বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের আসনের বিপরীতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী এবার এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়েছে৷ অনেকেই তাই ভর্তি হতে পারবেন না পরবর্তী ধাপে৷ তাদের প্রতি কারগরি শিক্ষা নেয়ার পরামর্শ শিক্ষাবিদদের৷
বিজ্ঞাপন
শতভাগ পাস করা এই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পড়তে যেতে কোন সমস্যা হবে কিনা সে প্রশ্নও সামনে এসেছে৷ বিদেশে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করে এমন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সারা বিশ্বই একই ধরনের সমস্যায় আছে৷ আর অটোপাস হলেও শিক্ষার্থীদের প্রতিটি সাবজেক্টের আলাদা নম্বর ও গ্রেড রয়েছে৷ ফলে যারা বিদেশে শিক্ষার জন্য যেতে চান তাদের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না৷
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এবার এইচএসসিতে মোট পাস করেছেন ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন৷ এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন৷ কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তথ্য বলছে, উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হওয়ার মতো আসন আছে সাড়ে ১১ লাখের মতো৷ তবে কলেজগুলোর আসন ধরলে এই সংখ্যা ১৩ লাখের মতো হতে পারে৷
ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ
অতিরিক্ত শিক্ষার্থী কোথায় ভর্তি হবে? জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সবার উচ্চশিক্ষা কেন নিতে হবে? সারা বিশ্বে তো কোথাও সবাই উচ্চশিক্ষা নেয় না৷ কারিগরি যেসব শিক্ষা আছে, পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব কলেজ আছে তারা সেখানে ভর্তি হবেন৷’’
তার সঙ্গে অনেকটা একমত বুয়েটের অধ্যাপক শিক্ষাবিদ ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদও৷ তার মতে এই সংকট দূর করতে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাতেই পরিবর্তন আনা প্রয়োজন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারা উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে তাদের কত ভাগের কাজের সঙ্গে শিক্ষার মিল থাকে? এটা তো আমি মনে করি অপচয়৷ এই কারণে বলি, সবার উচ্চশিক্ষার দরকার কী? কারিগরি শিক্ষা নিক৷ আমরা কম্পিউটার বানাতে পারব না? কিন্তু কম্পিউটার মেরামত করে সেটা কর্মক্ষমতা তো বাড়াতে পারি৷ আবার ১০ কোটির বেশি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন৷ যারা দেখে শিখেছে তারা তো সাধারণ মোবাইল ফোন সারতে পারেন৷ কিন্তু কারিগরি শিক্ষা নিয়ে তারা এ ব্যাপারে দক্ষ কারিগর হতে পারেন৷ এভাবে টিভি-ফ্রিজের দক্ষ কারিগর তারা হতে পারে৷’’
বিশ্বের সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয়
টাইমস হায়ার এডুকেশন ২০২১ সালের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা করেছে, যা দেখে শিক্ষার্থীরা ঠিক করতে পারে সে বছর কোথায় পড়বে তারা৷ তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১০০১ নম্বরে৷ ছবিঘরে দেখে নিন সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয়৷
ছবি: Imago/J. Tack
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
যুক্তরাজ্যের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি টানা পাঁচ বছর ধরে শীর্ষস্থানে রয়েছে৷ টাইমস হায়ার এডুকেশন বিশ্বের ৯৩টি দেশের ১৫শ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা করেছে ভালো থেকে খারাপের সূচিতে৷ চারটি মানদণ্ডে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল্যায়ন করে তৈরি করা হয়েছে এই তালিকা৷ সেগুলো হল: শিক্ষা প্রদান, গবেষণা, জ্ঞান বিতরণ এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড৷
ছবি: Imago/J. Tack
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
গত বছর চার নম্বরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি এবার তালিকার দুই নম্বরে স্থান করে নিয়েছে৷
ছবি: King of Hearts/Wikimedia Commons/dpa
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি গতবার ছিল সাত নম্বরে৷ এবার তিন নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে এটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Haid
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি
বিশ্বের শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটিই যুক্তরাষ্ট্রে৷ ক্যালিফোর্নিয়ার প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গত বছর ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R.Chiu
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এমআইটি বেশ বিখ্যাত৷ এবারের সূচিতে এর অবস্থান পাঁচ নম্বরে৷
ছবি: Imago
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়
যুক্তরাজ্যের এই নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়টি গতবারের তালিকায় ছিল তিন নম্বরে৷ এবার এটির অবস্থান ছয় নম্বরে৷
ছবি: Fotolia/Konstiantyn
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে
গতবার শীর্ষ দশে জায়গায় পায়নি অ্যামেরিকার এই বিশ্ববিদ্যালয়টি৷ আর এ বছর সাত নম্বর অবস্থানে পৌঁছে গেছে এটি৷
ছবি: Imago
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়
গতবারের অবস্থানেই আছে ইয়েল ইউনিভার্সিটি৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/P. Eaton-Robb
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়
গতবার ছয় নম্বরে থাকা প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি এবার নেমে গেছে নয় নম্বরে৷
ছবি: picture-alliance/AP/M. Evans
ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো
তালিকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়েরও অবনতি হয়েছে৷ গতবার নয় নম্বরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়টি এবার আছে ১০ নম্বরে৷
ছবি: AFP/Getty Images
10 ছবি1 | 10
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা
এবার বেশির ভাগ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে৷ এর মধ্যে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে৷ সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে৷ তবে ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে৷ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয় এমন কলেজ আছে ৮৬৭টি৷ আগামী এপ্রিলের মধ্যে তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে৷
ড. মীজানুর রহমান
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কবে নাগাদ এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে? জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক কার্যক্রমের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘‘করোনা গেলে পরীক্ষা হবে৷ করোনা যখন যাবে, তখন পরীক্ষা নেব৷’’ এতে কী আরো পিছিয়ে পড়বে না শিক্ষার্থীরা? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘করোনার কারণে সবকিছুই যেখানে পিছিয়ে পড়েছে, সেখানে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়বে না, তা কী করে হয়৷ গত বছর আমরা যাদের ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি করেছি, তাদের তো ক্লাস নিতে পারিনি৷ এখন তাদের ক্লাস নেব, তারপর পরীক্ষা হবে৷ এরপর তাদের সেকেন্ড ইয়ারে উঠিয়ে ফাস্ট ইয়ারের জন্য ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ একটু সময় তো লাগবেই৷’’
বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি
অটোপাশের ফলে যারা বিদেশে পড়তে যাবেন তারা কী কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন? জানতে চাইলে গ্লোবাল স্টাডি কানসালটেন্টের সিইও শফিকুল ইসলাম জীবন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না, তারা কোন সমস্যায় পড়বেন৷ কারণ সব সাবজেক্টের জন্য তো আলাদা নম্বর দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি তাদের গ্রেডও আছে৷ আর বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের আগে তো নিজেদের স্কিল প্রমান করতে পরীক্ষা দিতে হয়৷ ফলে এখানে খুব একটা সমস্যা হবে না৷ সারা বিশ্বই তো করোনার কারণে ঠিকভাবে পরীক্ষা নিতে পারেনি৷’’ ড. কায়কোবাদও বলছেন, বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের এই অটোপাশের কারণে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না৷
জ্ঞানের দৌড়ে কারা এগিয়ে, কারা পিছিয়ে
উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবনসহ জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় কোন দেশ কতটা এগিয়ে সেটি বোঝা যায় বৈশ্বিক জ্ঞান সূচকের মাধ্যমে৷ প্রতিবছর ইউএনডিপি একটি তালিকা প্রকাশ করে৷ ছবিঘরে দেখুন চলতি বছরে সূচকে কার কী অবস্থান৷
ছবি: picture-alliance/PAP/M. Bielecki
পরিমাপ প্রক্রিয়া
২০১৭ সাল থেকে বৈশ্বিক জ্ঞান সূচক প্রকাশ করে আসছে জাতিসংঘের উুন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা ইউএনডিপি৷ প্রাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, উচ্চ শিক্ষা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, অর্থনীতি আর পরিবেশ- এই সাতটি বিষয়কে সেখানে বিবেচনায় নেয়া হয়৷ ১৯৯টি সূচকের মাধ্যমে করা হয় ১৩৮ টি দেশের র্যাংকিং৷
ছবি: picture-alliance/PAP/M. Bielecki
শীর্ষে সুইজারল্যান্ড
বৈশ্বিক জ্ঞান সূচক ২০২০-এ শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে সুইজারল্যান্ড৷ প্রশিক্ষণ ও গবেষণার পর্যাপ্ত সুবিধা, মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান, অত্যাধুনিক উৎপাদন প্রক্রিয়া আর দক্ষ সরকার ব্যবস্থা দেশটিকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে৷ তাদের মোট স্কোর ৭৩ দশমিক ছয়৷ ৭১ দশমিক এক স্কোর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয়৷ প্রথম চারে আছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার আরো দুই দেশ; ফিনল্যান্ড ও সুইডেন৷ স্কোর যথাক্রমে, ৭০ দশমিক আট ও ৭০ দশমিক ছয়৷
ছবি: picture-alliance/robertharding
ইউরোপের সাত
ইউরোপের বাকি দেশগুলোর মধ্যে নেদারল্যান্ডসের অবস্থান পঞ্চম৷ এর পরপরই রয়েছে লুক্সেমবুর্গ৷ অষ্টম ডেনমার্ক, যুক্তরাজ্য নবম আর জার্মানি আছে ১১ তম অবস্থানে৷ সব মিলিয়ে প্রথম দশে ইউরোপেরই সাতটি দেশ৷
ছবি: Imago Images/Danita Delimont/D. R. Frazier
এশিয়ায় শীর্ষে সিঙ্গাপুর
জ্ঞান সূচকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার উপরে সিঙ্গাপুর৷ সাতটি খাতের মধ্যে অর্থনীতিতে তারা প্রথম আর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে আছে দ্বিতীয় অবস্থানে৷ সামগ্রিকভাবে তালিকায় তারা সপ্তম৷ ১০ম অবস্থানে হংকং আর ১২ তম অবস্থানে জাপান৷ এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া ১৯ তম, চীন আছে ৩১তম অবস্থানে৷
ছবি: picture-alliance/robertharding/B. Morandi
মধ্যপ্রাচ্যের আলো ইউএই
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জন্য অনুপ্রেরণা সংযুক্ত আরব আমিরাত৷ বৈশ্বিক জ্ঞানে দেশটি ১৫ তম জায়গা করে নিয়েছে৷ অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়ারও আছে উপরে৷ মধ্যপ্রাচ্যের বাকি দেশগুলোর মধ্যে ইসরায়েল ২১তম, কাতার ৩৯তম, সৌদি আরব ৪২তম, বাহরাইন ৪৩ তম, ওমান ৫৮তম, ও কুয়েত আছে ৬৫তম অবস্থানে৷
ছবি: Sheikh Mohammed bin Rashid Al Maktoum/Twitter/AP/picture-alliance
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের নেতৃত্ব
দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে ভারত৷ ৪৪ দশমিক চার স্কোর নিয়ে সব দেশের মধ্যে তাদের অবস্থান ৭৫তম৷ এছাড়া শ্রীলংকা ৮৭, ভূটান ৯৪, নেপাল ১১০, পাকিস্তান ১১১ আর এই অঞ্চলে সবার শেষে বাংলাদেশ৷ এগিয়ে থাকা ভারত গবেষণা ও উদ্ভাবনে সবচেয়ে ভালো করেছে; সব দেশ মিলিয়ে সেখানে তাদের অবস্থান ৪৪তম৷ তবে প্রাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও পরিবেশের মানে বেশ পিছিয়ে৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. D´Souza
বাংলাদেশের দুর্বলতা
বৈশ্বিক জ্ঞান সূচকে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ ১৩৮ টি দেশের মধ্যে ১১২তম অবস্থানে রয়েছে৷ বাংলাদেশ সবচেয়ে পিছিয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনে; স্কোর মাত্র ১৬ দশমিক চার৷ আর উচ্চ শিক্ষায় ২৪ দশমিক ১ স্কোর নিয়ে গোটা বিশ্বের মধ্যে অবস্থান ১২৯৷ অর্থাৎ, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের নীচে আছে মাত্র নয়টি দেশ৷
ছবি: Sawpan Chandra Dash
তলানিতে যারা
তালিকায় শেষের দিকে থাকা দেশগুলো আফ্রিকার৷ সবার নীচে বা ১৩৮তম অবস্থানে আছে চাদ৷ শেষ পাঁচে থাকা বাকিরা অ্যাঙ্গোলা, মৌরিতানিয়া, নাইজার ও কঙ্গো৷