অবিশ্বাস্য লাগে, যখন ২০০০ সালের ১০ নভেম্বরে ফিরে যাই৷ এই তো সেদিন সৌরভ গাঙ্গুলি, নাঈমুর রহমান টস করতে নামলেন, হাবিবুল বাশার স্ট্রোকের ঝুলি মেলে ধরছেন, আমিনুলের ব্যাটে অবিশ্বাস্য স্থৈর্য৷ ১ থেকে ১০০ – এত তাড়াতাড়ি হয়ে যায়!
বিজ্ঞাপন
আবার অন্য এক হিসাবে অবাক হয়েই ভাবতে হয়, ১০০টি টেস্ট খেলতে ১৭ বছর লাগল! গড়ে প্রতিবছর ছয়টিরও কম টেস্ট৷ ১৭ বছর পরও যে টেস্টে মাঝেমধ্যে মনে হয়, আমাদের শৈশবই কাটেনি, তার কারণও মিলে যায় এই তথ্যে৷ বছরে গড়ে মাত্র ছয়টি টেস্ট খেললে, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির হাওয়ায় মজে গিয়ে টেস্টকে দূরে সরিয়ে রাখলে যা হওয়ার তা-ই তো হচ্ছে!
আবার অতীতে ফিরি৷ ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস যখন দেওয়া হয়, তখন বাংলাদেশ যোগ্য কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছিল৷ যৌক্তিক প্রশ্ন, সত্যি বললে তখনকার পারফরম্যান্সে বাংলাদেশের চেয়ে কেনিয়াই এগিয়ে ছিল অনেকের কাছে৷ তবু তাদের টপকে যে বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পেল, সেটা এক অর্থে বাংলাদেশের প্রতি পক্ষপাতিত্ব৷ কারো কারো কাছে দীর্ঘদিনের শিষ্য আশরাফুল হককে জগমোহন ডালমিয়ার উপহার৷ কথাটায় কিছু সত্যতা আছে, কিন্তু ডালমিয়া বা ক্রিকেট দুনিয়ার কাছে সেটা বাংলাদেশপ্রীতি ছিল না৷ ছিল নিজেদের স্বার্থ৷ নতুন ধরনের বাণিজ্যিক হাওয়া তৈরি হয়েছে টেলিভিশন সূত্রে, এখন এই টাকা ধরার জন্যই খেলার বিস্তার দরকার৷ আর সেখানে পাওয়া গেল বাংলাদেশের মতো উর্বর ক্ষেত্রকে, যারা ক্রিকেটের জন্য সব সঁপে দিতে তৈরি৷ কেনিয়া-আয়ারল্যান্ড-স্কটল্যান্ডে ওসব নেই৷ তাই ওরা বাদ৷
যে পাঁচ কারণে টেস্টে পিছিয়ে বাংলাদেশ
টেস্ট ক্রিকিটে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় ২০০০ সালে৷ পরিসংখ্যানে এখনো বেশ পিছিয়ে সেদেশ৷ এখন পর্যন্ত খেলা ৯৯ টেস্টের মধ্যে হেরেছে ৭৬টিতে, জয় মাত্র আটটি৷ টেস্ট ক্রিকেটে টাইগারদের পিছিয়ে থাকার পাঁচ কারণ জানাচ্ছে এএফপি৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
কম টেস্ট খেলা
বিশ্বের ক্রিকেট পরাশক্তি হিসেবে বিবেচিত ভারত এবং ইংল্যান্ড যেখানে বছরে ২০টির মতো টেস্ট ম্যাচ খেলে, বাংলাদেশ সেখানে গড়ে ছয়টি টেস্ট খেলার সুযোগ পায়৷ মোটের উপর বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ আরো সীমিত৷ গত ১৭ বছরের মধ্যে ভারতের মাটিতে একবারই টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছে টাইগাররা, তাও গতমাসে৷ ফলে টেস্ট খেলার সুযোগ কম থাকায় খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতায় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/F. K. Godhuly
সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা
গত জুলাইয়ের ঢাকায় সন্ত্রাসী হামলার পরও ইংল্যান্ড বাংলাদেশ সফর করেছিল, যা টাইগারদের জন্য এক ইতিবাচক ব্যাপার৷ সেই সফর না হলে বাংলাদেশের অবস্থা পাকিস্তানের মতো হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল৷ ২০০৯ সালে পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট টিমের উপর হামলার পর সেদেশ সফর করেনি কোনো বিদেশি ক্রিকেট দল৷ তবে ইংল্যান্ড ঢাকা সফর করলেও নিরাপত্তার শঙ্কায় আগের বছর অস্ট্রেলিয়া সেদেশ সফর করেনি৷ আরো কয়েকটি দল সফর সীমিত করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
খেলার মাঠের সংখ্যা কম
৫৫ হাজার বর্গ মাইল দেশের বাসিন্দা ১৬ কোটি মানুষ৷ আর শুধু ঢাকাতেই থাকেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ৷ দেশটিতে খেলার মাঠের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে৷ বিশেষ করে ঢাকাতে সাধারণ মানুষের খেলার মাঠ পাওয়া মুশকিল৷ ফলে তৈরি হচ্ছে না খেলোয়াড়৷ অবস্থা এমন যে, বর্তমান টেস্ট টিমে ঢাকার খেলোয়াড় শুধু একজন, তাসকিন আহমেদ৷
ছবি: Getty Images/Q. Rooney
ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ আয়োজনে দুর্বলতা
যদিও বাংলাদেশে চারদিনের দু’টি ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, কিন্তু সেগুলো বেশ দুর্বল পর্যায়ের৷ নির্দিষ্ট সময়ের ঠিক নেই, নেই প্রফেশনালিজমের ছোঁয়া৷ ফলে সেসব প্রতিযোগিতা আন্তর্জাতিক মানেরতো হয়ই না, অনেকক্ষেত্রে হয়ে পড়ে একপাক্ষিক৷ দেখা যায়, সেসব টুর্নামেন্টে ডাবল সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যানও পরের সপ্তাহে আন্তর্জাতিক ম্যাচে বোল্ড আউট হন দ্রুত৷ টেস্টের মান বাড়াতে গেলে এসব আয়োজনের মানও বাড়াতে হবে৷
ছবি: Getty Images
স্পিনার থাকলেও পেসারের অভাব
বাংলাদেশ দলে আন্তর্জাতিক মানের স্পিনার থাকলেও টেস্ট জিততে ভালো মানের পেসারও প্রয়োজন৷ কিন্তু টিমে পেসারের ঘাটতি রয়ে গেছে৷ যারা সম্ভাবনা তৈরি করেছেন, যেমন মাশরাফি বিন মোর্তুজা, তারা ইনজুরির কবলে পড়েছেন৷ বর্তমানে দলে থাকা দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান এবং তাসকিন আহমেদও ইনজুরির কবলে পড়েছেন একাধিকবার৷ ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য টেস্টের জন্য পেসার তৈরিতে চেষ্টা করছে৷ তবে সেই চেষ্টার ফল এখনও পাওয়া যায়নি৷
ছবি: AP
5 ছবি1 | 5
যে কোনো কিছু পাওয়ার যোগ্য না হলেও পেতে ভালো লাগে৷ টেস্ট স্ট্যাটাসটা পেয়ে পুরো দেশ উদ্বেল ছিল৷ আবার পাওয়ার যোগ্য হয়ে ওঠার আগে কিছু পেলে সেটা সামাল দিতে কষ্ট হয়৷ সেই কষ্টটাও হতে শুরু করল কিছু দিন পরই৷ আর তাতে হৈ-চৈও উঠল৷ বাংলাদেশের একেকটা ব্যর্থতাতেই বিদেশি মিডিয়ার গেল গেল রব৷ আমরা আগেই বলেছিলাম না...। সেটা যে সামাল দেওয়া গেছে তারও কারণ দেশের মানুষ৷ সেই সূত্রে বাজার আর বাণিজ্যিক সম্ভাবনা৷ আফসোস এটাই যে এই মানুষ, বাজার, সম্ভাবনা৷এসবের শক্তি দিয়ে ক্রিকেটের নাক উঁচু অংশকে সামাল দেওয়ার কাজেই ব্যবহার করেছি শুধু৷ এই উর্বর ক্ষেত্রে টেস্টটাকে একটু পরিচর্যা করলে ৯৯তম টেস্টে শোচনীয় হারের লজ্জা নিয়ে শততম টেস্টে নামতে হয় না৷ মাহমুদ উল্লাহদের নিয়ে অত নাটক হয় না৷
বাংলাদেশ সরকারের তখনকার এক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রীড়া কর্তা টেস্ট ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারছিলেন না৷ তবে রাজনীতিক যেহেতু, এবং রাজনীতিকরা না বোঝা বিষয় নিয়েই বেশি কথা বলতে পছন্দ করেন, তাই টেস্টের প্রসঙ্গ উঠলেই বলতেন, ‘‘টেস্ট মানে হচ্ছে সাগর৷ বিশাল সাগর৷''
প্রায় প্রতি বক্তৃতাই শেষ হতো টেস্ট নামের সাগরে গিয়ে৷ এবং সাংবাদিকদের হাসাহাসিতে৷ তা হাসাহাসি বাদ দিয়ে সাংবাদিকরা একদিন তাঁকে বাজিয়ে দেখতে জানতে চাইলেন, ‘‘আপনি টেস্টকে সব সময় সাগর বলেন কেন?''
‘‘আরে টেস্ট তো সাগরই৷ বিশাল সাগর৷''
‘‘আর ওয়ানডে?''
রাজনীতিক তো৷ ঝটপট জবাব, ‘‘নদী৷ নদীর মতো৷''
‘‘তাহলে ক্রিকেটের পুকুর কোনটা?''
তখন তো আর টি-টোয়েন্টি ছিল না, থাকলে উত্তর দিতে সমস্যা হতো না৷ তাঁর খুব সমস্যা হলো৷ আমতা-আমতা শুরু করলেন৷
গল্পটা বললাম এ জন্য যে, তখন আমাদের ক্রিকেট-সংস্কৃতিতে আসলে টেস্ট সম্পর্কে ‘সাগর', ‘সমুদ্র' – এই জাতীয় অস্বচ্ছ ধারণার বেশি কিছু ছিল না৷ তুলনায় ওয়ানডে অনেক পরিচিত৷ তার ধরনের সঙ্গে অনেক বেশি সখ্য৷ আর সত্যি বললে এটাই ছিল সমস্যা৷
ওয়ানডেকেন্দ্রিক কাঠামো দিয়ে টেস্ট খেলতে গিয়ে আর টেস্টের দল হয়ে ওঠা হয়নি৷ জাতীয় লিগ নামে চার দিনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হলো৷ সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টাও ছিল৷ কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, খেলোয়াড়দের মধ্যেও দেখেছি বড় দৈর্ঘ্যের খেলাটাকে খুব সিরিয়াসলি না নিতে৷ বরং শেষ দিনে যে ওয়ানডে হতো, তার দিকেই বেশি মনোযোগ, কারণ, এই দিন মানুষ বেশি আসে৷ হাততালি বেশি পাওয়া যায়৷ আর তাতে বিভ্রান্ত হয়ে নির্বাচনি বিবেচনাতেও বিস্তর ভুল৷ প্রাক টেস্ট যুগে জাভেদ ওমরের নামের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল ‘টেস্ট ব্যাটসম্যান'-এর লেবেল৷ অথচ যখন সত্যিকারের টেস্ট, তখন দলে নেই তিনি৷ তিন ওপেনারকে খেলানো হলো, কিন্তু তাঁদের কারো নামই জাভেদ নয়৷ সাবেক ক্রিকেটাররা সব দেশে ক্রিকেট-সংস্কৃতির অভিভাবক হিসেবে কাজ করেন৷ কিন্তু এখানেও সমস্যা৷ আমাদের সাবেকরা যেহেতু শুধুই ওয়ানডে খেলেছেন, তাই তাঁদের অভিভাবকত্বেও থাকল গোলমাল৷ আর সবশেষ টি-টোয়েন্টি এসে এমন একটা ঝোড়ো হাওয়া বইয়ে দিল যে, তারপর বাংলাদেশের মতো হুজুগে দেশে যে টেস্ট টিকে আছে সেটাই একটা বিরাট ব্যাপার৷ এবং অবশ্যই বিরাট ব্যাপার সেই দেশের শততম টেস্ট খেলতে যাওয়া৷
শ্রীলঙ্কা, শততম টেস্টের ভেন্যু পি সারা মাঠে টেস্ট কভারের অভিজ্ঞতা আছে৷ ২০০২ সালে৷ যত দূর মনে পড়ে, তখনকার রীতি অনুযায়ী ইনিংস হারই হয়েছিল৷ তখন আসলে সবখানে এটাই নিয়ম ছিল যে বিপক্ষ বিশাল একটা রানের পাহাড় গড়বে, বাংলাদেশ তাতে গড়াগড়ি খাবে৷ তিন বা সাড়ে তিন দিনে খেলা শেষ হবে অনিবার্য নিয়তি নিয়ে৷ আর সেই চোখে দেখলে উন্নতি কিন্তু মন্দ হয়নি৷ এখন যত যা-ই ঘটুক, বাংলাদেশের টেস্ট মানেই তিন দিনের মামলা নয়৷ বিপক্ষ বিরাট রান করে যে এক ইনিংসেই খেলা শেষ করে দেবে এমনও নয়৷ এই নিউজিল্যান্ডেই সাকিব-মুশফিকের ব্যাটে লিড নেওয়া গেছে৷ ভারতেও বাংলাদেশ রানচাপা না পড়ে পাল্টা গর্জন করেছে মুশফিকের অনন্য সেঞ্চুরিতে৷ এর আগে ইংল্যান্ডের সঙ্গে তো আরেকটু হলে সিরিজটা ২-০-তেই জেতা যেত৷ আর এসবই হয়েছে সঠিক কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই৷ সত্যি বললে, ওয়ানডে ক্রিকেটে সাফল্যের সূত্রে যে বিশ্বাস এসেছে, সেটাই বাংলাদেশ টেনে নিয়ে গেছে টেস্টে৷ তা ছাড়া টি-টোয়েন্টি আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট সূত্রে অন্য দেশেও টেস্ট ক্রিকেটের মান নামছে, রাহুল দ্রাবিড় কিংবা সাঙ্গাকারারা আর তৈরি হচ্ছেন না৷ আর এভাবে নিজেদের বিশ্বাসজনিত অগ্রগতি, অন্যদের নেমে আসা মিলিয়ে মাঝেমধ্যে টেস্টেও হয়ে যাচ্ছে৷
পাঠকের চোখে ক্রিকেটের সেরা একাদশ
বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য খেলোয়াড় বাছাই করতে বলা হয়েছিল ডয়চে ভেলের পাঠকদের৷ ছিল পুরস্কার৷ পাঠক, মেহেদী হাসানের দেয়া তালিকা আমাদের পছন্দ হয়েছে৷ চলুন দেখে নেই তাঁর টিম৷
ছবি: Reuters
তামিম ইকবাল
ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় জমা পড়া নামের তালিকায় সবাই যাকে রেখেছেন, তিনি হচ্ছেন ওপেনার তামিম ইকবাল৷ চট্টগ্রামের এই বাহাতি ব্যাটসম্যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করছেন৷ ডয়চে ভেলের পাঠক মেহেদী হাসানের মতে, টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে, টেস্ট – সব দলেই মানানসই তামিম৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
সৌম্য সরকার
সাতক্ষীরার ছেলে সৌম্য সরকার জাতীয় দলের সঙ্গে যাত্রা শুরু করেন ২০১৪ সালে৷ বাহাতি এই ব্যাটসম্যানের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ স্কোর ১০৭৷ আমাদের পাঠকদের কেউ কেউ অবশ্য তাঁকে আপাতত দলের বাইরে রাখার পক্ষে৷ আর মেহেদী হাসানের মতে, টেস্টে তামিমের সঙ্গে থাকা উচিত ইমরুল কায়েসের৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
সাব্বির রহমান
জাতীয় দলের তৃতীয় ব্যাটসম্যানের জায়গা নিয়ে একটু বিভ্রান্তি রয়েছে৷ আমাদের পাঠকদের অনেকে এই জায়গায় সাব্বির রহমানকে রাখতে চান৷ তবে কেউ কেউ এখানে খেলার ধরনের ভিত্তিতে ইমরুল কায়েস বা লিটন দাসকেও রাখতে আগ্রহী৷
ছবি: Getty Images/AFP/K. Manjunath
সাকিব আল হাসান
সাবিক আল হাসানের খ্যাতি বিশ্বজোড়া৷ মাগুরার এই অলরাউন্ডারকে সবাই দলে চান৷ ২০১৫ সালে সাকিব বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসি-র সব ব়্যাংকে প্রথম অবস্থান অর্জন করেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
মুশফিকুর রহিম
মাঠে উইকেটের পেছনে এক বিশ্বস্ত নাম মুশফিকুর রহিম৷ আমাদের প্রায় সব পাঠক তাঁকে দলে রেখেছেন৷ তবে টি-টোয়েন্টিতে তাঁকে কিপিংয়ে রাখতে রাজি নন পাঠক মেহেদী হাসান৷
ছবি: Getty Images/R. Pierse
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে দলে রাখা নিয়ে আমাদের পাঠকদের কারো আপত্তি নেই৷ তবে তাঁর কোন অবস্থানে ব্যাট করা উচিত, সেটা নিয়ে মতামত ভিন্ন৷ মেহেদী হাসানের মতে, টি-টোয়েন্টি এবং টেস্টে ষষ্ঠ আর ওয়ানডে তৃতীয় অবস্থানে খেলা উচিত তাঁর৷
ছবি: Getty Images/R. Pierse
নাসির হোসেন
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কার্যত সাইড বেঞ্চে কাটিয়েছেন নাসির হোসেন৷ রংপুরের এই অলরাউন্ডারকে মূল একাদশে দেখতে আগ্রহী ডয়চে ভেলের পাঠকরা৷
ছবি: Getty Images/AFP/U. Zaman
মাশরাফি বিন মোর্তোজা
জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে দলে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বিন মোর্তোজাকেই চান পাঠক মেহেদী হাসান৷ আর টেস্টে তাঁর পছন্দের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Kiran
তাসকিন আহমেদ
ডানহাতি ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ ব্যাটিংয়ে আবার বামহাতি৷ বর্তমানে ‘অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের’ দায়ে আইসিসি-র নিষেধাজ্ঞায় আছেন তিনি৷ তবে আমাদের পাঠকরা তাঁকে ফেরত চান দ্রুত৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. U. Zaman
মুস্তাফিজুর রহমান
ক্রিকেটের বিস্ময় বালক মুস্তাফিজুর রহমানকে টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে এবং টেস্ট সবক্ষেত্রেই মূল দলে চান ডয়চে ভেলের পাঠকরা৷ ভারতের আইপিএল-এও খেলছেন মুস্তাফিজ৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
লিটন দাস/শুভাগত হোম/নুরুল হাসান
এই তিনজনই সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার৷ আসলে জাতীয় দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে খেলার ধরন, ভেন্যু, পরিবেশসহ অনেক কিছু বিবেচনায় আনতে হয়৷ তাই চূড়ান্ত একাদশ কী হবে তা নির্ধারণ সহজ নয়৷ আমাদের ক্রিকেটপাগল পাঠকদের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি এই গ্যালারিটিতে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে মাত্র৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
11 ছবি1 | 11
কিন্তু এই এক-আধটু বাতাসে স্বস্তি মেলে না যখন দেখি টেস্ট পর্যায়ে একেবারে হাস্যকর রকম ভুলে আউট হন ব্যাটসম্যান৷ টেস্ট শুধু ফলের বিষয় নয়, এই খেলার ধরনও একটা পরিণতবোধ দাবি করে৷ হয়ত বাংলাদেশ অনেক রান করছে কখনো কখনো, হয়ত জিতছেও, কিন্তু আমাদের শীর্ষ ব্যাটসম্যানরা যখন পরিস্থিতির সঙ্গে বেমানান শট নেন, তখন ক্রিকেট বিশ্ব এ জন্য হাসে যে এরা আসলে টেস্টের মানেটাই ঠিক বোঝে না! শততম টেস্টের সময় আসলে হার-জিত, পারা-না পারা নয়, টেস্টবোধের সামগ্রিক ঘাটতিটাই সবচেয়ে বেশি কষ্টের৷
এবং যতই ১০০ টেস্ট খেলি, এই কষ্ট খুব সম্ভব অদূর ভবিষ্যতে দূর হওয়ার নয়৷ কারণ, এখনো ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি হলে আমরা যতটা ঝাঁপিয়ে পড়ি, টেস্ট এলে ততটাই নিরাসক্ত৷ এখনো সামান্য অজুহাত পেলেই টেস্টের জায়গায় তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার চেষ্টা করি৷ টেস্ট খারাপ করার পর বড় দৈর্ঘ্যরে ম্যাচ খেলা, প্রথম শ্রেণির কাঠামো ইত্যাদি নিয়ে যেসব কথা হয় সেগুলো আসলে স্রেফ পিঠ বাঁচানোর স্বার্থেই৷
যেসব টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ
সেই ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৪৩ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা৷ তার মধ্যে জয় এসেছে ২১টিতে৷ চলুন জেনে নিই সেই টেস্টগুলোর কথা৷
ছবি: Anjum Naveed/AP/picture alliance
আগস্ট ৩০-সেপ্টেম্বর ০৩, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী
পরপর ২ টেস্ট পাকিস্তানকে নিজেদের মাটিতে হোয়াইট ওয়াশ করেছে বাংলাদেশ৷ রাওয়ালপিন্ডিতে বাবর আজমদের দুই ইনিংসে ২৭৪ ও ১৭২ রানে অলআউট করে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেন শান্তরা৷ লিটনের সেঞ্চুরি, মিরাজের অর্ধশতক ও ৫ উইকেট, হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট এই জয়ে বড় ভূমিকা রাখে৷ এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মধ্য সিরিজ জয় পায় বাংলাদেশ৷
ছবি: Anjum Naveed/AP Photo/picture alliance
আগস্ট ২১-২৫, ২০২৪, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান
টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ১০ উইকেটের জয়। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩ টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। ১৪তম টেস্টে ঐতিহাসিক জয়। টেস্টে নবম দল হিসেবে পাকিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বাকি থাকলো শুধু ভারত ও সাউথ আফ্রিকা। দেশের বাইরে বাংলাদেশের এটা সপ্তম জয়। ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। জবাবে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রানের বড় সংগ্রহ তোলে। পাকিস্তানের ২য় ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৪৬ রানে।
ছবি: Farooq Naeem/AFP/Getty Images
২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর, ২০২৩, প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫০ রানের বিশাল এক জয় পায় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দল। বাংলাদেশের হয়ে ৬ উইকেট নেন তাইজুল। নিউজিল্যান্ড : ৩১৭ ও ১৮১, বাংলাদেশ:৩১০ ও ৩৩৮৷
ছবি: Munir uz Zaman/AFP
জুন ১৪-১৮ (২০২৩), প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান
মিরপুরে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ৷ ৫৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ, যা টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে জয়ের তিন নম্বরে আছে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৩৮২ রানে অল-আউট হয়। পালটা ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান ১৪৬ রান তুলেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৪২৫ রান তুলে ব্যাটিং ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ। শেষ ইনিংসে আফগানিস্তান অল-আউট হয় ১১৫ রানে।
ছবি: Munir uz Zaman/AFP
এপ্রিল ৩-৭ (২০২৩), প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ৭ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা৷ আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংসে ২১৪ এবং ২য় ইনিংসে ২৯২ করে৷ বাংলাদেশ ১ম ইনিংসে ৩৬৯ এবং ২য় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১৩৮ রান করে ৭ উইকেটের জয় পায়৷
ছবি: Farooq Naeem/AFP/Getty Images
জানুয়ারি ১-৫ (২০২২), প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে হারিয়ে টেস্টে ঐতিহাসিক এক জয় পায় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যেকোনো ফরম্যাটেই এটি বাংলাদেশের প্রথম জয়। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথম টেস্টের শেষ দিনে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে মুমিনুলবাহিনী।
ছবি: Marty Melville/Photospor/AP/picture alliance
জুলাই ৭-১১ (২০২০) প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে
হারারের একমাত্র টেস্ট ২২০ রানে জিতেছে সফরকারীরা। বাংলাদেশের দেওয়া ৪৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পঞ্চম দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবোয়ে অলআউট হয় ২৫৬ রানে। এই জয়ের অন্যতম রূপকার মেহেদী হাসান মিরাজ।
মুশফিকুর রহিমের দ্বিশতক (২০৩) আর মুমিনুলের শতকে (১৩২) ভর করে বাংলাদেশ জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে এক ইনিংস ও ১০৬ রানের জয় পায়৷ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবোয়ে ২৬৫ রান করেছিল৷ এরপর বাংলাদেশ খেলতে নেমে ছয় উইকেটে ৫৬০ রান তোলে৷ পরের ইনিংসে জিম্বাবোয়ে ১৮৯ রান করে অলআউট হয়ে যায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. U. Zaman
নভেম্বর ৩০-ডিসেম্বর ২, ২০১৮ প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
মিরপুর টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৮৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ৷ এই প্রথম প্রতিপক্ষকে ফলো অন করানো ও ইনিংস ব্যবধানে জয়ের অনির্বচনীয় দুটি স্বাদ দল পেল একদিনেই৷ দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০তে জয়৷ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ৷ ১১৭ রানে ১২ উইকেট, বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচে সেরা বোলিংয়ের কীর্তি৷ ম্যান অব দা ম্যাচ মেহেদী হাসান মিরাজ৷ ম্যান অব দা সিরিজ সাকিব আল হাসান৷
ছবি: Picture-alliance/AP Photo/A.M. Ahad
নভেম্বর ২২-২৪, ২০১৮ প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
প্রতিপক্ষকে দুই ইনিংস মিলিয়ে সবচেয়ে কম বলে দুবার অলআউট করে জেতা ম্যাচের নতুন রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ৷ আড়াই দিনে টেস্ট জিতেছিল টাইগাররা৷ সাড়ে সাত সেশনের মতো খেলা হয়েছে এই টেস্টে৷ এটিই টেস্টে বাংলাদেশের দ্রুততম জয়৷ নাঈম হাসান প্রথম ইনিংসে পেয়েছেন ৫ উইকেট৷ দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল পেয়েছেন ৬ উইকেট৷ মুমিনুল হক পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. U. Zaman
নভেম্বর ১১-১৫, ২০১৮ প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে
জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ২১৮ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ৷ সিরিজ ১-১ ড্র৷ ৪৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় সেশনে জিম্বাবুয়ে থামে ২২৪ রানে৷ ৩৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সফলতম বোলার মেহেদী হাসান মিরাজ৷ দ্বিশত হাঁকিয়ে ম্যাচ সেরা মুশফিকুর রহিম৷ সিরিজ সেরা হয়েছেন তাইজুল ইসলাম৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
জানুয়ারি ৬-১০, ২০০৫, প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে: বাংলাদেশ ২২৬ রানে জয়ী
টাইগাররা প্রথমবারের মতো টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় চট্টগ্রামে৷ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৪৮৮ রান তোলে স্বাগতিকরা৷ আর দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ৯ উইকেটে ২০৪ রান করে৷ প্রথম ইনিংসে জিম্বাবোয়ের স্কোর ছিল ৩১২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৪ রান৷
ছবি: Getty Images/AFP
জুলাই ৯-১৩, ২০০৯, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ: বাংলাদেশ ৯৫ রানে জয়ী
দেশের বাইরে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জয়ের দেখা পায় ২০০৯ সালের ১৩ জুলাই৷ কিংসটাউনে সেই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯৫ রানে হারায় টাইগাররা৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Samad
জুলাই ১৭-২০, ২০০৯, প্রতিপক্ষ ওয়েস্টইন্ডিজ: বাংলাদেশ চার উইকেটে জয়ী
সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ছিল সাফল্যে ঠাসা৷ দ্বিতীয় টেস্টে সেন্ট জর্জেসে স্বাগতিকদের হারায় টাইগাররা, সেবার জিতেছিল চার উইকেটে৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Brooks
এপ্রিল ২৫-২৯, ২০১৩, প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে: বাংলাদেশ ১৪৩ রানে জয়ী
জিম্বাবোয়ের হারারেতে স্বাগতিকদের আবার ‘বধ’ করে টাইগাররা৷ প্রথম ইনিংসে ৩৯১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৯১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ৷ জবাবে প্রথম ইনিংসে ২৮২ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবোয়ে৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Njikizana
অক্টোবর ২৫-২৭, ২০১৪, প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে: বাংলাদেশ তিন উইকেটে জয়ী
ঢাকায় বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়৷ তিন দিনে শেষ হওয়া সেই টেস্টে শুরুতে ব্যাট করতে গিয়ে প্রথম ইনিংসে ২৪০ রান করে জিম্বাবোয়ে৷ আর দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল ১১৪৷ অন্যদিকে, প্রথম ইনিংসে ২৫৪ আর দ্বিতীয় ইনংসে ৭ উইকেটে ১০৭ রান তুলে জিতে যায় স্বাগতিকরা৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
নভেম্বর ৩-৭, ২০১৪, প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে: বাংলাদেশ ১৬২ রানে জয়ী
খুলনায় জিম্বাবোয়েকে হারায় বাংলাদেশ৷ সেই টেস্ট পাঁচ দিন পর্যন্ত গড়ালেও শেষমেশ তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি জিম্বাবোয়ে৷ ফলাফল স্বাগতিকদের ১৬২ রানের জয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
নভেম্বর ১২-১৬, ২০১৪, প্রতিপক্ষ জিম্বাবোয়ে: বাংলাদেশ ১৮৬ রানে জয়ী
আবারো চট্টগ্রামে জিম্বাবোয়েকে হারায় টাইগাররা৷ সেবার ব্যবধান ছিল ১৮৬ রানের৷
ছবি: Getty Images/AFP/Strdel
অক্টোবর ২৮-৩০, ২০১৬, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড: বাংলাদেশ ১০৮ রানে জয়ী
এখন পর্যন্ত বড় কোনো ক্রিকেট শক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একমাত্র টেস্ট জয় এটি৷ ঢাকায় ইংল্যান্ডকে নাস্তানাবুদ করে টাইগাররা৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
মার্চ ১৫-১৯, ২০১৭, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী
একদিকে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের শততম ম্যাচে জয়, অন্যদিকে প্রথমবারের মত শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়-দুই দিক দিয়েই ঐতিহাসিক বাংলাদেশের এই টেস্ট ম্যাচটি৷ পঞ্চম দিনে ৪ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা৷ ম্যাচ সেরা হয়েছেন তামিম ইকবাল৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. S. Kodikara
আগস্ট ২৭-৩০, ২০১৭, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া: বাংলাদেশ ২০ রানে জয়ী
প্রথমবারের মত অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশ ইতিহাস গড়ে৷ এটা ছিল সাকিব ও তামিমের ৫০তম টেস্ট। সাকিব মোট ১০ উইকেট নিয়ে এবং তামিম দুই ইনিংসেই অর্ধশত করে স্মরণীয় করে রাখলেন এই টেস্টকে৷ ম্যাচ সেরা সাকিব আল হাসান৷ দ্রষ্টব্য: ইএসপিএন ক্রিকইনফো থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ছবিঘরটি তৈরি করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
21 ছবি1 | 21
আর এ সব দেখে দেখে ভারাক্রান্ত মনে মনে হয়, শততম টেস্ট আসলে স্রেফ একটা সংখ্যা৷ এর বেশি কিছু নয়৷ বাহারি আয়োজনের আবহ সংগীতটার মধ্যেও চাপা দুঃখের সুর৷ টেস্টকে তো আমরা ভালোই বাসিনি!