‘নতুন চাঁদের জন্ম'
১৮ এপ্রিল ২০১৪নাসার মহাকাশযান ক্যাসিনির পাঠানো সাদা-কালো ছবি বিশ্লেষণ করে তাঁরা দেখতে পেয়েছেন, শনির একেবারে বাইরের বলয়ে ধীরে ধীরে জমাট বাঁধছে খুদে সেই পিণ্ড৷
প্রাথমিকভাবে গবেষকরা এর নাম দিয়েছেন ‘পেগি'৷ তাঁদের ধারণা সত্যি হলে, পেগি হতে যাচ্ছে রহস্যঘেরা শনি গ্রহের ৬৩তম উপগ্রহ বা চাঁদ৷ক্যাসিনি গত মঙ্গলবার যে ছবি পাঠিয়েছে, সে অনুযায়ী, পেগির ব্যাস আধা মাইলের বেশি হবে না৷ সময়ের সাথে সাথে এর আকৃতি বদলাতে পারে, ভেঙে টুকরোও হয়ে যেতে পারে৷
পেগির গড়ে ওঠার এই প্রক্রিয়া থেকেই শনির অন্যান্য চাঁদের উৎপত্তির ইতিহাস বুঝতে চাইছেন গবেষকরা৷ ধারণা পেতে চাইছেন পৃথিবী এবং সৌরজগতের অন্য গ্রহগুলোর সৃষ্টি সম্পর্কেও৷
এ বিষয়ে বিজ্ঞান সাময়িকী ইকারুসে প্রকাশিত নিবন্ধের মূল লেখক ও লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কার্ল মারে বলেন, ‘‘এর আগে এ রকম কিছু আমরা আর দেখিনি৷ আমরা যা দেখছি, তা হয়তো একটি চাঁদের জন্ম, যখন সেটি সবেমাত্র শনির বলয় ছেড়ে নিজের বলয় তৈরি করে নিতে শুরু করেছে৷''
নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরোটরির গবেষক লিন্ডা স্পিকার জানান, ২০১৬ সাল নাগাদ কাসিনি শনির বলয়ের কাছাকাছি পৌঁছাবে৷ তখন হয়ত আরো ভালোভাবে পেগির ওপর নজর বোলানোর সুযোগ মিলবে৷
গত আট বছর ধরে শনিকে ঘিরে অনুসন্ধান চালিয়ে আসছে ক্যাসিনি৷ এই গ্রহকে ঘিরে ৭৪ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বলয়ের কারণে সবসময়ই জ্যোর্তিবিদদের বাড়তি মনোযোগ পেয়েছে শনি৷
জেকে/ডিজি (রয়টার্স, নাসা)