1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থী ঠেকাতে ইউরোপ-আফ্রিকার উদ্যোগ

২৮ আগস্ট ২০১৭

ইউরোপমুখী শরণার্থীদের ঢল নিয়ন্ত্রণ করতে ফ্রান্সের উদ্যোগে সোমবার মিলিত হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট দেশগুলির শীর্ষ নেতারা৷ এই সংকট কিছুটা স্তিমিত হলেও এর মোকাবিলায় বেশ কিছু সার্বিক উদ্যোগ নিতে চান তাঁরা৷

Italien Flüchtlingsdrama Lampedusa Flüchtlingsboot
ছবি: picture-alliance/ROPI

ইউরোপে শরণার্থীদের ঢল আর নাটকীয় মাত্রায় না থাকলেও এই সংকটের সমাধান এখনো দূর অস্ত৷ জাতিসংঘের সূত্র অনুযায়ী, চলতি বছরে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার শরণার্থী নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপের ভূখণ্ডে পা রেখেছে৷ আনুমানিক ২,৪০০ মানুষের পথেই মৃত্যু হয়েছে৷

ফলে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশে বিষয়টি রাজনৈতিক সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ অনেক বিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টার পর এক সার্বিক সমাধানসূত্রের লক্ষ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ সোমবার প্যারিসে আফ্রিকা ও ইইউ-র কয়েকটি দেশের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন৷ আফ্রিকার দেশ নাইজার, চাড ও লিবিয়ার জাতীয় ঐক্য সরকার ছাড়াও উপস্থিত থাকছেন জার্মানি, স্পেন ও ইটালির শীর্য নেতারা৷ ইইউ-র পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনিও এই সম্মেলনে যোগ দেবেন৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নে শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে শুধু সীমান্তে কড়াকড়ি যে যথেষ্ট নয়, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ যেসব দেশ থেকে শরণার্থীরা রওয়ানা হচ্ছে, তাদের ভূমিকাও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ৷ তাছাড়া যে কারণে শরণার্থীরা আদৌ ভিটেমাটি ছেড়ে উন্নত জীবনযাত্রার আশায় ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচ্ছে, সেই সমস্যার উৎস অন্তত কিছুটা হলেও দূর করতে হবে বলে মনে করছেন ইউরোপের কিছু নেতা৷ তাই প্যারিস সম্মেলনে আফ্রিকার দেশগুলিকে আরও উন্নয়ন সাহায্যের অঙ্গীকার করতে চায় ইইউ নেতৃত্ব৷ এভাবে কর্মসংস্থান বাড়িয়ে মানুষের মনে আশা জাগানোই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য৷ এর বদলে সেইসব দেশগুলিকে ইউরোপমুখী শরণার্থীদের ঢল নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিতে হবে৷ নাইজারের সরকার এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু সফল পদক্ষেপ নিয়েছে৷

ফ্রান্স একক উদ্যোগে আফ্রিকায় কিছু ‘হটস্পট' গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছে৷ শরণার্থীরা সেই সব কেন্দ্রে গিয়ে আইনি পথে ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন জানাতে পারবেন৷ সে ক্ষেত্রে আদম ব্যবসায়ীদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে তাদের বিপজ্জনক পথে ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিতে হবে না – এমন এক সুযোগ সৃষ্টি করতে চান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ৷ ইউরোপের যেসব এনজিও সমুদ্রে শরণার্থীদের সহায়তা করে, ইটালি তাদের জন্য এক আচরণবিধি স্থির করেছে৷

এরই মধ্যে আফ্রিকার কয়েকটি দেশের উদ্যোগের ফলে শরণার্থীদের সংখ্যা অনেকটা কমে এসেছে৷ বিশেষ করে লিবিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনী ভূমধ্যসাগরে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠায় বেআইনি পথে শরণার্থীরা ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে পারছে না৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল লিবিয়ার এই বাহিনীকে আরও সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তবে তিনি বলেন, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করলে রেহাই পাবে না৷ ২০১৫ সালে তিনি যেভাবে জার্মানির দ্বার শরণার্থীদের জন্য খুলে দিয়েছিলেন, সেই সিদ্ধান্তে আজও অটল তিনি৷ একই রকম পরিস্থিতি দেখা দিলে তিনি আবার সেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ