দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে জার্মানির এক দিক দিয়ে মিল রয়েছে৷ সেটা হচ্ছে, দুটো দেশই একসময় যুদ্ধবিধ্বস্ত ছিল, ছিল বিভক্ত৷ পরে সেখান থেকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নতি করেছে৷ দুই জার্মানি একত্রিত হলেও কোরিয়া এখনো বিভক্ত৷ জার্মানির এই সফলতার কাহিনি ‘মিরাকল অন দ্য রাইন' নামে পরিচিত৷ আর দক্ষিণ কোরিয়ার গল্প পরিচিত ‘মিরাকল অন দ্য হান' নামে৷ জার্মানির বিখ্যাত নদী যেমন রাইন, দক্ষিণ কোরিয়ার তেমন হান৷
১৯৫০ থেকে ৫৩৷ এই তিন বছর ধরে চলা কোরীয় যুদ্ধের পর দক্ষিণ কোরিয়া ছিল বিধ্বস্ত এক দেশ৷ সেখান থেকে তারা এখন এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ৷ বিশ্বমঞ্চেও তাদেরকে প্রথম সারির দেশ হিসেবে ধরা হয়৷ যদিও বিশ্ব আর্থিক মন্দার কারণে রপ্তানি বাজারে ধস বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতির দিন কিছুটা খারাপ যাচ্ছে৷
দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক অগ্রগতির পেছনে অবদান ছিল গুন-শে' বাবা পার্ক চুং-হি'র৷ সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতায় এসে তিনি প্রায় ১৮ বছর দেশ চালিয়েছেন৷
শপথ নেয়ার পর দেয়া বক্তৃতায় গুন-শে আবারও অর্থনীতির সুদিন ফিরিয়ে আনতে চান৷ তিনি বলেন তাঁর সরকার ‘ক্রিয়েটিভ ইকোনমি' গড়ে তুলতে কাজ করবে৷ এর মানে হচ্ছে, উৎপাদনভিত্তিক অর্থনীতি থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক অর্থনীতির দিকে যাবে দক্ষিণ কোরিয়া৷
নিজের দেশ ছাড়াও উত্তর কোরিয়া নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন গুন-শে৷ তিনি বলেন উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি সমগ্র কোরীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য হুমকিস্বরূপ৷ তাই তিনি পিয়ংইয়ংকে অবিলম্বে এই কর্মসূচি থেকে সরে আসতে বলেছেন৷
গুন-শে বলেন উত্তর কোরিয়ার এমনিতেই সম্পদের সংকট রয়েছে৷ বোমা বানিয়ে সেই সম্পদ না কমিয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে তা কাজে লাগানো উচিত বলে মনে করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট৷
এর আগে ২০০২ সালে গুন-শে উত্তর কোরিয়ার তৎকালীন নেতা কিম জং-ইলের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও পরমাণু কর্মসূচি প্রত্যাহারে আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ এর বিনিময়ে পিয়ংইয়ংকে অর্থ সহায়তা ও তাদের সঙ্গে বাণিজ্য করারও প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি৷
হালের সেনসেশন দক্ষিণ কোরিয়ার ব়্যাপার সাই গুন-শে'র শপথ অনুষ্ঠানে তাঁর বিখ্যাত গ্যাংনাম স্টাইল নাচগান পরিবেশন করেন৷
জেডএইচ / এসবি (এএফপি, রয়টার্স)