ভ্যাকুয়াম ক্লিনার থেকে শুরু করে মোটরগাড়ি – আমরা এ সব কিছু শুধু চোখে দেখে নয়, কানে শুনে কিনি! তাই আধুনিক সভ্যতায় মোটর যুক্ত যে কোনো পণ্যের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ তার সাউন্ড, যে কাজে সাউন্ড ডিজাইনারদের চাই-ই চাই...৷
বিজ্ঞাপন
প্রত্যেকটি ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের আওয়াজ আলাদা৷ তার কারণ: সাউন্ড ডিজাইন৷ এমনভাবে তৈরি করা সাউন্ড, যা আমাদের ভালো লাগবে, কাজেই পণ্যটি কিনতে ইচ্ছে করবে৷ ড. একার্ন আল্টিনোসয় জানান, ‘‘যখন আমরা বিভিন্ন পণ্য পরখ করি, তখন আমরা একটা ইতিবাচক ফিডব্যাক চাই৷ যখন আমি আমার কফি মেশিনটা চালু করি, তখন আমি জানতে চাই, তা ঠিকমত কাজ করছে কিনা৷ কাজেই সাউন্ড অসিলেশন-গুলো মডিউলেট করে আমরা পণ্য আর ক্রেতার মধ্যে অপটিমাল কমিউনিকেশন গড়ে তুলতে চাই৷ যে ফ্রিজ ঠিকমত কাজ করছে, তার কোনো শব্দবহ বার্তা পাঠানোর দরকার নেই৷ ফ্রিজটা যত কম শব্দ করে, ততই ভালো৷''
ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরিতে গ্লাস উল ভরা বস্তা দিয়ে বাইরের যা কিছু শব্দ শুষে নেওয়া হয়৷ শব্দ বিশেষজ্ঞরা শুধুমাত্র তারা যেটা পরীক্ষা করছেন, সেইটুকুই শুনতে পান৷
যে সাতটি জার্মান পণ্য ‘অমর’
জার্মানি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ এমনিতেই হয়নি৷ দেশটির বিভিন্ন উদ্ভাবন গোটা বিশ্বে সাড়া জাগিয়েছে৷ কিছু উদ্ভাবন হয়ত পুরনো হয়ে গেছে, কিন্তু সেগুলোর ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে বড় ব্যবসা৷
ছবি: Fotolia/PRILL Mediendesign
সবসময় দাদিদের পারফিউম
জার্মানির অধিকাংশ মানুষ মনে করেন ‘৪৭১১ ও ডি কোলন’ হচ্ছে দাদিদের পারফিউম৷ মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম একথা বলছে৷ অর্থাৎ তারাও সেটা ব্যবহার করছে৷ কোলনে তৈরি এই পারফিউমটি বিক্রি হচ্ছে সেই আঠারো শতক থেকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দি জেডথ্রি কম্পিউটার
বিশ্বের প্রথম প্রোগ্রামেবল ডিজিটাল কম্পিউটার – জেডথ্রি তৈরি করেছেন জার্মান কম্পিউটার পাইওনিয়ার কনরাড সুসে৷ ১৯৪১ সালে এটি তৈরি করেন তিনি৷
ছবি: DW
কর্কের স্যান্ডেল
বিএমডাব্লিউ যুক্তরাষ্ট্রেও কিংবা ফল্কসভাগেন চীনেও তৈরি হয়, কিন্তু বিয়র্কেনস্টক স্যান্ডেল শুধু জার্মানিতে তৈরি হয়৷ গত ২৩০ বছর ধরে চাহিদা ধরে রেখেছে এই স্যান্ডেল৷ ১৯৬০ সাল থেকে বিদেশে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হচ্ছে এগুলো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এমপিথ্রি ফাইল ফরম্যাট
গত দশকের আশির দশকে ডক্টরাল স্টুডেন্ট হিসেবে ডিজিটাল মিউজিক নিয়ে কাজ করেছিলেন কার্লহাইনৎস ব্রান্ডেনবুর্গ৷ তাঁর এবং অন্যদের কাজের ভিত্তিতে ১৯৯৪ সালে প্রথম সফটওয়্যার এমপিথ্রি এনকোডার প্রকাশ করে ফ্রাউয়েনহোফার ইন্সটিটিউট৷ এরপর গোটা বিশ্বের জনপ্রিয়তা পায় এই ফরম্যাট৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অ্যাসপিরিন
বায়ার এজি ১৮৯৭ সালে একটি কৃত্রিম মেডিসিন তৈরি করে এবং নাম দেয় অ্যাসপিরিন৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাষ্ট্রে এটির ট্রেডমার্ক হারায় বায়ার৷ তবে এখনো ৮৩টির বেশি দেশে অ্যাসপিরিনের ট্রেডমার্ক প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
স্পার্ক প্লাগ
একজন ফরাসি ইলেকট্রিক স্পার্ক প্লাগ আবিষ্কার করেছিলেন৷ তবে জার্মানির রবার্ট বশ ১৮৯৮ সালে প্রথম স্পার্ক প্লাগ নির্ভর সম্পূর্ণ অটোমোটিভ ইগনিশেন সিস্টেম তৈরি করে৷ বর্তমানে বিশ্বে অটোমোটিভ ইন্ডাস্ট্রিতে কম্পাউন্ড সরবরাহের ক্ষেত্রে অন্যতম হচ্ছে বশ৷
ছবি: picture alliance/David Ebener
কুকু ক্লক
১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট অঞ্চলে কুটির শিল্পে পরিণত হয় কুকু ক্লক৷ এরপর তাতে বিভিন্ন সময় নতুন নতুন ডিজাইন যোগ হয়েছে৷ তবে শব্দ করার যে পদ্ধতি তাতে পরিবর্তন আসেনি৷ এখনো ব্যাপক হারে বিক্রি হচ্ছে এই ঘড়ি৷
ছবি: Fotolia/PRILL Mediendesign
7 ছবি1 | 7
এছাড়া জলের ওপর অতি মৃদু কম্পনও ধরা পড়ে৷ ড. একার্ন আল্টিনোসয়ের কথায়, ‘‘ডিশওয়াশার-দের যেমন আওয়াজ করলে চলবে না৷'' বলা বাহুল্য, অসিলেশন বা দোলন যত বেশি হবে, ততই ডিশওয়াশার-এর আওয়াজ বেশি হবে৷ যার ফলে খদ্দেররা ঘাবড়ে যেতে পারেন৷
অসিলেশন যেখানে হচ্ছে, সেখানে চুম্বক আর শব্দরোধী পদার্থ বসিয়ে বাড়তি আওয়াজ অনায়াসে কমানো যেতে পারে৷ কিচেন অ্যাপ্লায়ান্স-এর আওয়াজ হতে হবে সুমধুর, আস্থা উদ্দীপক৷ প্রত্যেকটি পণ্যের জন্য একটা আলাদা সাউন্ড কম্পোজিশন থাকে৷
বিশেষ করে মোটরগাড়ির ক্ষেত্রে! হাল আমলের একটা গাড়িতে শব্দের প্রায় চারশ উৎস থাকে৷ তাদের সব ক'টিকে আলাদা আলাদা করে চেনবার মতো, এছাড়া শুনতে ভালো হওয়া চাই৷ এছাড়া তাদের ঠিক খবরটাও দিতে হবে, কেননা গাড়িতে আমরা অনেক সময় শুধু কানে শুনেই অবস্থা বুঝে নিই৷
ড. একার্ন আল্টিনোসয় বলেন, ‘‘একটা মাঝারি সাইজের গাড়িতে আজকাল ৭০টা ইলেকট্রিক মোটর থাকে৷ যেমন ইলেকট্রিক উইন্ডোর আওয়াজ উইন্ডস্ক্রিন ওয়াইপারের আওয়াজের থেকে আলাদা হওয়া চাই৷ কেননা আমরা দেখতে পাই যে, উইন্ডস্ক্রিন ওয়াইপার কাজ করছে, আমাদের সেটা শোনার দরকার নেই৷ ইলেকট্রিক উইন্ডোর ক্ষেত্রে আমাদের শব্দটা শোনা দরকার, কেননা আমরা সামনের দিকে তাকিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি৷''
জীবনযাপন সহজ করেছে যেসব পণ্য
জীবনযাপনের শৃঙ্খলা অনেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ সেটা ঘরে হোক কিংবা বাইরে৷ বিংশ শতাব্দীর শুরুতে তাই ডিজাইনাররা মানুষের জীবনে শৃঙ্খলা আনতে বিভিন্ন ডিজাইন শুরু করেন, যা ‘সিস্টেম ডিজাইন’ নামে পরিচিত৷ চলুন সেগুলো দেখা যাক৷
ছবি: MAKK/Jonas Schneider/Gabriel Richter
ছোট, তবে কাজের
১৯২১ সালে তৈরি এই সুইস নাইফ এখনো কার্যকর এক বস্তু হিসেবে টিকে আছে৷ এটি দিয়ে শুধু রুটি কাটা নয়, ওয়াইনের বোতলও খোলা যায়৷ আরো অনেক কাজে লাগে সুইস নাইফ৷ ‘সিস্টেম ডিজাইন’ হিসেবে কোলনের মিউজিয়াম অফ অ্যাপ্লাইড আর্টসে প্রদর্শিত হচ্ছে পণ্যটি৷ ১৫০টির মতো এ রকম পণ্য জায়গা পেয়েছে প্রদর্শনীতে৷
ছবি: MAKK / Foto: Jonas Schneider, Gabriel Richter
শিল্প প্রক্রিয়া
ডিজাইনার মার্সেল ব্রাওয়ার ১৯২৫ সালে ছোট টেবিল তৈরি করেন৷ পরবর্তীতে বিভিন্ন সাইজে এটি বাজারে ছাড়া হয়েছে৷ তবে এখনো বেশ জনপ্রিয় এগুলো৷
ছবি: Thonet GmbH
স্ট্যাইলিশ ব্যবস্থা
১৯৫৫ সালে সরানো যায় এমন টেবিল ও রেডিওসহ টেলিভিশন বাজারে আসা৷ এটা ঘরের যে কোনো জায়গায় যে কোনো সময় বসানোর সুযোগ আছে৷ এ ধরনের পণ্য মানুষকে ঘরের সাজগোজ সম্পর্কে নতুন করে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে৷
ছবি: MAKK / Foto: Jonas Schneider, Leon Hofacker
ক্লাসিক খেলনা
প্রত্যেক শিশুই এই খেলনার সঙ্গে পরিচিত৷ লেগো একটির সঙ্গে অন্যটি জুড়ে যে কোনো কিছু গড়া যায়৷ ১৯৫৮ সালে এই খেলনা গোটা বিশ্বের ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়৷ এখনো সেই জনপ্রিয়তা রয়ে গেছে৷
ছবি: MAKK / Foto: Jonas Schneider, Leon Hofacker
ক্যাফেটেরিয়ার জন্য
ক্যাফেটেরিয়ায় একসঙ্গে অনেক মানুষ খাওয়া-দাওয়া করেন৷ তাদের জন্য এই ডিশের সেটটি তৈরি করা হয়েছিল৷ সুবিধা হচ্ছে এগুলোর ডিজাইন প্রায় একইরকম এবং রাখার জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না৷
ছবি: HfG-Archiv Ulm
ফার্নিচারের জন্য সুবিধাজনক জায়গা
গত শতকের ষাটের দশকে তৈরি এই ‘৬০৬’ সেল্ফ ফার্নিচারের জগতে অন্যতম সেরা আবিষ্কার হিসেবে বিবেচিত৷ পরিষ্কার শেপ, সোজা লাইন এবং অনমনীয় তাকগুলো সেল্ফটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে৷
ছবি: MAKK / Foto: Jonas Schneider, Gabriel Richter
অভিভাবক এবং বাচ্চাদের জন্য ডিজাইন
রঙিন এই প্লাস্টিকের চেয়ারগুলো তৈরি করেছেন ইটালির ডিজাইনার মার্কো জানুসো এবং তাঁর জার্মান সহকর্মী রিচার্ড সাপের৷ বাচ্চাদের এই চেয়ারগুলো একটির সঙ্গে অন্যটি জোড়া যায়৷ ফলে রাখা কিংবা পরিবহন দু’টোই বেশ সহজ৷
ছবি: MAKK / Foto: Jonas Schneider, Gabriel Richter
চারজনের জন্য
দেখের বলের মতো মনে হলেও এখানে চারজন মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় থালা-বাসন এভাবে রাখা আছে৷ ভিলেরয় এবং বশ-এর তৈরি এই সেটটি কম জায়গায় বেশি জিনিস রাখার এ উৎকৃষ্ট উদাহরণ৷
ছবি: MAKK / Foto: Jonas Schneider, Gabriel Richter
8 ছবি1 | 8
রিভারবারেশন রুমে গাড়ির সিট টেস্ট করা হয়৷ আপহলস্ট্রি শব্দ শুষে নেয়, কাজেই সাউন্ড ডিজাইনের সময় সেটাও মনে রাখা দরকার৷ আপহলস্ট্রির উপর নানা ফ্রিকোয়েন্সি টেস্ট করে দেখা হয়, কোন সাউন্ডটা ঠিক শোনাচ্ছে৷ অনুচ্চ ধ্বনিগুলোও গ্রাহকদের প্রিয়, কেননা তা থেকে তারা আরাম বোধ করেন৷ ড. একার্ন আল্টিনোসয়ের ভাষায়, ‘‘আজকাল গাড়িতে নানা ধরনের ‘ডিজাইন করা' সাউন্ড থাকে, যা শুনে গ্রাহকদের মনে বিভিন্ন অনুভূতি হয় ও তারা নানা ধরনের খবর পান৷''
পরীক্ষাগারেও তাই: শোনা, দেখা আর অনুভূতি, সব কিছু একসঙ্গে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷ ভার্চুয়াল রাস্তায় গাড়ি চলেছে, সিটটা কাঁপছে যেন একটা স্পোর্টস কারের মতো!
আসলে আমাদের কানই আমাদের বলে দিচ্ছে: গাড়িটা খুব ভালো, তুমি এটা কিনতে পারো...৷
সহজ জীবনযাপনের শিল্প
প্রতি বছরের মতো এবারও জার্মানির কোলন শহরে বসেছে ইন্টারনাৎসোনালে ম্যোবেল মেসে (আইএমএম) বা আন্তর্জাতিক ফার্নিচার মেলা৷ ছবিঘরে দেখে নিন এই মেলায় প্রদর্শিত কিছু অভিনব ডিজাইন৷
ছবি: DW/B. Görtz
গল্প বলা তাঁবু
দূরের কোনো দেশের কথা মনে করিয়ে দেয়া, কোনো ইচ্ছে পূরণের প্রতীক, কোনো স্বপ্ন, কোনো সংস্কৃতিকে তুলে ধরে – এমন তাঁবুতে বাস করা মন্দ কী! আলেকসান্ডার সাইফ্রাইড অসম্ভব সুন্দর এই ‘কারগাহ তাঁবু’ তৈরি করেছেন উত্তর আফগানিস্তানের এক ধরণের ঘরের আদলে৷ জার্মান কোম্পানি রিচার্ড লাম্প্যার্টের জন্য নির্মাণ করা এই অভিনব ঘরটির পেছনের ভাবনাটা হলো, যেখানে তাঁবু ফেলা যায়, সেখানেই বাস করতে পারেন আপনি৷
ছবি: DW/B. Görtz
যেন স্বপ্ন দেখছি...
জেন ভরথিংটন ডাচ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান লেওলুক্সের জন্য তৈরি করেছেন সোফার মতো এই দোলনাটি৷ তাঁর এই ডিজাইন কোলনের আন্তর্জাতিক ফার্নিচার মেলায় ‘ইন্টেরিয়র ইনোভেশন’ অ্যাওয়ার্ড জিতেছে৷ মেলায় পুরো জানুয়ারি মাস জেনের এই স্বপ্নের ঘোর লাগানো সোফা প্রদর্শিত হবে৷
ছবি: DW/B. Görtz
সময় পেরিয়ে...
এমন চেয়ারের আদি ডিজাইনার চার্লস এমেস এবং তাঁর স্ত্রী রে৷ ডিজাইন কবে করা হয়েছিল ৬০ বছরেরও বেশি আগে! পরবর্তীতে অন্য ডিজাইনাররা নিজেদের কল্পনার তুলির আঁচড়ে চার্লস আর রে দম্পতির সৃষ্টিকে নতুন জীবন দিয়েছেন বহুবার৷ তার দিয়ে তৈরি ছবির এই চেয়ারগুলোও চার্লস-রে দম্পতির কাজ থেকে প্রেরণা নিয়েই করা৷ ফার্নিচার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভিত্রা-র জন্য দেখতে সহজ অথচ চমৎকার ডিজাইনটি করেছেন ডিটার থীল৷
ছবি: DW/B. Görtz
ডেনিশ আকর্ষণ
মেলার গত আসরে তাঁরা ছিলেন না৷ সবাই খুব মিস করেছেন তাঁদের৷ তবে এবার স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ডিজাইন নিয়ে পূর্ণ মহিমায় ফিরে এসেছেন গুবি, মুটো, নরমান কোপেনহাগেনের মতো অনেকে৷ ওসব দেশের ফার্নিচারের বিশেষ একটা বিশেষত্ত হলো, সাধারণভাবে খুব সুন্দর আসবাবগুলো ছোট কোনো ঘরেও ব্যবহার করা যায়৷ এই সোফাগুলোই দেখুন, কাঠ আর অন্য কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা সোফাগুলোকে আকারে একেবারেই বড় বলা যাবে না৷
ছবি: DW/B. Görtz
আলোর মজা
ঘটনাক্রমে এই আসবাবপত্রের ডিজাইনারও ডেনিশ এবং এটিও খুব পুরোনো৷ ডিজাইনারের নাম ভ্যার্নার পান্টন৷ গত প্রায় ৫০ বছর ধরে কোলন আন্তর্জাতিক ফার্নিচার মেলায় বেশ নাম করেছেন তিনি৷ তাঁর ডিজাইন করা ‘ফান’ বা ‘মজা’ নামের ল্যাম্পটি আজও ‘বেস্ট সেলার’৷
ছবি: DW/B. Görtz
সবুজ বাস
লতানো গাছের আদলে বাতি৷ সবুজ লতা-পাতার পাশে সাদা ফুল, ফল হয়ে জ্বলন্ত এই বাতি এবারের আন্তর্জাতিক ফার্নিচার মেলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে৷ আলোর সঙ্গে ক্যানাডিয়ান নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বোচির নামও ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র৷
ছবি: DW/B. Görtz
সবুজ নিদ্রা
ইটালিয়ান ডিজাইনার কাপো ডি’অপেরার ডিজাইন করা এই বিছানা দেখলে কি মনে হয়, প্রচুর টাকা খরচ করে চোখধাঁধানো কোনো শয্যা তৈরির কোনো মানে আছে? কাপো আসলে বুনো পরিবেশের ছিমছাম একটা শয্যাও যে মুগ্ধ করতে পারে, তা-ই দেখাতে চেয়েছেন৷ বিছানার চাদর এলোমেলো৷ দেখে মনে হয় এই বুঝি কেউ কয়েক মুহূর্তের জন্য বিছানা ছেড়ে গেলেন, এক্ষুনি আবার ফিরে আসবেন৷
ছবি: DW/B. Görtz
একই উৎস থেকে
সার্বিয়ার ডিজাইনাররা এলইডি প্রযুক্তিকে আরেকটু এগিয়ে নিয়ে এমন এক লাইট তৈরি করেছেন যার অভাব মেটাতে গেলে হয়ত একই ঘরে অনেকগুলো লাইট ব্যবহার করতে হবে৷ এই বাতির উৎস একটাই৷ এক জায়গা থেকেই বেরিয়েছে অনেকগুলো বাতি৷ দামও কিন্তু অনেক৷ ৫০ হাজার ইউরো!
ছবি: DW/B. Görtz
ভবিষ্যতে এমন হবে?
এবারও মেলায় এক তরুণ ডিজাইনারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল৷ তাঁর কাজ ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ ঘরের ইন্টেরিয়র ডিজাইন করে দেখানো৷ ডেনিশ-ইংলিশ ডিজাইনার লুইস ক্যাম্পবেল দারুণ কাজ দেখিয়েছেন৷ আইডিয়াটা চমৎকার৷ একটই বিশাল ঘর৷ এক ঘরেই শোবার ঘর, খাবার ঘর, রান্নাঘর – সব৷ একেক ঘরের ডিজাইন এমনভাবে করা যাতে একই ঘর অন্য ঘরের মতোও ব্যবহার করা যায়৷ এই রান্নাঘরটাই দেখুন৷ দেখে কেমন ওয়ার্কশপ ওয়ার্কশপ মনে হয় না!