1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থীদের বিরুদ্ধে নগ্ন নিষ্ঠুরতা

২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অভিবাসীদের বিষয় নিয়ে আবারো উদ্বিগ্ন জার্মানি৷ সপ্তাহান্তের দু-দু'টি ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে যে জার্মানির একটা অংশ উদ্বাস্তুদের চায় না৷ তাই কখনও তারা শরণার্থীদের দুদর্দশায় হেসেছে, কখনও বা আঙুল তুলে বলেছে, ‘বাড়ি ফিরে যাও'৷

Screenshot YouTube Aggressiver Mob bedroht Flüchtlingsbus in Clausnitz
ছবি: YouTube

পূর্বাঞ্চলের স্যাক্সনি রাজ্যের ক্লাউসনিৎস শহরে অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটা বাসকে আসতে দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জনতা৷ প্রায় একশ জন স্থানীয় বাসিন্দা চড়াও হয় শরণার্থীদের ওপর, চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘আমরাই জার্মান নাগরিক', শরণার্থীদের উদ্দেশ্য করে স্লোগান দেয়, ‘বাড়ি ফিরে যাও', ‘বাড়ি যাও'৷

পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খায় পুলিশ৷ এমনকি ভীতসন্ত্রস্ত এক শরণার্থী শিশুকে টেনে-হিচড়ে বাস থেকে নামিয়েও দেয় এক পুলিশ কর্মকর্তা৷ ‘পরিস্থিতি সামাল দিতেই এমনটা করতে হয়েছিল' – ক্লাউসনিৎস শহরের পুলিশ কর্মকর্তা উভে রাইসমান এ কথা বললেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়িয়ে যায় শরণার্থী-বিরোধী জনতার ঢলের কার্যকলাপ৷ ভিডিওতে খুব স্পষ্টভাবেই ধরা পড়ে পুলিশের অমানবিক আচরণ৷

অন্য ঘটনাটি আরো মর্মান্তিক৷ শনিবার জার্মানির আরেক পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাউটজেনে প্রায় ৩০০ শরণার্থীর এক আশ্রয় শিবিরে আগুন লাগে৷ দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে যুদ্ধের কারণে ভিটেমাটি হারিয়ে জার্মানিতে আশ্রয় নেয়া শরনার্থীদের শেষ সম্বল৷ তাদের আর্তনাদে দ্রুতই জমা হতে থাকে স্থানীয় মানুষ৷ কিন্তু কোনোরকম সাহায্য করা তো দূরের কথা, বরং আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়ে তারা৷

ছবি: picture-alliance/dpa/C. Essler

যা হোক, আগুন লাগার পরপরই দমকল বাহিনী ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে৷ আশ্রয় শিবিরের ছাদটি পুরো পুড়ে গেলেও তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি৷ পুলিশের ধারণা, দাঁড়িয়ে থাকা ঐ ব্যক্তিদের মধ্যেই কেউ হয়ত আগুন লাগিয়েছিল৷

এ দু'টি ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন জার্মানির বিচারমন্ত্রী হাইকো মাস৷ পুলিশের আচরণেরও দ্রুত তদন্তের দাবি করেছেন তিনি৷ কিন্তু ক্রমবর্ধমান শরণার্থী-বিরোধীতা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে জার্মানি? অথচ ইউরোপকে কিন্তু কাঁটাতারের পেছনে দেখনে চাননি জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ শরণার্থী প্রশ্নে প্রথম থেকেই আন্তরিক তিনি৷ কিন্তু উদার উদ্বাস্তু নীতিকে কেন্দ্র করে বারে বারেই তাঁকে, তাঁর সরকারকে চাপের মধ্যে পড়তে হয়েছে, হচ্ছে এখনও৷

ডিজি/এসিবি

‘নব্য নাৎসি’ আর পুলিশদের এমন নিষ্ঠুর আচরণ দেখে আপনার অনুভূতি কী? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ