1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘শরণার্থীদের সিরিয়ায় ফিরে যাওয়া উচিত’

২০ মার্চ ২০১৮

কয়েকদিন আগে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ৮ বছরে পা দিল৷ প্রতিদিন সেখানে বোমাবর্ষণ চলছে৷ প্রাণ হাতে নিয়ে পালাচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷তারই মধ্যে এএফডি বলছে– দেশে ফিরে যাক শরণার্থীরা৷

Deutschland Pressekonferenz der Syrien-Reisegruppe der AfD in Berlin
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Stache

সিরিয়ায় তেমন কোনো সমস্যাই নেই৷ জার্মানিতে আসা সিরিয়ার শরণার্থীরা ফিরে যেতে পারেন দেশে৷ রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানালেন জার্মানির দক্ষিণপন্থি দল এএফডি'র সদস্যরা৷ সম্প্রতি নিজেদের উদ্যোগে সিরিয়ায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল এএফডি৷ সে দেশ থেকে ঘুরে এসে নিজেদের মন্তব্য জানালেন প্রতিনিধিরা৷ তাঁরা জানিয়েছেন, এ কথা ঠিক যে, সিরিয়ার বহু অঞ্চল যুদ্ধ বিদ্ধস্ত৷ কিন্তু সে দেশের বহু এলাকাই যুদ্ধের কবলের বাইরে৷ সিরিয়ার শরণার্থীরা নিজেদের দেশে ফিরে গিয়ে সে সমস্ত অঞ্চলে বসবাস করতেই পারেন৷

গত নির্বাচনে চোখে পড়ার মতো ভোট পেয়েছে এএফডি৷ সদ্য গঠিত সংসদে তারাই বিরোধী দল৷ নির্বাচনের সময় থেকেই তাদের বক্তব্য ছিল, শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত৷ শরণার্থীদের প্রতি জার্মানির দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও তারা বারংবার প্রশ্ন তুলেছে৷

কয়েক সপ্তাহ আগে এএফডি সদস্য ক্রিস্টিয়ান ব্লেক্সের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি দল গিয়েছিল সিরিয়ায়৷ সেখানে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল মুয়াল্লিম এবং মন্ত্রী আলি হায়দারের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা৷ এএফডি'র সদস্য এবং সাংসদ আরমিন পাউলুস হাম্পেল বলেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে জার্মান সরকার৷ আসাদকে অর্থ সাহায্য করতে পারে এবং শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন করতে পারে৷ তাঁর আরো বক্তব্য, জার্মান সরকার আসাদ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যাতে সরকারবিরোধী শরণার্থীদেরও সিরিয়া নিরাপদে থাকতে দেয়৷

গত ৮ বছরে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷ লক্ষ লক্ষ মানুষ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়েছেন৷ বহু মানুষ ইউরোপে এসে আশ্রয় নিয়েছেন৷ এমন পরিস্থিতিতে এএফডি'র সিরিয়া যাওয়া এবং শরণার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবির সমালোচনা করছে বাকি সব দল৷ বাম এবং সদ্য গঠিত জার্মান সরকার এর কড়া সমালোচনা করেছে৷

এসজি/এসিবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ