1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শব্দ শুনে পণ্য কেনা

২৮ মার্চ ২০১৬

ভ্যাকুয়াম ক্লিনার থেকে শুরু করে মোটরগাড়ি – আমরা এ সব কিছু শুধু চোখে দেখে নয়, কানে শুনে কিনি! তাই আধুনিক সভ্যতায় মোটর যুক্ত যে কোনো পণ্যের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ তার সাউন্ড, যে কাজে সাউন্ড ডিজাইনারদের চাই-ই চাই...৷

রেকর্ডিং স্টুডিয়ো
প্রতীকী ছবিছবি: Getty Images/AFP/S. Marai

প্রত্যেকটি ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের আওয়াজ আলাদা৷ তার কারণ: সাউন্ড ডিজাইন৷ এমনভাবে তৈরি করা সাউন্ড, যা আমাদের ভালো লাগবে, কাজেই পণ্যটি কিনতে ইচ্ছে করবে৷ ড. একার্ন আল্টিনোসয় জানান, ‘‘যখন আমরা বিভিন্ন পণ্য পরখ করি, তখন আমরা একটা ইতিবাচক ফিডব্যাক চাই৷ যখন আমি আমার কফি মেশিনটা চালু করি, তখন আমি জানতে চাই, তা ঠিকমত কাজ করছে কিনা৷ কাজেই সাউন্ড অসিলেশন-গুলো মডিউলেট করে আমরা পণ্য আর ক্রেতার মধ্যে অপটিমাল কমিউনিকেশন গড়ে তুলতে চাই৷ যে ফ্রিজ ঠিকমত কাজ করছে, তার কোনো শব্দবহ বার্তা পাঠানোর দরকার নেই৷ ফ্রিজটা যত কম শব্দ করে, ততই ভালো৷''

ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরিতে গ্লাস উল ভরা বস্তা দিয়ে বাইরের যা কিছু শব্দ শুষে নেওয়া হয়৷ শব্দ বিশেষজ্ঞরা শুধুমাত্র তারা যেটা পরীক্ষা করছেন, সেইটুকুই শুনতে পান৷

এছাড়া জলের ওপর অতি মৃদু কম্পনও ধরা পড়ে৷ ড. একার্ন আল্টিনোসয়ের কথায়, ‘‘ডিশওয়াশার-দের যেমন আওয়াজ করলে চলবে না৷'' বলা বাহুল্য, অসিলেশন বা দোলন যত বেশি হবে, ততই ডিশওয়াশার-এর আওয়াজ বেশি হবে৷ যার ফলে খদ্দেররা ঘাবড়ে যেতে পারেন৷

অসিলেশন যেখানে হচ্ছে, সেখানে চুম্বক আর শব্দরোধী পদার্থ বসিয়ে বাড়তি আওয়াজ অনায়াসে কমানো যেতে পারে৷ কিচেন অ্যাপ্লায়ান্স-এর আওয়াজ হতে হবে সুমধুর, আস্থা উদ্দীপক৷ প্রত্যেকটি পণ্যের জন্য একটা আলাদা সাউন্ড কম্পোজিশন থাকে৷

বিশেষ করে মোটরগাড়ির ক্ষেত্রে! হাল আমলের একটা গাড়িতে শব্দের প্রায় চারশ উৎস থাকে৷ তাদের সব ক'টিকে আলাদা আলাদা করে চেনবার মতো, এছাড়া শুনতে ভালো হওয়া চাই৷ এছাড়া তাদের ঠিক খবরটাও দিতে হবে, কেননা গাড়িতে আমরা অনেক সময় শুধু কানে শুনেই অবস্থা বুঝে নিই৷

ড. একার্ন আল্টিনোসয় বলেন, ‘‘একটা মাঝারি সাইজের গাড়িতে আজকাল ৭০টা ইলেকট্রিক মোটর থাকে৷ যেমন ইলেকট্রিক উইন্ডোর আওয়াজ উইন্ডস্ক্রিন ওয়াইপারের আওয়াজের থেকে আলাদা হওয়া চাই৷ কেননা আমরা দেখতে পাই যে, উইন্ডস্ক্রিন ওয়াইপার কাজ করছে, আমাদের সেটা শোনার দরকার নেই৷ ইলেকট্রিক উইন্ডোর ক্ষেত্রে আমাদের শব্দটা শোনা দরকার, কেননা আমরা সামনের দিকে তাকিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি৷''

রিভারবারেশন রুমে গাড়ির সিট টেস্ট করা হয়৷ আপহলস্ট্রি শব্দ শুষে নেয়, কাজেই সাউন্ড ডিজাইনের সময় সেটাও মনে রাখা দরকার৷ আপহলস্ট্রির উপর নানা ফ্রিকোয়েন্সি টেস্ট করে দেখা হয়, কোন সাউন্ডটা ঠিক শোনাচ্ছে৷ অনুচ্চ ধ্বনিগুলোও গ্রাহকদের প্রিয়, কেননা তা থেকে তারা আরাম বোধ করেন৷ ড. একার্ন আল্টিনোসয়ের ভাষায়, ‘‘আজকাল গাড়িতে নানা ধরনের ‘ডিজাইন করা' সাউন্ড থাকে, যা শুনে গ্রাহকদের মনে বিভিন্ন অনুভূতি হয় ও তারা নানা ধরনের খবর পান৷''

পরীক্ষাগারেও তাই: শোনা, দেখা আর অনুভূতি, সব কিছু একসঙ্গে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷ ভার্চুয়াল রাস্তায় গাড়ি চলেছে, সিটটা কাঁপছে যেন একটা স্পোর্টস কারের মতো!

আসলে আমাদের কানই আমাদের বলে দিচ্ছে: গাড়িটা খুব ভালো, তুমি এটা কিনতে পারো...৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ