1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শপথ নিলেন স্টাইনমায়ার

২২ মার্চ ২০১৭

প্রাজ্ঞ ও জনপ্রিয় রাজনীতিক হিসেবেই সকলে তাঁকে চেনে৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম ভাষণে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানকে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার৷

প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিচ্ছেন স্টাইনমায়ার
ছবি: Getty Images/AFP/T. Schwarz

বুধবার বার্লিনের একটি অনুষ্ঠানে জার্মানির দ্বাদশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হলেন ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার৷ তিনি দায়িত্ব নিলেন ইওয়াখিম গাউকের কাছ থেকে৷

তাঁর বক্তৃতায় স্টাইনমায়ার এর্দোয়ানের প্রতি ‘‘অকথ্য নাৎসি তুলনাগুলি বন্ধ’’ করার আহ্বান জানান৷ স্টাইনমায়ার বলেন, ‘‘তুরস্কের সঙ্গে যারা অংশীদারিত্ব করতে চায়, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করবেন না৷ আইনের শাসন এবং মিডিয়া ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতাকে মেনে চলুন৷ এবং ডেনিজ ইউচেলকে মুক্তি দিন৷’’

জার্মানিতে তুর্কি মন্ত্রীদের জনসভা করার একাধিক প্রচেষ্টা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বাধানিষেধের কারণে বানচাল হবার পর থেকে আংকারা জার্মান রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে ‘‘নাৎসি পদ্ধতি’’ প্রয়োগ করার অভিযোগ করে আসছে৷ এছাড়া তুরস্ক যে জার্মান ‘ডি ভেল্ট’ পত্রিকার জার্মান-তুর্কি সাংবাদিক ডেনিজ ইউচেলকে ‘‘সন্ত্রাসবাদী অপপ্রচার’’-এর দায়ে গ্রেপ্তার করেছে, জার্মানিতে জনমত তাতে বিশেষভাবে ক্ষিপ্ত৷

জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক

স্টাইনমায়ার গত দু'দশক ধরে জার্মান রাজনীতিতে একটি সুপরিচিত নাম৷ সবশেষে তিনি বার্লিনের জোট সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ছিলেন, সিডিইউ-সিএসইউ-এসপিডি জোটের দ্বিতীয় শাসনকালেও তিনি ঐ পদে বহাল থাকেন৷

জার্মানির বহু মানুষের কাছে ৬১-বছর-বয়সি স্টাইনমায়ার হলেন জার্মান কূটনীতির মুখ৷ অন্যান্য পদের মধ্যে তিনি সাবেক চ্যান্সেলর গেয়ারহার্ড শ্র্যোডারের আমলে চ্যান্সেলরের দপ্তরের প্রধান ছিলেন এবং এসপিডি দল বিরোধীপক্ষে থাকাকালীন তিনি দলের সংসদীয় গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন৷

ম্যার্কেলের বৃহৎ জোটে কাজ করার ফলে স্টাইনমায়ার সিডিইউ-সিএসইউ দলের শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন, তাঁর কূটনৈতিক অভিজ্ঞতার কথা বলাই বাহুল্য, এছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তিনি সুপরিচিত ও সুপ্রশংসিত৷

স্টাইনমায়ারের এই সুনাম বারংবার জরিপে প্রমাণ হয়েছে৷ বহু বছর ধরে স্টাইনমায়ার জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিকদের মধ্যে মনোনীত হয়ে আসছেন৷ স্টাইনমায়ারের এই জনপ্রিয়তা দৃশ্যত সিডিইউ-সিএসইউ দলকে তাঁর মনোনয়ন সমর্থন করার প্রেরণা দেয়৷

নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের এক ছুতোরের সন্তান স্টাইনমায়ার ২০০৯ সালে চ্যান্সেলর হবার প্রচেষ্টায় ম্যার্কেলের কাছে পরাজিত হন৷ তার পর থেকেই অনেকে ধরে নিয়েছিলেন যে, স্টাইনমায়ার একদিন না একদিন প্রেসিডেন্ট হবেন৷ তবে তার আগে স্টাইনমায়ারকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিমানে চার লাখ কিলোমিটার উড়তে হয়েছে৷

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও স্টাইনমায়ারকে ‘প্রেসিডেন্ট সুলভ’ পদ্ধতিতে শান্ত ও বদান্য থাকতে দেখা গেছে৷ তিনি ছিলেন সর্বদা সম্প্রীতির পক্ষে, যেমন ইউক্রেন সংঘাতে তিনি কিয়েভ আর মস্কোর মধ্যে ‘শাটল ডিপ্লোমেসি’ করে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন৷

তবে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে স্টাইনমায়ারকে একবার বলতে শোনা গেছে যে, ট্রাম্প একজন ‘‘হেট প্রিচার’’-এর সমতুল৷ পরে তিনি যোগ করেন যে, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি হলো ‘‘পুরনো বিশ্ব ব্যবস্থার অন্ত৷’’

রিচার্ড এ. ফুক্স/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ