অতীত অভিজ্ঞতা শঙ্কা জাগালেও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আত্মবিশ্বাস নিয়েই ডয়চে ভেলেকে বললেন, “আগামী ২৬ মার্চ ইনশাল্লাহ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে৷’’
বিজ্ঞাপন
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মনে করছেন, যাদের আপিল প্রক্রিয়াধীন, তাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে না।তালিকাটা এবার বিতর্কমুক্ত হবে৷
এর আগে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করে চরম বিতর্কের মুখে তা প্রত্যাহার করেছিল সরকার। গত ৫০ বছরে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা-সংযোজন বিয়োজন করে অন্তত ৭ বার প্রকাশ করা হয়েছে। এ সময়ে মুক্তিযোদ্ধার মানদণ্ড বদলেছে ১১ বার। এত করেও এতদিন বিতর্কমুক্ত করা যায়নি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন অবশ্যমুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করারই কোনো মানে দেখেন না৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, "আমি মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করার পক্ষেই না। তা-ও একবার হয়েছে, ভালো কথা। কিন্তু বারবার কেন সুযোগ-সুবিধার নামে এই তালিকা করতে হবে? এভাবে তালিকা করে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করা হয়েছে।”
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)-র চূড়ান্ত সুপারিশ করা তালিকা এবার প্রকাশ করা হবে বলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পদাধিকার বলে এই কমিটির চেয়ারম্যান। কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ২৬ মার্চ যে তালিকা প্রকাশ করা হবে, সেটা পূর্ণাঙ্গ না। জামুকার বর্তমান কমিটির মেয়াদ গত ৫ মার্চ শেষ হয়েছে। দীর্ঘদিন এই কমিটিতে কাজ করার সুযোগ হয়েছে এমন একজন সদস্য বলেন, ‘‘এবারের তালিকাও বিতর্কমুক্ত হবে বলে আমার মনে হয় না। তবে জামুকা শুদ্ধ একটি তালিকা করার প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছে। পুরোপুরি সফল হয়েছে, সেটা বলা হবে না।’’
একজনবীর মুক্তিযোদ্ধা বর্তমানে মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাচ্ছেন। দুই ঈদে ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা, পাঁচ হাজার টাকা বিজয় দিবসের ভাতা এবং দুই হাজার টাকা বাংলা নববর্ষ ভাতা পান। বছরে একজন সব মিলিয়ে ভাতা পান প্রায় ২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
সরকারি সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির কারণে তালিকায় নাম উঠাতে অনেকেই চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সংসদ সদস্যরাও আছেন। এমনকি অর্থমন্ত্রী আ ন হ মোস্তাফা কামালও আবেদন করেছিলেন, তবে তার আবেদন বাতিল করেছে জামুকা। আবার মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়স ১০ বছরের কম হওয়ার পরও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অথচ ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কারো বয়স ন্যূনতম সাড়ে ১২ বছর না হলে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচনা করা হবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে। আর অর্থমন্ত্রীর কাগজপত্র সঠিক মনে না হওয়ায় তার আবেদন বাতিল করা হয়েছে।’’ এর আগে যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিপেতে চেয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যেতো কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘‘চাইলে মামলা করা যায়। কিন্তু কতশত মামলা করবেন?’’
‘‘অর্থমন্ত্রীর কাগজপত্র ঠিক মনে না হওয়ায় আবেদন বাতিল হয়েছে’’
ভুয়া কাগজপত্র দাখিলের পরও কেন সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে না পারার কারণ জানতে চাইলে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, কারণ, তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদার। এভাবে চলতেই থাকবে। এখানে আমাদের কিছু করণীয় নেই।’’
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু দুর্লভ ছবি
সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-র সংগ্রহে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু দুর্লভ ছবি রয়েছে৷
ছবি: AP
উত্তাল মার্চ
১৯৭১ সালের ২৩ শে মার্চ ঢাকার রাস্তায় স্বাধীনতার দাবিতে হারপুন হাতে বিক্ষোভ মিছিল৷
ছবি: AP
যশোরে মুক্তিবাহিনী
২ এপ্রিল ১৯৭১৷ যশোরে মার্চ করছে মুক্তিবাহিনী৷
ছবি: AP
ত্রিপুরায় বাংলাদেশি শরণার্থী
১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল৷ প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছে৷ প্রাণ বাঁচাতে ভারতের ত্রিপুরার মোহনপুরের একটি স্কুল ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশিরা৷
ছবি: AP
ভারত সীমান্তের কাছে বাংলাদেশিদের অবস্থান
১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল৷ ভারত সীমান্তের ৩০ মাইলের মধ্যে কুষ্টিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাসহ অনেকেই অবস্থান করছিল৷
ছবি: AP
বেনাপোলের কাছে শরণার্থী শিবির
১৪ এপ্রিল ১৯৭১, যশোরের বেনাপোলের কাছে ভারত সীমান্তে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল পাঁচ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি৷
ছবি: AP
আহত মুক্তিযোদ্ধা
১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর বোমা হামলায় আহত একজন মুক্তিযোদ্ধাকে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যাচ্ছেন বেসামরিক মানুষ এবং মুক্তিযোদ্ধারা৷
ছবি: AP
মুক্তিবাহিনী
১৯৭১ সালের ৩ রা আগস্ট৷ ঢাকার কাছে মুক্তিবাহিনীর সদস্য হেমায়েতউদ্দীন একটি গোপন ক্যাম্প থেকে মেশিনগান তাক করে রেখেছেন৷
ছবি: AP
১৯ বছর বয়সি শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে প্লাটুন
১৩ নভেম্বর ১৯৭১৷ ফরিদপুরে রাইফেল হাতে তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ৷ ৭০ সদস্যের একটি প্লাটুন গড়া হয়েছিল সেখানে৷ সেই প্লাটুন দক্ষিণাঞ্চলে সামরিক ও চিকিৎসা দ্রব্য সরবরাহ করত৷ একদম বামে থাকা ১৯ বছর বয়সি তরুণটি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র৷ ৭০ জনের প্লাটুনের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি৷
ছবি: AP
মুক্তিবাহিনীর পারুলিয়া দখল
১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর৷ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পারুলিয়া গ্রাম দখল করে নেয় মুক্তিবাহিনী৷
ছবি: AP
আখাউড়ায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী
২৯ নভেম্বর, ১৯৭১৷ আখাউড়ায় অস্ত্র পাহাড়া দিচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা৷ তাদের দাবি ছিল, ভারতীয় সৈন্যদের কাছ থেকে এসব অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে৷
ছবি: AP
ভারতীয় সেনাদের হামলা
২ ডিসেম্বর, ১৯৭১৷ যশোরে পাকিস্তানি সেনাদের উপর গোলাবর্ষণ শুরু করে ভারত ৷ এক পাকিস্তানি সেনাসদস্য রাইফেল নিয়ে অন্যত্র যাচ্ছে৷ অন্য সেনারা তখন অস্ত্র তাক করে পরিখার মধ্যে রয়েছে৷
ছবি: AP
ভারতীয় সেনা
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর৷ ভারতীয় সীমান্তের কাছে ডোঙ্গারপাড়ায় খোলা মাঠে মেশিনগান তাক করে রেখেছেন এক ভারতীয় সেনা৷
ছবি: AP
ডিসেম্বরেও ঢাকায় পাকিস্তানি সার্জেন্ট
১২ ডিসেম্বর, ১৯৭১৷ রাজধানী ঢাকার অদূরে একটি এলাকায় একজন পাকিস্তানি সার্জেন্ট দুই সেনাকে নির্দেশনা দিচ্ছে৷
ছবি: AP
যুদ্ধবিরতি
রবিবার ১২ ডিসেম্বর. ১৯৭১৷ ঢাকা বিমানবন্দরে অপেক্ষায় আছেন বিদেশিরা৷ একটি ব্রিটিশ বিমান অবতরণ করেছে৷ ৬ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির সময় বিদেশিদের নিয়ে যাওয়ার জন্যই ঐ বিমানটি পাঠানো হয়েছিল৷
ছবি: AP
ভারতীয় ট্যাংক
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর ট্যাংক বগুড়ার দিকে রওনা হয়েছে৷
ছবি: AP
চার রাজাকারকে হত্যার পর মুক্তিবাহিনীর প্রতিক্রিয়া
হত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করা চার রাজাকারকে হত্যার পর আল্লাহ’র উদ্দেশে শুকরিয়া জানাচ্ছেন মুক্তিসেনারা৷
ছবি: AP
16 ছবি1 | 16
জামুকায় দীর্ঘদিন কাজ করা আরেক সদস্য বলেন, ‘‘আমি চেষ্টা করেছি যাদের কাগজপত্র সঠিক নেই তাদেরটা বাতিল করার। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কর্ণেল (অব.) ফারুক খানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘মিটিংয়ে অনেকেই তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু কাগজপত্র দেখে আমি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। ফলে বলেছি, এটা সেনাবাহিনীতে পাঠানো হোক। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছি। পরে তা সবাই মেনে নিয়েছেন।” আওয়ামী লীগের আরেক এমপি এ কে এম রহমতুল্লাহ'র বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘মন্ত্রী তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা তার কাগজপত্র দেখেও সন্তুষ্ট হতে পারিনি।”
প্রসঙ্গত, এবার ২৬ মার্চ প্রায় ১ লাখ ৭৭ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধারনামের সমন্বিত তালিকা প্রকাশিত করতে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়। যাদের ব্যাপারে জেলা-উপজেলায় তদন্ত কার্যক্রম চলছে, তারা এ তালিকা থেকে আপাতত বাদ থাকবেন। আগে ১ লাখ ৯৫ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে মাসে ভাতা পাঠানো হতো। ভাতা পাওয়া সব বীর মুক্তিযোদ্ধার পূর্ণাঙ্গ তথ্য সরকার ম্যানেজমেন্ট ইনফর্মেশন সিস্টেম (এমআইএস) নামে একটি সফটওয়্যারে যুক্ত করার পর এ সংখ্যা অনেক কমে এসেছে।
কলকাতা ও বঙ্গবন্ধু: কলেজ জীবন থেকে ৭১-এর ব্রিগেড
কলকাতার সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। দেশভাগের আগে উত্তাল সময়ে কলকাতায় পড়েছেন তিনি। ছাত্র-রাজনীতি করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ১০২ তম জন্মদিবসে ডয়চে ভেলে তুলে ধরলো কলকাতার সঙ্গে তার সেই সম্পর্কের ছবি।
ছবি: Payel Samanta/DW
মৌলানা আজাদ কলেজ
কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলার দুই কিলোমিটার দূরে মৌলানা আজাদ কলেজ। আগে নাম ছিল ইসলামিয়া কলেজ। রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের উপর এই কলেজেই আইএ-তে ভর্তি হন শেখ মুজিবুর রহমান।
ছবি: Payel Samanta/DW
থাকতেন বেকার হোস্টেলে
কলেজ চত্বরের কাছেই স্মিথ লেনে বেকার গভর্নমেন্ট হোস্টেল। ১৯১০ সালে তৈরি হয় এই ছাত্রাবাস। তরুণ মুজিবুর এই ছাত্রাবাসের আবাসিক ছিলেন। হেঁটে মিনিট চারেকের দূরত্বে কলেজ।
ছবি: Payel Samanta/DW
বঙ্গবন্ধু যে ঘরে থাকতেন
বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর ঘরে থাকতেন বঙ্গবন্ধু। ভারত ভাগের ঠিক আগে, ১৯৪৫-৪৬ শিক্ষাবর্ষে। সেটাও ভারত তথা কলকাতার ইতিহাসে খুবই ঘটনাবহুল বছর। বঙ্গবন্ধুর কলকাতা-যোগের স্মারক হিসেবে ১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই ঘরটি সংরক্ষিত করে।
ছবি: Payel Samanta/DW
সত্যিই ঐতিহাসিক
এই ঘর এক তরুণের স্বাধীন চিন্তাভাবনা নিয়ে বেড়ে ওঠার সাক্ষী। তাঁর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল, আলমারি সেই সাক্ষ্য বহন করে। দেওয়ালে ছাত্র মুজিবুরের ছবি ও প্রতিকৃতি।
ছবি: Payel Samanta/DW
বঙ্গবন্ধুকে মনে রেখে
তিনতলার এই নিভৃত কক্ষে বঙ্গবন্ধু যেন সদা উপস্থিত! বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন, কলকাতার উদ্যোগে এখানে বসেছে কিংবদন্তি নেতার আবক্ষ মূর্তি। ২০১১ সালে এটির উন্মোচন হয়। ২০১৯-এ বসে নতুন মূর্তি। ১৭ মার্চ হাই কমিশনের প্রতিনিধিরা ছাত্রাবাসে এসে শ্রদ্ধা জানান।
ছবি: Payel Samanta/DW
সেই ঐতিহাসিক ব্রিগেডের ছবি
স্মৃতি কক্ষের দেওয়ালে সময় থমকে আছে কয়েকটি সাদা-কালো ছবিতে। ব্রিগেডে ভাষণরত মুজিব, সঙ্গে ইন্দিরা গান্ধী। প্রকৃতই ঐতিহাসিক সময়ে এক ঐতিহাসিক জনসভা। এছাড়া আছে পিতার আলিঙ্গনে তরুণ শেখ হাসিনা।
ছবি: Payel Samanta/DW
ইতিহাসের আলোছায়ায়
বেকার হোস্টেলের এই করিডর শেখ মুজিবের স্মৃতিধন্য। কাঠের সিঁড়ি, খড়খড়ি দেওয়া দরজার কপাটে ইতিহাসের আলোছায়া। পিতাকে স্পর্শ করতে ১৯৯৯ সালে ছাত্রাবাসে এসেছিলেন শেখ হাসিনা।
ছবি: Payel Samanta/DW
যদি দেখতে চান
শেখ মুজিবুর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনকথা রয়েছে দেওয়ালে। যদিও এই ইতিহাসের পাতা, সংগ্রহশালার দরজা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। বাংলাদেশ-সহ বিদেশের নাগরিকরা আগ্রহী হলে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের মাধ্যমে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে হয়।
ছবি: Payel Samanta/DW
ছাত্র রাজনীতিতে
আরেকটি ঐতিহাসিক ফলক। এখানে লেখা আছে ১৯৪৫-৪৬-এ মুজিবুর রহমান ছাত্রসংসদের পদাধিকারী ছিলেন। ফিল্ম আর্কাইভ-এর ডিরেক্টর ও কলকাতার উপ হাই কমিশনের প্রাক্তন কর্তা মো. মোফাকখারুল ইকবাল জানিয়েছেন, শেখ মুজিবের রাজনৈতিক জন্ম কলকাতায়।
ছবি: Payel Samanta/DW
বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত টেবিলে তার বই
স্মৃতিকক্ষে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত কাঠের টেবিল আলো করে আছে শেখ মুজিব রচিত ও তাঁর সম্পর্কে লিখিত বই। অধ্যক্ষ শুভাশিস দত্ত জানিয়েছেন, তারা এবার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।
ছবি: Payel Samanta/DW
বইমেলার প্রবেশদ্বারে
সদ্য শেষ-হওয়া কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা ছিল বঙ্গবন্ধুময়। মুজিবুর রহমান লিখিত গ্রন্থের প্রচ্ছদ শোভা পেয়েছিল বইমেলার একাধিক প্রবেশদ্বারে।