1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শনির চাঁদেও বইছে সাগর

৬ এপ্রিল ২০১৪

পৃথিবীর বাইরে যে ক’টি জায়গায় এ পর্যন্ত জলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে যুক্ত হলো নতুন এক নাম – এনসেলাডাস৷ সূর্য থেকে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ শনিকে প্রদক্ষিণ করছে এই উপগ্রহ৷

নাসার এই ছবিতে শনি গ্রহের চাঁদ এনসেলাডাসের ভেতরের সম্ভাব্য ছবিটা দেখা যাচ্ছেছবি: picture-alliance/AP

সূর্য থেকে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ শনিকে প্রদক্ষিণ করছে ৫০০ কিলোমিটার চওড়া এই উপগ্রহ৷ তারই দক্ষিণ মেরুতে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বরফের নিচে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীর এক সাগরে বইছে তরল জল৷

গত আট বছর ধরে শনিকে ঘিরে অনুসন্ধান চালিয়ে আসা নাসার মহাকাশযান ক্যাসিনির পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ আর যেহেতু পানি থাকলে প্রাণ বিকাশের সম্ভাবনা জোরালো হয়, সেহেতু এনসেলাডাসের এই সাগর রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে গবেষকদের মধ্যে৷

এর আগে ক্যাসিনির পাঠানো ছবি থেকে জানা গিয়েছিল, এনসেলাডাসের দক্ষিণ মেরু থেকে বাষ্পের আকারে জলকণা ছড়িয়ে পড়ছে উপগ্রহটির আকাশে৷ আর সেই বাষ্পে রয়েছে লবণ ও বিভিন্ন জৈব যৌগ, যা প্রাণের প্রাথমিক বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷

এটিও নাসার পাঠানো ছবিছবি: picture-alliance/AP

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষক ডেভিড স্টিভেনসন জানান, খুব সম্ভবত শনি এবং এর উপগ্রহগুলোর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানাপড়েনে সৃষ্ট উত্তাপ থেকেই এনসেলাডাসের এই সাগরের জন্ম৷ ক্যাসিনির পাঠানো তথ্যে কম্পিউটার সিমুলেশন তৈরির পর এমনটাই ধারণা হয়েছে বিজ্ঞানীদের৷

আর বরফে ঢেকে থাকা এই সাগরের তলদেশ ছুঁয়েছে এনসেলাডাসের মূল পাথুরে স্তর৷ যা প্রাণের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির সম্ভাবনা আরো জোরালো করেছে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী জনাথন লুনিনি

জ্যোতির্বিদ্‌ উইলিয়াম হারশেল ১৭৮৯ সালে শনির এই উপগ্রহটি আবিষ্কার করেন৷ শনিরই সবচেয়ে বড় চাঁদ টাইটান এবং বৃহস্পতির ইউরোপা ও গ্যানিমেড-এ আগেই পানির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ অবশ্য এর মধ্যে কেবল এনসেলাডাসের সাগরই শিলাস্তরের সংস্পর্শে রয়েছে৷

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে লুনিনি বলেন, ‘‘এনসেলাডাস আর ইউরোপা – কোথায় প্রাণের বিকাশের সম্ভাবনা বেশি – তা বলা সম্ভব নয়৷ দুটোতেই থাকতে পারে, আবার কোনোটিতে নাও থাকতে পারে৷ আমার মনে হয়, ক্যাসিনির মিশন শেষ হয়ে গেলে আমাদের দুই জায়গাতেই নতুন ধরনের মহাকাশযান পাঠাতে হবে, এনসেলাডাসের সাগর আবিষ্কার আমাদের সে কথাই বলছে৷''

জেকে / এসবি (রয়টার্স/ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ