1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অধরাই থেকে গেল সমাধানসূত্র!

২৯ জানুয়ারি ২০১৮

রাত প্রায় দু'টো পর্যন্ত জোট আলোচনা চলল৷ কিন্তু সমাধান সূত্রে পৌঁছানো গেল না৷ আগামী ৪ তারিখ পর্যন্ত আলোচনার সময়সীমা নির্ধারণ করেছে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি এবং আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল সিডিইউ বা খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রীরা৷

Berlin Koalitionsverhandlungen zwischen Union und SPD Merkel
ছবি: picture-alliance/dpa/G. Fischer

এমনটাই তো হওয়ার কথা ছিল! মহাজোট যে খুব সহজে হবে না, বোঝা গিয়েছিল আগেই৷ রবিবার রাতে তা আরো স্পষ্ট হলো৷ রবিবার রাত ২টো পর্যন্ত জোট আলোচনা চলে৷ কিন্তু কোনো পক্ষই সমঝোতা সূত্রে পৌঁছাতে পারেনি৷ সূত্রের খবর, ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জোট আলোচনার সময়সীমা নির্দিষ্ট হয়েছে৷ সেই মোতাবেক পরবর্তী আলোচনার দিনও ধার্ষ হয়েছে৷

প্রশ্ন হলো, সমস্যাগুলো ঠিক কী? কেন রবিবার রাত ২টো পর্যন্ত আলোচনা চালিয়েও সমাধানে পৌঁছানো গেল না? এর উৎস খুঁজতে গেলে খানিক পিছনের দিকে তাকাতে হবে৷

সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের সময় থেকেই সামাজিক গণতন্ত্রী বা এসপিডি অভিযোগ তুলেছিল, জোটে তাদের দাবিগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না৷ যার মধ্যে অন্যতম শরণার্থী সমস্যা৷ ফলে এবার জোট আলোচনার শুরুতেই সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটেরা তাদের দাবিগুলি স্পষ্ট ভাবে শর্তের আকারে দিয়ে রেখেছিল৷ যার প্রথম পয়েন্টই ছিল শরণার্থী সংক্রান্ত৷ তাদের দাবি, জার্মানিতে থাকা বিভিন্ন দেশের শরণার্থীদের পরিবারকেও আসার সুযোগ দিতে হবে৷ এবং তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে৷

অন্যদিকে, জার্মান সরকার শরণার্থী সংক্রান্ত বিষয়ে ঠিক উলটো নীতিই গ্রহণ করেছে৷ আফগান শরণার্থীদের আফগানিস্তানে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এমন পরিস্থিতিতে শরণার্থী সংক্রান্ত আলোচনা রবিবার রাতে খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি৷ রাতভর আলোচনার পরেও কোনো সমাধান সূত্রে পৌঁছনো যায়নি৷ তবে ম্যার্কেলের সংসদীয় আপ্ত সহায়ক জানিয়েছেন, অচিরেই এই সংক্রান্ত আলোচনা একটি সমাধানসূত্রে পৌঁছাবে বলে তাঁর ধারণা৷ এসপিডি-র তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, এখনই আলোচনা থেকে তারা সরে আসছে না৷

শরণার্থী সমস্যা ছাড়াও এসপিডি-র আলোচনার শর্তের মধ্যে আছে, আয়কর সংক্রান্ত বিষয় এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি বিষয়৷ আশা করা যায়, আগামী দিনে সেই বিষয়গুলিতেও সমাধানসূত্রে পৌঁছাতে পারবে দু'পক্ষ৷ এসপিডি-র তরফ থেকেও জানানো হয়েছে আগামী আলোচনার জন্য তারা তৈরি৷

এবারের জোট নিয়ে প্রথম থেকেই সংশয়ে ছিল এসপিডি৷ বস্তুত, দলের একটি বড় অংশ জোটে যোগ দেওয়ার বিপক্ষে ছিল৷ তাদের বক্তব্য, জোটে যোগ দিলে ভবিষ্যতে এসপিডি আরো জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে৷ তবুও ভোটাভোটির মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয় যে, জোট আলোচনায় যোগ দেবে এসপিডি৷ কিন্তু তাদের সভাতেই আলোচনার শর্তগুলি নির্ধারিত হয়ে যায়৷ ফলে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের তরফ থেকে যাঁরা আলোচনা চালাচ্ছেন, তাঁদেরও একপ্রকার হাত পা বাঁধা৷ মূল দাবিগুলি স্বীকৃতি না পেলে জোটে যোগ দেওয়া মুশকিল৷

জোট যদি একান্তই না হয়, সেক্ষেত্রে দু'টি রাস্তাই খোলা থাকবে ম্যার্কেলে সামনে৷ এক, সংখ্যালঘু সরকার তৈরি করা৷ যার মেয়াদ কখনোই বেশিদিন হতে পারে না৷ দুই, নতুন করে নির্বাচনে যাওয়া৷ তবে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এমন অবস্থায় নতুন করে নির্বাচনে গেলে দক্ষিণপন্থিদের জয়লাভের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে৷

এসজি/ডিজি (এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ