1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীন ও জার্মানিতে স্বাগত শরণার্থীরা

১৯ মে ২০১৬

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশানালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী বিশ্বের সংখ্যাগুরু মানুষই শরণার্থীদের সাহায্য করার পক্ষে৷ কিন্তু বেশিরভাগ দেশের সরকার সেই মনোভাবের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে না৷

গ্রিসের একটি শরণার্থী শিবির
ছবি: picture-alliance/dpa/A.Mehmet

গত বছর শরণার্থীদের ঢল প্রায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেয়৷ সিরিয়া সহ একাধিক দেশের মানুষ ইউরোপের দ্বারে এসে আশ্রয় খুঁজছে৷ রাষ্ট্রজোট হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘ সময় ধরে সংঘবদ্ধভাবে কোনো একক শরণার্থী নীতি গ্রহণ করতে পারেনি৷ শেষ পর্যন্ত তুরস্কের সঙ্গে এক বিতর্কিত চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপের দ্বার প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷

এরই মধ্যে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের নেতৃত্বে জার্মানির সরকার ও সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ উদার হাতে শরণার্থীদের গ্রহণ করতে এগিয়ে এসেছে৷ দেশ-বিদেশের কিছু মহল থেকে প্রবল চাপ সত্ত্বেও জার্মানি তার লক্ষ্যে অবিচল থেকেছে৷ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী গোটা বিশ্বে যথাক্রমে চীন, জার্মানি ও ব্রিটেনের নাগরিকরা শরণার্থীদের গ্রহণ করতে সবচেয়ে বেশি প্রস্তুত৷ অন্যদিকে তালিকার সবচেয়ে নীচে রয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড৷

২৭টি দেশে প্রায় ২৭,০০০ মানুষের সঙ্গে কথা বলে এই প্রথম শরণার্থী বিষায়ক এক জনমত সমীক্ষা চালিয়েছিল অ্যামনেস্টি৷ আশার কথা, প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ তাদের শহরে, এলাকায় অথবা নিজেদের বাড়িতে শরণার্থীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত৷ প্রায় তিন-চতুর্থাংশ মানুষ মনে করেন, যে সব মানুষ যুদ্ধ বা নিপীড়ন থেকে পালিয়ে যাচ্ছে, তাদের অন্যান্য দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া উচিত৷ প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন নিজের বাড়ির দরজা শরণার্থীদের জন্য খুলে দিতে প্রস্তুত৷

এমন ইতিবাচক মনোভাবের আলোকে অ্যামনেস্টি বলেছে, বেশিরভাগ দেশের সরকারের কড়া নীতি জনমতের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে না৷ এ ক্ষেত্রে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ভূমিকার প্রশংসা করেছে এই প্রতিষ্ঠান৷

এই জনমত সমীক্ষায় চীনের প্রায় ৮৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন, শরণার্থীদের সাহায্য করতে সরকারের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত৷ উল্লেখ্য, চীনের সরকার শরণার্থীদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে কোনো উদ্যোগ দেখাচ্ছে না৷

আগামী সপ্তাহে তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে প্রথম বারের মতো বিশ্ব মানবিক সাহায্য শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ শরণার্থীদের অভূতপূর্ব সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের সরকারের উপর আরও পদক্ষেপের জন্য চাপ দেওয়া হবে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ