element.

গাব্রিয়েল তাঁর বক্তব্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ করেছেন৷ তাঁর মতে, ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় ইউরোপকে ভুগতে হয়েছে৷ সোভিয়েত এবং অ্যামেরিকার মাঝে পড়ে ইউরোপ বার বার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে৷ পরবর্তীকালে শক্তিসাম্যের প্রয়োজনীয়তার কথাও বার বার বলার চেষ্টা করেছে ইউরোপ৷ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে রাশ টানতেও ইউরোপের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ৷ বিশ্বের অধিকাংশ দেশই মেনে নিয়েছে যে, পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে শক্তি প্রদর্শন বন্ধ হওয়া দরকার৷ ফলে, নতুন করে সে বিষয়ে কেউ আস্ফালন করলে তা দ্রুত বন্ধ করা দরকার৷ নইলে বিশ্বের সব দেশই নতুন করে পারমাণবিক আস্ফালনের খেলায় মেতে উঠবে এবং তা ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করবে৷

বস্তুত, অ্যামেরিকার সমালোচনা করতে গিয়ে রাশিয়াকেও এক হাত নিয়েছেন গাব্রিয়েল৷ বলেছেন, ক্রিমিয়া অভিযান এবং ইউক্রেন সমস্যা তৈরির কারিগর রাশিয়া৷ সেখানেও গোপনে পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চলছে৷ এই যুদ্ধবাদী মানসিকতা বন্ধ হওয়া দরকার৷ পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে সমস্ত দেশেরই সচেতন হওয়া দরকার৷

বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, গাব্রিয়েলে মন্তব্য অত্যন্ত সময়োপযোগী৷ জার্মানি এই মুহূর্তে ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র৷ ট্রাম্পের পরমাণু সংক্রান্ত ঘোষণার পর জার্মানিও নিজেদের শক্তিবৃদ্ধির কথা ঘোষণা করতে পারতো৷ কিন্তু তা না করে শক্তিসাম্যের প্রশ্ন তুলে জার্মানি কার্যত মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা অবলম্বন করছে৷ বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে যা অত্যন্ত জরুরি৷ এমনিতেই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে৷ একদিকে উত্তর কোরিয়া প্রতিদিন হুমকি দিচ্ছে৷ অন্যদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া৷ তুরস্ক নতুন করে সেখানে সৈন্য অভিযান করছে৷ পরিস্থিতি ভালো নয় এশিয়াতেও৷ ভারত-পাকিস্তান-চীন একে অপরের প্রতি বিদ্বেষ জারি রেখেছে৷ মাঝে মধ্যেই সেখানে যুদ্ধের আবহ রচিত হচ্ছে৷ এই পরিস্থিতি যে কোনো সময় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে মোড় নিতে পারে৷ ইউরোপই পারে সেই সংকট কাটাতে৷ গাব্রিয়েলের মতো আরো অনেক মানুষের প্রয়োজন এখন, যাঁরা শক্তিসাম্য বজায় রাখার জন্য লাগাতার প্রয়াস চালাবেন৷ বিশ্বের সমস্ত দেশকে এক ছাতার তলায় আনা এই মুহূর্তের সবচেয়ে জরুরি পদক্ষেপ৷

এসজি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ